আজ ২৬ সে মার্চ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবের দিন,আবার সাথে সাথে গভির বেদনার ও দিন।১৯৭১সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা। সেইথেকে শুরু আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এভাবে চলে নয় মাস।এই নয় মাস খুব অল্পসময় নয়। নয় মাসে আমরা হারিয়েছি অনেক জ্ঞানি-গুনি,সাধারন মানুষ সহ অপামর বাঙ্গালীকে।খুন, ডাকাতি, গুম,হত্যা,ধর্ষণ যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানিদের নিত্যদিনের কর্মযজ্ঞ ছিলো।
বাঙালি জাতিসত্তাকে নিশ্চিহ্ন করার এক মহা পরিকল্পিত সামরিক অভিযানের নাম অপারেশন সার্চলাইট। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকায় অভিযান পরিচালনার নেতৃত্ব দেয় জেনারেল রাও ফরমান আলী। জেনারেল খাদিম রাজার নেতৃত্বে থাকে দেশের অন্যান্য অঞ্চল। লে. জেনারেল টিক্কা খান ৩১ ফিল্ড কমান্ডে উপস্থিত থেকে অপারেশনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে।
বহুত প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ আজ একটি স্বধীন রাষ্ট্রো।তবুও বাংলাদেশ আজও পরাধীন পূর্বপাকিস্তানের মতোই চলছে!! আজও কেউ নিরাপদ নয়। বিশেষ করে বাংলার মেয়ে'রা আজ কোনভাবেই নিরাপদ নয়।স্বাধীন বাংলাদেশের মেয়েরা আজ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহীনির হাতে নিগ্রহ হয়!কয়েক বছর আগে যেমন হতে হয়েছিল দিনাজপূরের মেয়ে, "ইয়াসমিন"কে। সেদিন যদি সেই পশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো তাহলে আজ "তনু"র মতো মেয়েকে এভাবে জীবন দিতে হত না।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদশ অনেক সুনাম কুরিয়েছে ঠিকই।আবার বাংলাদেশের অনেক বদনামও আছে।আমাদের উচিৎহবে বাংলাদেশের নামে বদনামগুলো যেন আর না হয়।বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য যেন একই আইন ও তার প্রয়োগ হয়।ভিন্ন মতাবলম্বী দের যেন কঠোর হতে দমন করা না হয়।আর যেন অভিজিৎ,অনন্ত বিজয়,ওয়াশিকুর বাবু,নিলয় নীলদের মতো কাউকে যেন জীবন দিতে না হয়।এ দেশে শুধু ভিন্নমতাবলম্বী দের দমন করেই ক্ষান্ত হয় না।এদেশে অনেক ধর্মিয় নেতাদের হুমকি দেয়া হয়েছে,অনেককে আবার হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।এসব বিষয় শূন্যের কোঠায় নামাতে হবে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে।যাতে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বারবার।বিগত বছর গুলোতে ধারাবাহিক ভাবে বিদেশীদের হত্যাকরা হয়েছে।যার চুড়ান্ত পর্যায় হলো হলি আর্টিজান।বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্মিয় জঙ্গিবাদ একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয়।বিগত বছরগুলোতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো।সরকার জঙ্গিবাদ দমনে যে কৌশল অবলম্বন করেছে তা প্রশংসনীয় না হলেও গ্রহণযোগ্য ছিলো।
বাংলাদেশের বিচার ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কমবেশি সবারেই বাজে ধারনা আছে।বরাবরেই বাংলাদেশে এমনটাই হয়ে আসছে।এ জন্য সব সম্ভবের দেশ বলা হয় বাংলাদেশকে।ইদানিং হাইকোর্ট থেকে মামলার সমস্ত নথি গায়েব হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।আদাতল প্রাঙ্গণ থেকে সন্ত্রাসী ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে।যা সত্যি উদ্বেগের বিষয়।বিচার প্রক্রিয়া তো দূরের কথা,সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখেই পিছিয়েছে একশত বারের উপরে।
হাজার হাজার অভিযোগের ভিরে বাংলাদেশের অনেক বিষয় আছে যা বিশ্বের কাছে অনেক প্রশংসার দাবিদার।এমনি একটা বিষয় হলো রোহিঙ্গা সমস্যা সামাধানে বাংলাদেশের সাহসী পদক্ষেপ।যদিও রহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য গলার কাটা।দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিয়ে এদেশের গলার কাটা তুলে ফেলা দরকার।
স্বাধীনতার এতবছর পরও বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হতে পারে নি। আজও এদেশিও দোষররা আবাধে চলাফিরা করছে। আজও এদের বিচার পূর্নতা পায়নি। যদিও বিচারের প্রক্রিয়া চলমান,তবুও অদৃশ্য কারনে অনেকবার বিচার কার্য ব্যহতহয়েছে। এরপরও বিচার যে চলমান এখন এটাই আমাদের সান্ত্বনা।
এ দেশীয় দোষররা এখনো থেমে নেই।সুযোগ পেলেই এরা দেশ বিরোধী কাজে লেগে যায়।দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ঠ করতে এরা ওস্তাদ।যে কোন ভাবেই হোক এদের রুখে দিতে হবে।
আমরা চাই এদেশে সকল আপরাধের বিচার যেন খুব দ্রুত শেষকরাহয়। বিচার প্রার্থীদের আর যেন বছরের পর বছর অপক্ষাকরতে না হয়।