বিশ্ব নারী দিবসঃ আমার ভাবনা আর বাস্তবতা

গতকাল ছিল ৮ ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস।এ দিন আমার দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা দেয়ারও তারিখ ছিল।এর আগের দিন ৭ মার্চ ছিল,যা বাঙ্গালী জাতির কাছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ হিসেবে পরিচিত।বাঙ্গালী জাতির কাছে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম।এ দিন আবার হিন্দুদের হোলি উৎসব ছিল,আবার সে দিন রাতে মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাতদের রাত"শবে বরাত"ছিল।শবে বরাত ছাড়া কোন কিছু পালন করার আগ্রহ বোধ করিনি।যদিও আওয়ামিলীগ সমর্থক হওয়ায় ৭ মার্চ পালন করা উচিত,তবুও তা করিনি।তার অনেক কারন আছে।তার মধ্যে একটি কারন হচ্ছে গত পাচ বছর আগে,এই ৭ মার্চের অনুষ্ঠান ঘিড়ে ঢাকায় কয়েকজন নারী অপমানিত হয়।


 আমরা দু'জনেই কারখানার শ্রমিক।নারী দিবসের ছুটি না হলেও,শবে বরাতের জন্য ৮ ই মার্চ ছুটি।সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে যেমন দেড়ীকরে ঘুমথেকে উঠাহয়,এ দিনও তাই হয়েছে।উঠেই মনে পরেছে আজ ৮ ই মার্চ,বিশ্ব নারী দিবস।সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে কোন না কোন বিষয় নিয়ে ছোটখাটো ঝামেলা লেগেই থাকে।মনে মনে ভাবছি নারী দিবস উপলক্ষে আজ কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা করবো না,কোথাও নিয়ে গিয়ে কিছু হয়তো উপহার দিবো।সে কিছুক্ষন আগেই ঘুমথেকে উঠেই রান্না বসিয়েছিলো।এ সব ভাবছি আর ফেসবুকে  স্ক্রল করছি।আরো ভাবছি নারী দিবস নিয়ে একটি ব্লগ লিখবো।

এমন সময় সে এসে মোবাইলটা নিয়ে ইউটিউব দেখতে থাকলো।তখনি মেজাজটা বিগড়ে গেলেও শান্তই আছি।সে ইউটিউব দেখছে আর আমি ভাবছি কি লিখবো আর আজকে তাকে কি উপহার দেবো।চুপ থাকা দেখে সে জানতে চাইলো কি চিন্তা করো?তাকে জানালাম যে আজ বিশ্ব নারী দিবস।আজ ঝামেলা করলে তোমাকে মেরে উৎযাপন করবো।

কিছুক্ষণ পরে মোবাইলটা দিয়ে আরার রান্নার কাজে গেল।এবার আমি ব্লগ লেখছি।আর সে মাঝে মাঝে এসে বিরক্ত করছে।দু'জনে কর্মজীবী হওয়ার বাসায় অনেক কাজ থাকে।কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে তোষক বালিশ রোদে দেয়া।নারী দিবস নিয়ে তথ্যগুলো একত্রকরছি আর সে সমানে বিরক্ত করেই যাচ্ছে।আমিও সে রকম,বিছানা ছেড়ে উঠছিই না,এক এক করে বালিশ,বিছানা নিয়ে গেলেও আমি উঠছিনা।এবার তোষকের পালা,এবার আমাকে উঠাতেই হতো তাই বিরক্তির মাত্রা আরো বেড়ে গেলো।রাগা রাগির পর বাদ্ধহয়ে উঠেই তোষকটা রোদে দিয়ে এসে,আবার শুরু করলাম তবুও বিরক্ত ছাড়ছেই না।এবার যা হবার তাই হলো......

তবুও নিস্তার নাই!বিরক্তের ষেশ নাই।এভাবে গত কালের ব্লগটি লেখার সময় ৪৭ বার বিরক্ত করেছে।

যদিও এ দিন নারীদের নিয়ে ব্লগ লিখে সময় পার করে,নারী দিবস উৎযাপন করার চাইতে তাকে সময় দেয়াতেই উৎযাপন হতো।

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم