রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা কৌশলী দু'মুখি ভাবনিয়েছে।এদিকে চীন, ভারত প্রকাশ্য মিয়ানমার সরকারের পক্ষনিয়েছে।অপাতদৃষ্টিতে এতে করে আমেরিকা,ভারত কিংবা চীনের কোন লাভ মনে না হলেও,এতে তারা সবচেয়ে বড় সুবিধাটাই হাসিল করতে চাইছে,যা তারা কয়েক দশকেও পারেনি।সেটা আমাদের মত আমজনতার কাছে কল্পনারচেয়ে অনেক বড়।সবাই জানে আমেরিকা,চীন,ভারত এই তিনদেশেই বাংলাদেশের সীমানার বঙ্গোপসাগরে সামরিক বলয় তৌরি করতে চাইছে।কিম্তু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বাংলাদেশ সরকারও এতে কৌশলগত পন্থানুসরণ করেছে।বাংলাদেশ সরকার এমন পরিস্থিতি তৌরিকরেছে যে,তিন দেশকেই বাংলাদেশের সরকার বঙ্গোপসাগর ঐ যায়গাটুকু দিতে রাজি হয়েছে আবার রাজি হয়ওনি! এভাবে "মূলা ঝুলা" রেখে কয়েকদশক বাংলাদেশ তাদের তিন দেশের কছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।কিন্তু আমাদের মত তারা অল্পতেই হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্রনয়।তারা আরও কৌশলীহয়ে বিভিন্ন অন্তর্জাতিক সভা-সেমিনারে এমনকি নিজ নিজ দেশে নিয়েগিয়ে, বাংলাদেশকে একটা আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।কোনও কোন সময় বিভিন্ন সম্মাননা পুরুস্কারও পেয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের সরকারের মনজয় করতে ঐ সকল সভা -সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করাহয়।এসব করেও যখন তারা বাংলাদেশের মনজয় করতে পারেনি,তখন তারা একটি মাত্র সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
সময়ের পরিক্রমায় কয়েক দশক আগে থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু গতমাসের ২৫ তারিখ থেকে আবার শুরুহয়।এবারের মিয়ানমার-রোহিঙ্গা সংঘাত যে কোন বারের তুলনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।রোহিঙ্গা নির্যাতনের তথ্য এবার কিছুটা নির্ভূলভাবে সারাবিশ্বে অতিদূত ছড়িয়েপরে।এবারেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।এবারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ধরনটাও আলাদা,লোমহর্ষ, বেদনাময়। এরফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েওঠে।ব্যতিক্রম শুধু আমেরিকা,চীন,ভারত এই তিনদেশ!
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সারাবিশ্ব যখন এককাতারে,যখন সবাই এই সংকট নিরসনে অং সাং সূচীকে চাপদিতে একট্টা,তখন এই আমেরিকা,চীন,ভারত এরা মিয়ানমার সরকারের সাথে একত্ততা ঘোষণা করেছে!
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সারাবিশ্ব যখন এককাতারে,যখন সবাই এই সংকট নিরসনে অং সাং সূচীকে চাপদিতে একট্টা,তখন এই আমেরিকা,চীন,ভারত এরা মিয়ানমার সরকারের সাথে একত্ততা ঘোষণা করেছে!
তারা জানে মিয়ানমারে গোলযোগ হলে প্রতিবেশীদেশ হওয়ায় বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব পরবে।হয়েছেও তাই।রোহিঙ্গা ইস্যুর প্রভাব মারাত্বকভাবে বাংলাদেশের উপর পরেছে।গত ২৫ আগষ্ট থেকে আজ পর্যন্ত এই ১৯-২০ দিনে প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম এমন কি রোহিঙ্গা হিন্দুরাও বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।প্রথমে বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে করাকরি আরোপ করে,কারন একটাই রোহিঙ্গারা যেন এ দেশে
প্রবেশ করতে না পারে।কিন্তু ষেশমেশ মানবিকদিক বিচারকরে,রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়।এমনকি রোহিঙ্গাদের জন্য কয়েকহাজার একর জমি,তাদের আশ্রয়শিবিরে দেয়াহয়েছে।আর একারনে বহির্বিশ্বে মানবিক দেশ হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এদিকে মনেমনে ঠিক এটটাই চেয়েছিল,আমেরিকা,চীন,ভারত এই তিনদেশ।
বাংলাদেশের মত একটা ছোটদেশ,যেখানে তাদের নিজেদের জনসংখ্যানিয়ে হিমশিম খেতেহয়,সেখানে বাড়তি ৫-৭ লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে একটা টালমাতাল অবস্তা সৃষ্টিহবে।আর রোহিঙ্গারা খুব একটা ভাল তাও না, যারাওবা কিছুটা ভাল কিন্তু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক দিকথেকে বাংলাদেশে এসে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে।যার প্রমাণ বাংলাদেশ বহুবার পেয়েছে।
বাংলাদেশের মত একটা ছোটদেশ,যেখানে তাদের নিজেদের জনসংখ্যানিয়ে হিমশিম খেতেহয়,সেখানে বাড়তি ৫-৭ লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে একটা টালমাতাল অবস্তা সৃষ্টিহবে।আর রোহিঙ্গারা খুব একটা ভাল তাও না, যারাওবা কিছুটা ভাল কিন্তু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক দিকথেকে বাংলাদেশে এসে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে।যার প্রমাণ বাংলাদেশ বহুবার পেয়েছে।
এবার বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসায়,প্রবলভাবে অস্তিত্ব সংকটে পরতে পারে বাংলাদেশ।তিন "কোমর"(আমেরিকা,চীন,ভারত) তো এটাই চায়।এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কোন উদ্যোগগ্রহণ করেনি,বরং ইয়াঙ্গুন বলেছে, যে রোহিঙ্গারা প্রমাণ করতে পারবে তারা মিয়ানমারে বসবাস করেছিল যাদের কাছে মিয়ানমারের বৈধ কাগজপাতি আছে তারাই শুধু মিয়ানমারে ফিরে আসতে পারবে।এদিকে প্রাণের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কোন রকমে নিজেদের প্রাণনিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।এদের অনেকের কাছে মিয়ানমার সরকারের বা সে দেশের কোন কাগজপত্র নাই।তাদের কি হবে?ইয়াঙ্গুনের এই কথায় মাঝেবুঝাযায়,তারা কখন রোহিঙ্গাদের সহজে সে দেশে নিতে চায়না। এমনটা হলে,বাংলাদেশে শেষ পর্যন্ত যে পরিমান রোহিঙ্গা আসবে,তাদের ফিরিয়ে দিতে কয়েক দশক এমনকি কয়েক শতক পর্যন্ত লেগেযেতে পারে।এমন কি রোহিঙ্গাদের ফিরত পাঠাতে আইনের আশ্রয়ও নিতেহতে পারেরে।যা আরও বেশি কালক্ষেপন হতে পারে।
http://ikrupam.blogspot.in/2017/08/blog-post_30.html?m=1
http://ikrupam.blogspot.in/2017/08/blog-post_30.html?m=1
এভাবে চলতে থাকলে,রোহিঙ্গারা আবার বাংলাদেশে বিদ্রোহী হয়ে উঠে বিদ্রোহ করতে পরে?এবারও তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাইবে এমনকি তারা একটা স্বাধীন দেশও চাইতে পারে।কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে চাইবে না। (বাংলাদেশে যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত লারমা'রা চাচ্ছে)এখন যেমন মিয়ানমারে করছে।তখন এখনকার মত বাংলাদেশকে মিয়ানমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। আর তখন রোহিঙ্গারা এখনকার চেয়ে আরও বেশী সংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।সেই সাথে বাংলাদেশে আবারও জঙ্গি সংগঠনগুল মাথাচাড়াদিয়ে উঠতে পারে।রোহিঙ্গাদের এমন ককর্মকান্ড দেখে সন্ত লারমার দল আবার নিজেদের দাবিনিয়ে হারিজহবে। এরফলে তখন বাংলাদেশে এক জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করবে।আর বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য,ঐ আমেরিকা,চীন,ভারত অকৃতিম বন্ধু হিসেবে অবতীর্ণ হবে।নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ তখন তাদের সাহায্য সনান্দে গ্রহণ করবে।এর পরেই শুরু হবে আসল খেলা।বেশকিছুদিন তারা বাংলাদেশে থেকে পরিস্থিতি শান্তকরার চেষ্টা করবে। কিন্তু উপরিস্থিত শান্ত হওয়ারচেয়ে আরও অশান্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এ কয়েকদিন তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত করার চেয়ে অশান্ত করার কাজে বেশী নিযোজিত থাকবে। গোপনে তারা রোহিঙ্গা, সন্ত লারমা ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে চলবে। বিভিন্ন উসকানিমূলক কথাবলে তাদেরকে আরও খেপিয়েতুলবে,এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলেযাবে।এরপর সময় সুযোগ বুঝে নিরাপত্তা,সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলে,আবার তারা (পুরনো দাবি)কৌশলে বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা বলয় তৌরি করতে চাইবে।তখন আর বাংলাদেশের না করার মত পরিস্থিতি থাকবে না।এভাবেই তিন "কোমর"র এক "কোমর" মিয়ানমারকে "ছুড়ি"হিসেবে বাংলাদেশের "পেট" কাটবে।এজন্যেই বলে,"কোমরের ছুড়ি পেট কাটে"
আ
আ
ভালই লিখেছে
ردحذفA
ردحذف