রোহিঙ্গাদের জন্য সিমান্তখুলে দেয়া কতটা যৌক্তিক?

মিয়ানমারে যে জাতিগত হামলা তা ক্রমেই ভয়াভয় রুপনিচ্ছে। যা বর্তমান সময়ে আরও কঠিন রুপ ধারন করেছে।এমতাঅবস্থায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এমনকি বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি'র প্রধান বেগম খালেদা জিয়া  রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সিমান্ত খুলেদিতে বলেছেন। শুধু তাইনয় বহিরবিশ্বও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে চাপদিতে শুরু করেছে।এইঅবস্থায় বাংলাদেশের সিমান্ত রোহিঙ্গাদের জন্যখুলে দেয়া কতোটা যৌক্তিক তা আগেভাবা দরকার, তা না হলে পরে হয়তো পস্তাতে হতে পারে।
এভাবে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসছে। 
আসলে মায়ানমারে যা হচ্ছে তা কোনভাবেই ভালহচ্ছে না।তাই মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করা দরকার।কতোটা নিরুপায় হলে একটা দেশের নাগরিক অন্যদেশে পালিয়ে বাচতে চায়?হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিজের জীবন বাচাতে সেই জীবন বাজিরেখে বাংলাদেশ সিমান্তে ভিরকরছে। একটু সুযোগ পেলেই তারা বাংলাদেশে ঢুকতে মরিয়া।
এদিকে বিজিবি তাদের অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া।তবুও কয়েকদিনে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।অনেক অসুস্থ অগ্নিদদ্ধ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও দেখাযায়।হাসপাতাল কর্তিপক্ষ ও চিকিৎসকেরা মানবিক দিক বিবেচনা করে রহিঙ্গাদের আন্তরিকতার সাথে তাদের চিকিৎসা করছে।
এদিকে মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বসমাজ কার্যত নিরব।তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমস্যা সামাধানে চাপ না দিয়ে বরং বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে চাপদিচ্ছে।জানিনা রহিরবিশ্বের চাপে নাকি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সিমান্ত খুলেদিতে বলেছেন।তিনি আরও সুপারিশ করেছে, মিয়ানমারে পরিবেশ শান্তহলে রোহিঙ্গাদের সে দেশে পাঠান যেতেপারে।অনেক সাধারন মানুষ আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যুদ্ধে ভারতীয়দের ভূমিকার কথাতুলে ধরে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার কথাবলছে।
একটু সুযোগ পেলেই বাংলাদশে ঢুকেপরছে রোহিঙ্গারা। 
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যা হচ্ছে তা দেখে যে কোন মানুষের বিবেক নাড়াদিতে বাদ্ধ।সেখানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে,নিবির্চারে মানুষের ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও গুলিকরে হত্যাকরা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের।তাদের হতথেকে শিশু বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছেনা।
এসব দেখে যেকোন মানুষই আবেগতারিত হয়ে বলতেই পরে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলেদেয়া হোক।কিন্তু আবেগের সাথে সাথে বিবেকটাকেও একটু খাটাতে হবে।আমরা বাঙ্গালী ও মানুষ আমাদের ধর্মই হচ্ছে মানুষের সাহায্যকরা।তাই বলে আবেগতারিত হয়ে, নিজের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম বিসর্যন দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে হবে?
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দেয়া বাংলাদেশের পূর্ব অবিজ্ঞতা আছে।মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট সাম্প্রতিক কোন বিষয় নয়।রোহিঙ্গা সংকট অনেক পুরানা সংঘাত।এর আগেও অনেকবার এরকম অনেক সংঘাত হয়েছেে।
যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল তদের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ীভবে আশ্রয়শিবির এমনকি শরনার্থী শিবির পর্যন্ত খোলা হয়েছি।অনেকে আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে।অনেকে বাংলাদেশে স্থায়ী হওয়ার জন্য বাংলাদেশীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।অনেকে আবার বাংলাদেশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের সহয়তায় বাংলাদেশ পাসপোর্ট নিয়ে কর্মের সন্ধানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পারিদিয়েছে।সেখানে গিয়ে তারা কর্ম না পেয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে।এতে করে বহিরবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম অনেকাংশেখুন্ন হয়েছে।এমনকি যে রাষ্ট্রগুলো আজ রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে তারাই তখন বাংলাদেশের কঠিন সমালোচনায় লিপ্তহয়েছে বলে দেখাগেছে।এমনও দেখাগেছে সংঘাত কমলেও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন কি শরনার্থী শিবির থেকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়নি।যাদের নিয়ে বাংলাদেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে জঠিল পরিস্থিতি বিরাজ করেছিল।
রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমার সেনাবাহিনির মধ্যে এবারের যে সংঘাত তা দেখে মনেহচ্ছে,এবারের সংঘাত অনেক দীর্ঘায়িত হবে।কারন রোহিঙ্গাদের উপর হামলার প্রতিরোধ হিসেবে রোহিঙ্গারা পাল্টা হামলা করছে,আর এ কারনেরই এবারের সংঘাতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে এসে নো ম্যানশ ল্যান্ডে জমা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি ছোট রাষ্ট্র হলেও বিশ্বের কাছে তৃতীয়বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।তবুও বাংলাদেশ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি জনসংখ্যাধিক সমস্যা,এর পরেই আছে প্রকট বেকার সমস্যা,আর এর ফলেই বাংলাদেশের অপরাধ জগৎটা সর্মদ্ধ।গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের স্মরনকালের ভয়াভয় বন্যার ফলে দেশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।দেশের ৩০ জেলায় খাদ্যা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অনেক ঘর্তি আছে।
এমতাঅবস্থায় রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলেদিলে, হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এতেকরে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাগুলো আরও বড়আকার ধারন করবে, এমন কি ছোটছোট সমস্যাগুলো অনেক বড় আকার ধারন করবে।একদিকে যেমন জনসংখ্যা উচ্চহারে বৃদ্ধি পাবে, তেমনি চক্রবৃদ্ধিহারে বেকার সমস্যা বৃদ্ধিপাবে।দূর্ভিখ আকারে দেখাদিতে পারে খ্যাদাভাব।যেমনটি শোনা যায় "৫০ সালি আকাল"নামে।
আবেগবর্শি না হয়ে বাস্তবতার নিরিখে বিচার করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে কৌশলি হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।তা না করে যদি রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলেদেয়াহয় তাহলে পূর্বের চেয়ে আরও ভয়াভয় পরিস্থিতি বিরাজ করবে, যেটাকিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌম ক্ষমতা হারাতে সাহায্য করে।
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারলে তারা আর নিজেদের দেশে ফেরত যেতে চাইবেনা এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পূর্বের অবিজ্ঞতা থেকে।আর প্রবেশ কৃত রোহিঙ্গাদের যদি সে দেশে ফিরত না যায় তখন পরিস্থতি কোন দিকে যাবে ভেবে দেখেছেন কি?
ধরেই নিলাম রোহিঙ্গাদের আর মায়ানমারে ফেরত পাঠান যাচ্ছেনা।তখন কতোদিন তাদের আশ্রয়শিবিরে রাখা যাবে?  কতোদিন বিদেশীরা রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সহ অনান্য জিনিসপত্র সরবারহ করবে? কতদিনেইবা বাংলাদেশ তাদের ধরে রাখবে।একদিন তারা ঠিকই আশ্রয়শিবির থেকে বেড়িয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে পরবে আর কার্মের সন্ধানে ছুটতে থাকবে।যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার কাজ পায়না, সেখানে মিয়ানমারের রাখাই রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গাদের কে কাজ দিবে? কাজ না পেয়ে তারা ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পরবে।যাতে করে এদেশের মানুষের জানমাল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।যেটাকিনা একটি রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য যতেষ্ট।এসব দিক বিবেচনা করেই, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলেদেয়া যৌক্তিক মনেকরি না।

বাংলাদেশ সীমান্তেএসে অনিশ্চিত জীবনের চিন্তায় এক মা

আরও পড়ুন

2 تعليقات

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

  1. একমত হতে পারলাম না

    ردحذف
  2. শুরু হয়ে গেছে https://www.jugantor.com/national/43279/বাংলাদেশি-পাসপোর্ট-নিয়ে-আড়াই-লাখ-রোহিঙ্গা-বিদেশে-গেছে

    ردحذف
إرسال تعليق
أحدث أقدم