ধর্ষণ নয়,একটি হত্যা মামলা

(প্রথম খন্ড)  


সাম্মির মা বাড়ী নেই। কি মনেকরে তাদের বাড়ীতে আজ মেজ মামা আসে। এসে দেখে তার বোন বাড়ীতে নেই। তখনি বোনকে ফোন করে। কোথায় জানতে চায়। আর বলে সাম্মিকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছি, তুইও আমাদের বাড়ীতে আসিস। সাম্মি যেতেচায় না। আর তার ভাইও তাকে যেতেদিতে চায় না। তবে মূখেকিছু বলে না। সাম্মি এবার এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে অলস দিন কাটাচ্ছে। তাই ভাবছে একটু ঘুরে আসলে মন্দহয় না। মামা সাম্মিকে বলে, তুই বাড়ীর কাজকর্ম সেরেনে।আমি একটু আরাম করি। এরই ফাঁকে সাম্মি তার রান্না করা ভাতখেতে দেয়। খেয়েদেয়ে।মামা ঘুমিয়ে পরে। কিছুক্ষণ পর মামা ঘুমথেকে উঠে আবার সাম্মিকে যেতে বলে,আবারও সাম্মি রাজিহয় না। কিন্তু মামা ছাড়বেনও না। তাই একপ্রকার বাদ্ধহয়েই মন না চাইলেও সাম্মি তার মামার সাথে নানার বাড়ী যায়। সাম্মি নানার বাড়ীগিয়ে দেখে বাড়ীতে কেউ নাই!  নানা-নানিতো আগেই মারাগেছেন। বাড়ীতে আরকোন মামা-মামিও নেই। গ্রামে এখন ধানকাটার ধুম পরেছে। সাম্মির নানার বাড়ীও গ্রামে। মামাদের অনেক জমি,তারা এলাকায় প্রভাবশালীও বটে। সাম্মি এবার বুঝতে পারে, কেন মামা তাকে জোড়করে নিয়ে আসলো।সে বুঝতেপারে বাড়ীতে মামিরা না থাকার কারনে ধান নেয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই কাজকরার জন্য সাম্মিকে তার মামা জোড়করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। কি আর করার এসেই যখন পরেছে কাজ তো করতেই হবে। আাগপাছ কিছু না ভেবে, যদিও বাড়ীতে সে ঐসকল কাজ করে নাই, তারপরও কাজে নেমে পরে। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কোন রকমে দিনের কাজ শেষকরে। হঠাৎ কাজ কারা ফলে সাম্মির শরীর খুব দূর্বলহয়ে পরে। বাড়ীতে কেউ না থাকায় সারাদিন কাজ পরেও রান্না করতেহয়। সাম্মির মেজাজটা তখন বিগড়ে যায়। মন খারাব করে রান্না সেরেফেলে।।আর মনে মনে তার মা ও তার চৈদ্দো গোষ্টিকে উদ্ধার করে ছাড়ে। সন্ধা গড়িয়ে রাত হলো তবুও সাম্মির মা আসে না। শরীর দূর্বল থাকার কারনে,  মামার জন্য খাবর রেখেদিয়ে, মা আসার পর সাম্মি  একসাথে খাবে এই বলে,  তারাতারি ঘুমিয়ে পরে। তার মামাও বাজারে কাজকরা মানুষজনকে টাকাদিয়ে বাড়ী ফিরে আসে। ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকি করার পরও সাম্মির সাড়া পাওয়া যায়না!  তখন মামার দূঃশ্চিন্তা হতে থাকে।।মেয়েটা আজ অনেক পরিশ্রম করেছে। ইশ তার জন্য বাজার থেকে কিছু অনার দরকার ছিল। কিন্তু বাজারে গিয়ে তার কথা কিছুই মনেছিল না। রাগহয়ে মনেহয় বাড়ী চলেগেছে? মামা একটু চিন্তিত হয়েপরে। বাজার খরচগুলো আঙ্গিনায় রেখে, ঘরে ঢুকে বাতিটা জ্বালিয়ে দেয়। বাতি জ্বালার সাথে সাথেই মামা চমকে উঠে! দেখে সাম্মি ঘুমিয়ে আছে। আবার সাম্মিকে ডাকতে থাকে কিন্তু সারাদিন পরিশ্রম করার ফলে সে গভির ঘুমে আচ্ছন্ন। অনেক ডাকাডাকির পরও সাম্মির সাড়া পাওয়া যায় না। এই ফাঁকে বিদূৎবাতির আলোয় সাম্মির মূখটি মামার নজরে পরে। এইবার আরও সে আশ্চর্য হয়ে যায়। বিদূৎ বাতির আলোয় সাম্মিকে দেখে, মামার পুরুশত্ব কাম শক্তি জেগে উঠে! সাম্মির বিছানার কাছে অনেক্ষণ দাড়িয়ে থেকে, সাম্মির মামা সাম্মিকে চোখ দিয়ে বলৎকার করে। আর সত্যিকারের বলৎকার করার জন্য ফন্দিআকে। এই ভেবে ভেবে মামা তারাতারি সাম্মির রান্না করা ভাত তরকারি খেয়ে নেয়। খেতেবসে আবারও আশ্চর্য হয়, সাম্মি এতো ভালো রান্না করতে পারে আগেতো জানা ছিল না। খেয়েদেয়ে আবার সাম্মির বিছানার কাছে যায়। আবার কিছুক্ষণ দাড়ীয়ে থেকে পরিকল্পনাগুলো একএক করে রিভিউ করতে থাকে। এরপর সাম্মির শরীরে ভয়ে ভয়ে হাতদেয়। কিন্তু সাম্মি একটুও টেরপায় না। এবার একটু সাহস নিয়ে, সাম্মির সারা শরীর আলতো করে স্পর্শ করে। তখন সাম্মি একটু নড়েচরে উঠে, তা দেখে তার মামা একটু ঘাবড়ে যায়। সে কি করছে ব কি করতে যাচ্ছে?  এই ভেবে নিজের প্রতি একপ্রকারের ধিক্কার দেয়!  কিন্তু যখনি মনে পরে বাড়ীতে কেউ নাই, কেউ জানতেও পারবেনা। তখনেই পরম সাহসে ঘুমন্ত সাম্মিকে জরিয়ে ধরে।
গি
এভাবে অনেক্ষণ থাকে। সাম্মি এবার পুরোপুরি জেগেউঠে। মামার মতলব বুঝতে পেরে, মামাকে অনেক আকুতি মিনতি করে তাকে নষ্ট না করার জন্য। তখন মামা তাকে বুঝায় বাড়ীতে কেউ নাই, আজ রাতে তোমার সাথে যা হবে তা কোনদিন কেউ ভূলকরেও জানতে পারবে না। এই কথার মাধ্যমে সাম্মি বুঝতেপারে তার মামা তাকে আজ কোন ভাবেই ছাড়বেনা। তখন সামম্মি তার মামাকে বলে আর একবার যদি আমার গায়ে হাতদেন তাহলে আমি চিৎকার করবো।
দ্বিতীয় খন্ডপ্রকাশিত হয়েছে দেখতে >>>এখানে ক্লিক করুন।

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন