Monetize your website traffic with yX Media

আর কি কোন পথ ছিলো না হাসিনার

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনার তথা আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনে অবসান হয়।টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে-ও, তড়িঘড়ি করে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যেতে হয় ।শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া,রাজনীতিতে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে,তারই সামান্য রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন যে সরকার উৎখাতের পরিনত হবে, তা সরকার এমনকি আওয়ামীলীগ এমন কি সাধারন অনেক মানুষেই অনুমান করতে পারেনি।অবশেষে তাই হলো।কোন প্রকার পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই শেখ হাসিনার পলায়ন রাজনীতিতে অশনিসংকেত বটেই।তার পালিয়ে যাওয়ায় তার দল আওয়ামী অবশ্যই ভেঙ্গে পরবে।তার পালিয়ে যাওয়ায় আওয়ামীলীগের অনেক নেতা,কর্মির মনোবল ভেঙ্গে পরছে।এতে আওয়ামীলীগের পূর্ণগঠন ও সরকার গঠনের চেষ্টা দূর হ'য়ে হয়ে উঠবে।
আচ্ছা পালিয়ে যাওয়া ছাড়া হাসিনার কি আর কোন পথে খোলা ছিলো না?এবারে শেখ হাসিনার সরকার গঠন, পালিয়ে যাওয়ার সমস্ত বিষয় বিশ্লেষণ করে কেন জানি মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের শিকার!দলীয় সরকারে,সরকারের সামরিক, আধা সমরিক,বেসামরিক এমনকি সমস্ত পর্যারে সরকারের আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত ব্যাক্তিরাই নিয়োগ প্রাপ্ত হয়।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে এর ব্যাতিক্রম হয়নি।এই কয়দিনে হয়তো যারা আগে জানতেন না তারাও জেনে গেছে সেনাবাহিনীর প্রধান শেখ হাসিনার আস্থাভাজনেই নয় তার সাথে ঘনিষ্ঠ রক্তের সম্পর্ক বিদ্যমন। যেমনটা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গতকালের অন্তর্বর্তী সরকারের বেলায়ও দেখা গেছে।এ সরকারে সদ্য বিদায়ী আওয়ামীলীগের কেউ স্থান পাবেন না এটাই স্বাভাবিক।বরং আওয়ামীলীগ বিরোধীরা স্থান পাবেন।হয়েছেও তাই।
যদিও দুইদিন আগে থেকেই পদত্যাগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।পদত্যাগের পরেও কেন হাসিনাকে দেশত্যাগ করতে হবে?যেখানে সেনাবাহিনীর প্রধাণ তার আত্নীয়। আগে জানতাম শেখ হাসিনা চতুর রাজনেতিক। কিন্তু এই ক্রান্তিকালে তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।আমি মনে করি,শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আরো অনেক পথে খোলা ছিল। অবস্থা যতোই ভয়াবহ হোক না কেন দেশ ছেড়া যাওয়াটা রাজনৈতিকভাবে কখনোই মঙ্গলজনক হতে পারে না।তিনি চাইলেই পদত্যাগ না করেই সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে পারতেন।নয়তো পদত্যাগের আগেই কোন দেশ ভ্রমন করতে পারতেন।সেখান থেকে তাকে পদত্যাগ নাও করতে হতে পারতো।নয়তো কোন দেশে গিয়ে তার পর পদত্যাগ করতে পারতো।তার আরও বড় ভুল হয়েছে ভারতে যাওয়া,যেখানে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি স্পর্শকাতর বিষয়।যা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।মাঠের আন্দোলনকারীদের কৌশলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকার পতন এখন সময়ে ব্যাপার স্যাপার মাত্র।

1 تعليقات

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

إرسال تعليق
أحدث أقدم
Monetize your website traffic with yX Media