বেশকিছু দিন কাজের কারনে বাইরে ছিলাম।ঈদের কিছুদিন আগে বাড়ীতে আসি।সবাই পরিচিত হওয়ায় কুশলবিনিময় পর্ব শেষ হয়েছে।কিন্তু বাড়ীতে একটি অবলা পশুছিল তার কথা প্রায় ভূলেই গেছিলাম।অবলা পশুটা ছিল আমাদের বাড়ীর পালিত কুকুরটা।যতই আমি তারে ভূলেযাই, কিন্তু সে আমারে ঠিকই মনেরেখেছে।সেদিন বাজারে গোলাম,একটা পানের দোকানে দাড়িয়ে আছি, কেনজানি মনেহতে থাকলো কেউ আমাকে ফলোকরছে পিছনে ঘুরেই দেখি আমাদের সেই পালিত কুকুর,যার নাম দিয়েছি ভূতু।
দেখেই খানিকটা হতবাক হয়েপরলাম।আমিও তারদিকে তাকিয়ে আছি সেও।যখন তাকে নাম ধরে ভূতু বলে ডাকলাম,সে দেখি লেজ নাড়াচ্ছে।বুঝেগেলাম সে আমাকে চিনতে পেরেছে আর আমাকে অনেক দিনপর দেখে খুশি হয়েছে। প্রভুভক্ত প্রাণীবলে কথা।তার এমনটা দেখে মনটা চাইলো তাকে কিছু একটা খেতেদেই।দিতেও চাইলাম কিন্তু তখনি মনেপরলো তাকে কিছু খেতেদিলেই সে আর আমার পিছু ছাড়বেনা,আর সে বাজারে আসার লোভও সামলাতে পারবেনা।তাছাড়া আমাদের আগের যে কুকুরটা ছিল(তার নাম ছিল লালু) তাকে একদিন বাজারে নিয়েএসে পরোটা খাইয়েছিলাম সেদিন থেকে সে আর কোনদিন বাজার আসা ছাড়েনি,খাওয়ার লোভে।আমি না খায়ালেও আমাদের বাড়ীর কেউ না কেউ তাকে ঠিকই খেতে দিয়েছে।এর কিছুদিন পর লালুকে কেউ একজন রুটির মধ্যে সুচ ডুকিয়ে খাইয়েছে।তাতে সে পাগল হয়েযায়।বাদ্ধহয়েই তাকে নিজ হতে মেরে ফেলতে হয়েছে।এতে বাড়ীর সবাই অনেক কষ্টপায়েছে।এসব চিন্তা করেই ভূতুকে কোনকিছু খেতে দেইনি।এতে দেখলাম সে মনখারব করেছে।তাতে আমার কি?আমি নিজের মতো চলেগেলাম।এর একদিন পর বাজারে চায়ের দোকানে বসে চাপান করছিলাম,যখন বেরিয়ে বিলদিতে গেলাম দেখলাম ভূতু আমার দিকে এগিয়ে আসছে,সেদিনও তাকে কিছু খেতেদিতে চাইলেও দেইনি।
সেদিন ছিল ঈদেরদিন,ঘুমথেকে উঠেই নামাজ পরতে গেলাম।কিন্তু দেড়ীতে ঘুমথেকে উঠতে দেড়ী হওয়ায় প্রথম জামাতের নামাজ পরতে পারিনি।যখন নামাজ পরতে পারলামনা তখন ভাবলাম বাড়ীর জন্য কিছু খাবার নিয়ে রাখি,কারন দ্বিতীয় জামাতে নামাজ পরলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়না।গেলাম দোকানে খাবার নিচ্ছি,তখনি দেখলাম ভূতুকে বাড়ীর একজন রুটি নিয়ে তাকে খওয়াচ্ছে।ঈদের দিন হওয়ায় মনটা আজ খুব ভূতুকে খাওয়াতে ইচ্ছা করছে।তবে এখনি ভূতুকে খাওয়ালো এই ভেবে তাকে আর খাওয়া হলো না।বিকেলে গরু কুরবানি ও মাংস বিতরন শেষে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গেলাম।চায়ের দোকানে বসতেই দেখি ভূতু কোথাথেকে যেন দোকানের সামনে হাজির।বুঝলাম ভূতু খুদার্ত তাই তাকে একটা রুটি নিয়ে খওয়ালাম।খওয়া শেষে আমি চলে আসছি দেখছি ভূতুও আমার পিছু পিছু আসছে।অনেক কষ্ট করেও তাকে পিছু ছাড়তে পারিনি।বন্ধুদের সাথে গেলে ভূতুও আমাদের সাথে যায়।সেদিন থেকে ভূতু আর আমার পিছু ছাড়েনি।আমি কখন বাজারে যাই কোন কোন দোকানে যাই সবেই তার জানা।বাজারে গেলেই সে ও হাজির হয়।বাদ্ধ হয়েই তাকে এভাবে প্রতিদিন খাওয়াতে হয়।কোনদিন না খাওয়ালে ভূতু গাযের উপর এসে পরে।ভূতুর জন্য প্রতিদিন কমকরে হলেও দশ টাকা লাগবেই।বেকার বলে নিজের চা খাওয়ার পয়সাও কোন কোনদিন পকেটে থাকে না, তবুও ভূতুকে খাওয়াতে হবে।না খাওয়ালে তার গায়ে ওঠাদেখে আশেপাশের লোকেরা বলে,তোমাদেরইতো কুকুর পাচঁ টাকা খাওয়ালে কি হয়?মাঝে মাঝে আমাদের পরিবারের বাইরে লোকেরাও ভূতুকে খাওয়াতো।কিন্তু এখন আর খাওয়ায় না।হয়তো তারাও অর্থ কষ্টে আছে। লজ্জিত হয়ে টাকা না থাকলেও বাকিতে ভূতুর জন্য রুটি নিয়েদিতে হয়।এদিকে দোকানের বাকির খাতাটা ভাড়ি হতেই থাকে। এভাবে এখন চলছে জানিনা আর কতোদিন চলবে।
আমরা বাঙ্গালী,অতিথীপরায়ন জাতী হিসেবে আমরা সুপরিচিত।সেই সাথে আমরা মুসলিম।কোথাও কারও বিপদ দেখলে আমাদের মানবতা উতলিয়ে পরে।কেউ তাকে সাহায্য না করলে মানবতা ও মানবিকতার দোহাই দিয়ে সাহায্য করতে চাপদেই।তাতেও কাজ না হলে কুরান হাদিসে বিভিন্ন আয়াত উল্লেখ করে সাহায্য করতে বলি।
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি আলোচিত বিষয়।সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের সাথে বাংলাদেশ সমভাবে আলোচিত হচ্ছে।মিয়ানমার(বার্মা) অন্যায় ভাবে রাখাই রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্বের মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়েছে।বারবার মিয়ানমান সরকার রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছে।উপরন্ত অসংখ্যবার অন্যায় ভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে।নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি নারী,শিশু,বৃদ্ধ কেউই।নির্মমভাবে মানুষকে জবাই করে,ঘর-বাড়ীতে আগুনদিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে।কিন্তু গত কয়ের বারের চেয়ে গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার সেনাবাহিনির মধ্যে সংষর্স যে কোন বারের সহিংসতাকে হারমানিয়েছে।এবারের সহিংসতায় যোগহয়েছে রোহিঙ্গা হিন্দুদের পালিয়ে বাংলাদেশে আসা এবং তুলনামূলক ভাবে যুবক পুরুষরা সংখ্যায় কম বাংলাদেশে আসছে।এতেই বুঝাযায় মিয়ানমার সেনাবাহিনির নির্যাতনের হাত থেকে রোহিঙ্গা হিন্দুরাও বাদ যায়নি,আর এও বুঝাযায় রোহিঙ্গা যুবকেরা প্রতিরোধের মতো কিছু একটা করছে।একারনে তারা হয়তো রোহিঙ্গা স্যালভেসন আর্মি গঠন করেছে।
এভাবেই লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। |
মিয়ানমারের আরাকানের রাখাই রাজ্যে এমন উদ্ভট পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় স্বভাবতই প্রতিবেশি ও সীমান্তবর্তি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে উপর এর প্রভাব পরবে।সেই প্রভাব বাংলােশের উপর প্রবল ভাবে বিস্তার করছে যা কিনা এখনও বর্তমান।রোহিঙ্গারা নির্যাতনের হত থেকে বাচতে প্রথমে হাজারে হাজারে এর পর লাখে লাখে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাধাদিলেও তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে মরিয়া।বিবিসির খবর অনুযায়ী ২৫ আগষ্ট শুরু হওয়া সংঘর্ষ থেকে এ পর্যন্ত দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত হিসেবে আছে।প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি।এছাড়া প্রতিদিন নাফ নদী পারিদিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষৎছড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সীমান্তদিয়ে বাংলােশে প্রবেশ করছে।এছাড়াও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যান্শ ল্যান্ডে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।বিবিসি ধারনা করছে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রিতের সংখ্যা পাচঁ লাখের মত হতে পরে।আমি মনে করি এভাবে চলতে থাকলে এ সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
যারা বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যান্শ ল্যান্ডে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে তারা ভূতুর মতো আমাদের(বাংলাদেশের)সীমান্তরক্ষি বাহিনীর মূখের দিকে তাকিয়ে আছে।আর আমার মতো ভূতুকে খাওয়াতে মন চাইলেও বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জানে,রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতেদিলে তারা আর মিয়ানমারে ফিরে যাবে না।যেমনটি লালুকে আর বাজার বিমুখ করা যায়নি।সে দিন বিবিসির মাধ্যমে জানতে পারলাম এক বয়স্কপুরুষ ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত হিসেবে আছে!এই ১৭ বছরে মিয়ানমারে কি কখন পরিস্থিতি শান্ত হয়নি? আমরা জানি তা কয়েক বার পরিস্তিতি অনেকাংশে শান্ত হয়েছে।যদি তাই হয়ে থাকে তবে কেন তিনি এতোদিনে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি?এই রকম বয়স্ক মানুষ ছাড়াও সেই সময় বা তার আগে পরে ২৫ আগষ্ট ২০১৭ সালের পূর্বে যারা বাংলাদেশে এসেছেন,তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে এমনকি বহিরবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন (যারা আমার আগের লেখাটি পড়েছে তারা বুঝতে পারবেন) আগের লেখাটি পড়তে >>>এখানে ক্লিক করুন রোহিঙ্গারাতো আর লালু নয় যে তাদের হত্যা করবো আমরা বাংলাদেশীরা বা আমাদের সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিজিবি।যারা কিনি এই হত্যা নির্যাতনের ভয়ে আমাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।তবুও আমরা যদি বাদ্ধহয়ে তাদের হত্যা করি,তাহলে আমাদের আর নিস্তার নাই।আন্তর্জাতিক আদালতে আমাদের বিচার হবে,বিচারে মৃত্যুদন্ড অবধারিত।এমনকি দেশটাও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
২৫ আগষ্ট নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য বলে।এর অনেক আগেই বাংলাদেশ কিছু কিছু রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিয়েছে।এমন কি অসুস্থ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে।এর আগের সহিংসতায় বাংলাদেশ নিজ ইচ্ছায় মানবতা ও মানবিকতার ডাকে সারাদিয়ে অনেক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছিল।আমি যেমন ভূতুকে খাইয়েছিলাম।তখনও বিভিন্ন রাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের খাবার ছাড়াও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে পাঠাতো।এভাবে কয়েক বছর চলার পর তারাও রোহিঙ্গাদের জন্য আর কিছু পাঠায়না।এর ফলে অনেক সমস্যায় জর্জরিত হওয়া শর্তেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের খাইয়েছে।
দূর্গমপথ পারিদিয়ে হলেও শিশুরাও বাংলাদেশ ঢুকতে মরিয়া। |
নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় দেড়ীতে হলেও বাংলাদেশ অনেক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয়দিয়েছে।বর্তমানে রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচিত বিষয় হওয়ায়,বিভিন্ন রাষ্ট্র রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে।জানিনা এটা কতো দিন থাকবে? আমিতো মনে মনে চাই,রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকবে ততোদিন যেন ঐ সকল রাষ্ট্রের সহায্য-সহযোগিতা অব্বাহত থাকে।কিন্তু চাইলেই কি সব হয়? মিয়ানমারের পরিবেশ-পরিস্থিতি মানেমাত্র শান্ত হলেই তারা বিভিন্ন অজুহাতে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধকরে দিতে পরে।এমনটা হলে বাংলাদেশে তখন কি পরিবেশ- পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে একটু ভেবে দেখবেন কি?
যতই আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গারা হাতে-পায়ে ধরেবলুক মিয়ানমারের পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্তহলেই তারা তাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবে।বিভিন্ন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে এটাও বলছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাও মিয়ানমারের পরিবেশ-শান্ত হলে তাদের মিয়ানমারে ফিরত পাঠান।এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের দায়িত্বশীল এবং বাংলাদেশের শক্ত বিরধীদল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু আতীত ইতিহাস ও রর্তমান মিয়ানমারের কথাবার্তা শুনে সেটা মনেহচ্ছে না।সেদিন খবরে দেখলাম,রোহিঙ্গারা মুসলিম হলে তাদের "বাঙ্গলী" এবং হিন্দু হলে "ভারতীয়" বলে পরিচিত করাতে মরিয়া হয়ে পরেছে মিয়ানমার।বাংলাদেশ থেকে যেন রোহিঙ্গা পুশব্যাক হতে না পরে,সে জন্য মিয়ানমার সীমানার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মাইন পুতে রেখেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী,এমনটাই জানিয়েছে কয়েকটি দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক সাংবাদমাধ্যম।২৫ আগষ্টের পর কয়েবার মিয়ানমারের সামরিক বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা অতিক্রম করেছে,এমনকি এই রোহিঙ্গা ইস্যুতেই মিয়ানমারের সামরিক বিমান অতন্ত ১৭ বার বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে।যা কিনা প্রতিবেশিদেশের প্রতি আবজ্ঞা,অসম্মান,এ ও অনধিকার চর্চা,এমনকি সেটা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি।একটি দেশের আকাশসীমা আতিক্রম করা মনেই সে দেশে অস্থিত্ব হুমকির মূখে,যদিও বাংলাদেশ কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছে।মিয়ানমার এটাও বলেছে,রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে আসতে নাগরিকত্বের প্রমান দিতে হবে।এটা স্পষ্ট যে মিয়ানমার রোহিঙ্গােদের ফিরেনিতে চাইছেনা।তা না হলে, যেখানে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকই না সেখানে, কিভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমান করবে?
তবুও আমরা বাংলাদেশীরা চাই না,কারও উপকার করে আমাদের(বাংলাদেশের)অস্থিত্ব সংকটে পরুক।আমরা চাইনা আমাদের সোনার বাংলাদেশ যা কিনা ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,তা সার্বভৌম সংকটে পরুক।মানবতা দেখিয়ে অনেক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে ব্যাস আর না, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না।"বেশী খেয়ে ওরস্যালাইন খাওয়ার চেয়ে,একটু কম খাওয়াই অনেক ভাল"।তাই আবার বলতে চাই, "অতিরিক্ত, অতিরঞ্জিত বিষয়গুলি কখন কারও জন্যা মঙ্গলজনক নয়।এমন কি মানবতা ও মানবিকতা প্রশ্নেও দূরদর্শী হওয়া প্রয়োজন"।
অসাধারন লিখেছেন ভাই।
ردحذفhttps://www.jugantor.com/national/43279/বাংলাদেশি-পাসপোর্ট-নিয়ে-আড়াই-লাখ-রোহিঙ্গা-বিদেশে-গেছে
ردحذف