৫ অগাস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর,অন্তবর্তিকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেল জয়ী প্রফেসর ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ ইউনুস শপথগ্রহণ করেন।১৬ বছরের জঞ্জাল নিমেষেই শেষ করা যাবে না সেটা অনুমিতই ছিল।তবুও একের পর এক দাবি আদায়ের আন্দোলন সরকার অস্থিতে ফেলে দিয়েছে।তার উপর বিদেশী চাপতো আছেই।এদিকে রাজনৈতিক দল গুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের চাপাচাপিও আছে।আরো যোগ হয়েছে উপদেষ্টামন্ডলীর কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড।একমাত্র জামাত ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য সরকারকে কোনঠাসা করে রেখেছে।প্রফেসর ইউনুস নিতান্তই ভালমানুষ না হলেও।দেশের এমন ক্রান্তিকালে একজন ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।ছাত্রজনতার ম্যান্ডেড প্রয়োজনীয় সংস্কারে দাবি নিয়ে এসেছেন।ঠিক একারনেই নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি করতে চাইছেন না।
ইউনুস জানে যে ম্যান্ডেট নিয়ে সরকারে এসেছেন তা পুরন না হলে, তিনি মীর জাফর মতো ইতিহাসে ধিকৃত হবেন।আর পদত্যাগ করলে এবারের বিপ্লব ব্যার্থ হবে।অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও সেটা জানে।তারপরও সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের দাবি।এই চাপে সরকার চ্যাপ্টা হয়ে গেছে।
এদিকে জামাত ছাড়া যেহেতু সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের দাবি করছে, সেহেতু ইউনুসের সরকারের সমর্থন নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।মুলতঃ সরকারের আস্থার সংকট দূর করতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক করা হয়েছে,যা রাষ্ট্রের সংকট দূর করতে কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে।এটা সরকারের একটা সফল পন্থা বেটেই।ফলাফলে দেখা গেছে যারাই ইউনুস সরকারের সমালোচনার করেছিল তারাই আলৌকিকভাবে রাতারাতি ইউনুসের সরকারকে সমর্থন দেয়া শুরু করেছে।এ জন্য ইউনুসের সরকার প্রশংসার দাবি রাখে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জানে যে, যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে প্রফেসর ইউনুস পদত্যাগ করে তাহলে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতির কোন চিহ্নই থাকবে না।
আশা করা যয় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসায় অন্তবর্তিকালীন সরকার কিছুটা হলেও কাজ করতে পারবে।মতের অমিল হলেও কিছু রাজনৈতিক দল এই সরকারকে সফল করতে সরকারের সকল কাজে সহযোগিতা না করলেও সমালোচনা না করতে বাধ্য থাকবে।