মুক্ত বাতাস পানে

চার দেয়ালে বন্দী থাকতে থাকিতে আজ হাঁপিয়ে উঠেছি।
সত্যি আমি হাঁপিয়ে উঠেছি।
তাই এবার পাণ করেছি,
এবার বাইরে যে তেই হবে।
মুক্ত বাতাস পেতেই হবে।
ঘরের বাইরে একপা ফেলেই,
বুকটা ধড়ফড় করে উঠলো।
পণ করেছি বাইরে যে তেই হবে,
দিলাম আর এক পা বাড়িয়ে।
বাইরে নেই করা রোদ
নেইতো চৈত্রের খড়া।
তবুও বাইরে ভ্যাপসা গরম
প্রাণটা যায়যায় করে।
বুঝলাম এটা জলবায়ুর প্রভাব-
যা আমরাই তৈরী করেছি।
রাস্তায় আখেঁর রস তৈরী করছে,
হাফ গ্লাসে বরফে ভরা,
এসেছিলাম মুক্ত বাতাস পেতে।
একি বাতাসে ধুলো-বালি,
আর দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি।
পণ করেছি বাইরে যেতেই হবে।
রাস্তায় হাটছি নিঃসঙ্গ একা আমি।
বড় বড় গাড়ি আর তাদের প্যানপ্যানানি।
তবুও হাটছি আমি,মুক্ত বাতাস পানে।
হঠাৎ পিছন থেকে গাড়ি এসে দিলো এক ধাক্কা। আমি চিৎপটাং,মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ছে


লোকে লোকারণ্য,তবুও এগোলোনা,
আমাকে সাহায্যের জন্য।
বাড়ি থেকে লোক এলো আমার চিকিৎসার জন্য।
এম্বুল্যান্স লাগবে এখন,জরুরীর জন্য
পনেরশো ভাড়া তার পঁয়তাল্লিশ'শ চেয়ে বসে।
এম্বুল্যান্সে তুলছে তখন শুনছি,
কারা যেন বলছে
বাইরে না বেরুলেও পারতো।
সাইরেন বেজে যাচ্ছে গাড়ি,
তবুও কেউ দিচ্ছে না সাইট
এ যেন মগেরমুল্লুক ভাই।
অবশেষে এলাম ডাক্তারের কাছে,
ভিজিট তার হাজার টাকায় উপরে।
চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এলাম
আবার চার দেয়ালের মাঝে।
বসে বসে টিভি দেখছি-
নিরুপায় হয়ে
যে ডাক্তারের চিকিৎসা নিলাম
হাজার টাকা ফি দিয়ে
সে নাকি ধরা পরেছে,ভূয়া ডাক্তারের অভিযোগে।
মিটে গেছে সাধ আমার,মুক্ত বাতাস নিতে।

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন