দ্বিতীয় বড় কারণটি হলো জমি পরিত্যাগ করে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস। যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং তার জমির দেখভালের জন্য কোনো উত্তরাধিকার বা প্রতিনিধিও না থাকে, তাহলে সরকার সেটিকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করতে পারে। বিশেষ করে যদি সেই জমির উপর দীর্ঘ সময় ধরে খাজনা প্রদান না করা হয় কিংবা জমিটি অনাবাদী অবস্থায় পড়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন ১৯৫০ সালের ‘এসেনশিয়াল প্রোপার্টি অ্যাক্ট’-এর আওতায় জমিটি খাস হিসেবে ঘোষণা করতে পারে।
তৃতীয়ত, যদিও এটি মূল আলোচনার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবু উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো আবাদযোগ্য জমি অনাবাদী অবস্থায় তিন বছরের বেশি পড়ে থাকলেও সরকার সেটি খাসে রূপান্তর করতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে ভূমি বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেন এবং জমি ব্যবস্থাপনায় সচেতন থাকেন। বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঘরে বসেই খাজনা পরিশোধ করা সম্ভব, এমনকি বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমেও অর্থ পাঠানো যায়। এছাড়া, নিজের নামে খারিজ করিয়ে জমির দালিলিক অবস্থান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞদের মতে, জমির মালিকানা টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু মালিকানার কাগজ থাকাই যথেষ্ট নয়, বরং নিয়মিত খাজনা প্রদান ও জমির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাই একমাত্র পথ।