অবিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়

অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হয়তো কম বেশি সবারই জানা।শুধুমাত্র কর্মজীবরে যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন তা কিন্তু নয়,বরং এই পৃথিবীতে চলতি পথে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।তবে এই অভিজ্ঞতা কেউ আপনা আপনি অর্জন করতে পারে না।জীবনে চলার পথে একটু একটু করে মানুষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে।না ঠকলে যেমন কোনো কিছু শেখা মুশকিল।তেমন বারবার ঠকলেও অনেকে সেই ঠকার পরেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না।সুতরাং পূর্বের ভুল থেকে সে কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি।অভিজ্ঞতার ব্যাপকতা বিশাল।কোন কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে যেমন কাজটি অনেক সহজ হয়,তেমনি পূর্বের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে।আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে যা অর্জন করলেও কোন কাজে আসে না।এ হিসেবে আত্মহত্যা ও বিয়ে!এ দুটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর সে অভিজ্ঞতা আর কাজে আসে না।কারণ মৃত্যুর পর আপনি আর ফিরে আসতে পারেন না, আত্মহত্যা থেকে শিক্ষা অভিজ্ঞতা অর্জন করলেও  সেটা আর আপনার কোন কাজে আসবেনা।তেমনি বিয়ে করার পর আপনার যে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে,সে অভিজ্ঞতা কিন্তু আর কাজে লাগাতে পারবেন না।কারণ না পারবেন আপনি আবার বিয়ে করতে অথবা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে।এমন হাজার হাজার অভিজ্ঞতা আছে,যা অন্য কেউ অর্জন করেছেন।তার কাছ থেকে শুনে আপনিও অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।তেমন লক্ষ-কোটি বিষয় আছে, যা অন্য কারো কাছে শোনেননি।এমন কি আপনি নিজেও সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করার পরেও,লোক লজ্জার ভয়ে বা অন্য কোন কারণে কাউকে বলা তো দূরের কথা,নিজেও সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি।সে কারণে বারবার একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।


 ছোটবেলায় গুরুজনরা শিখিয়েছিলেন,চলার পথে কলার খোসা ইটের টুকরা বা পিচ্ছিল জাতীয় কোন কিছু না ফেলা,এমন কি সমজাতীয় কোন কিছু রাস্তায় দেখলে সেগুলো সরিয়ে ফেলা।গুরুজনদের কথা সবসময় মান্য করা হতো।তখন থেকেই চলার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কিছু দেখলে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করি।তবে কোন সময় ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছার কারণে অথবা মন-মানসিকতা ভালো না থাকার কারণে,কলার খোসা বা ইটের টুকরা না সরালে কিছুক্ষণ পরেই আমার পরিবারের কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হবে।এরকম ঘটনা একবার দুইবার নয় কয়েকবার ঘটেছে।তখন সে ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখনো চলার পথে কোন কিছু পরে থাকতে দেখলেই সাত পাঁচ কোন কিছু না ভেবে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলি।যাতে আমার পরিবার এমনকি অন্য কেউ যেন সেখানে কোন দুর্ঘটনা শিকার না হয়।

ছোটবেলা থেকে কোন খেলাধুলায় খুব একটা পারদর্শী ছিলাম না।সে কারণে কেউ খেলায় নিতে চাইতো না।আবার না নিয়ে উপায় ছিল না।কারণ খেলার সব সমগ্রী ছিল আমার এমন কি খেলার মাঠটিও ছিল আমার।তাই সবাই বাধ্য হয়ে হলেও আমায় খেলায় নিতো।তবে আমি বুঝতাম না প্রতিটি খেলায় কোন না কোনভাবে আমার সাথে ঝগড়া লেগেই থাকবে।এ নিয়ে আমার বন্ধুরা এমন কি আমি নিজেও অস্বস্তিতে ছিলাম।যতই আমি ঝগড়া এড়িয়ে যেতে চাইতাম,কিন্তু ঝগড়া আমার পিছু ছাড়তে চাইতোনা।প্রতিটি খেলায় কোন না কোনভাবে আমার সাথে ঝগড়া লাগা চাই ই চাই।এমনিতে ঝগড়া লাগার কারণে অস্বশ্তিতি ছিলাম, তাই সব সময় ঝগড়া লাগার কারণ  খুঁজতে থাকি।এভাবে চলার পর একদিন ঠিকই ঝগড়া লাগার কারণ খুঁজে পাই।প্রতিটি খেলায় কমবেশি চোট্টামি বাটপারি হয়ে থাকে।সে সব চোট্টামি  বাটপারি গুলো সব সময় আমার চোখেই ধরা পড়তো।যা সব সময় আমার মাথা গরম করে দিত।অন্য সবাই সেই সব চোট্টামি বাটপারি দেখার পরেও প্রতিবাদ করা তো দূরেই থাক কেউ মুখ ফুটেও বলতে চায় না।এমনকি চোরট্টামি ধরার পরেও কেউ স্বীকার করতো না।এমনকি আমার নিজের দলের অনেকেই চোরট্টামি যে হয়েছে সেটাই মানতে চায় না।এ কারণে প্রায় সময়ই সবার সাথে বিরোধ লেগেই থাকতো।এমন কি প্রতিটি খেলায় শেষ পর্যন্ত আমার সাথে হাতাহাতিও হত।তেমনি একদিন মাঠে এক বোনের ছেলের সাথে মারামারি হয়,কারন সে খেলার মধ্যে চোরট্টামি করেছে,আর আমি সেটা ধরে ফেলেছি কিন্তু সে স্বীকার করছে না।বয়সে ছোট হওয়ায় মেজাজ বিগড়ে গিয়ে তাকে স্বীকার করার জন্য মারতে থাকি কিন্তু তবুও সে স্বীকার করতেই চাইছে না।চোরট্টামি যে হয়েছে সেটা খেলার মাঠে উপস্থিত সবাই দেখলেও কেউ বলতে চাইছে না।এতে রাগ আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।এনিয়ে এলাকায় তোড়পাড় শুরু হয়।এমন কি আমার নামে এলাকার  মুরুব্বীদের কাছে বিচার পর্যন্ত যায। এ কারণে বাবা আমাকে অনেক বকাঝকা করেন।আমি আমার নিজের ভুলটা বুঝতে পারি।তখন আমার মনে হতে থাকে।হয়তো আমি ভুল,আমিও হয়তো ভুল দেখেছি, হয়তো খেলায় কোন বাটপারি হয়নি।সব খেলায় বাটপারি হওয়া দেখাটা হয়তো আমার ধারণা নয়তো এটা আমার রোগ হতে পারে।কারণ এখন পর্যন্ত সে ভাগিনা কোনদিন স্বিকারেই করেনি  যে সেদিন সে বাটপারি করেছে।সেদিন থেকে আর কোন খেলার মাঠেই না যাওয়ার পরিকল্পনা করি।কারন আমি মাঠে না খেললেও আমার সাথে ঝগড়া লাগবেই।আমার এক খালাতো ভাই ছিল যে কিনা বাক প্রতিবন্ধী।সবকিছু যেহেতু আমার ছিল তাই আমার ক্ষমতা ছিল  সবার উপরে।সেদিন আমি দলবল নিয়ে ক্রিকেট খেলতে গেছি,দুই দলের মধ্যে প্লেয়ারও ভাগাভাগি হয়েছে,এমন সময় ওই প্রতিবন্ধী ভাইটি এসে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বুঝাতে চাইছে  সেও খেলবে।কিন্তু আমি তাকে খেলায় নিব না।আমরা ইতিমধ্যে খেলা শুরু করে দিয়েছি।তাকে খেলায় না নেওয়ায় রাগে ক্ষোভে সে এক পাশের স্টাম্প ভেঙ্গে ভৌ-দৌড় দেয়।আমিও রাগান্বিত হয়ে সেই ভাঙ্গা স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকি।সেই সময় আমার মার খেয়ে সে ৬ মাস বিছানায় পড়েছিল।সেই থেকে আজ অবধি সে খালা আমার সাথে কথা বলে না।সেদিনের সেই অপরাধটা আজও আমাকে কুরে কুরে খায়।এরপরেও বন্ধুদের অনুরোধে প্রতিবছর দুই এক দিন।বন্ধুদের নিয়ে প্রীতি খেলাধুলা হত সেখানে মন না চাইলেও বন্ধুদের অনুরোধে খেলতে হত। সেখানেও বিভিন্ন কারণে বন্ধুদের সাথে ঝগড়া লাগতো।তখন থেকেই বন্ধুদের সেই প্রীতি খেলা গুলোতে অংশগ্রহণ করা তো দূরেই থাক মাঠের দর্শক হিসেবেও আমি কখনোই উপস্থিত থাকিনি।


  মাঠে না গেলেও খেলাধুলা বন্ধ থাকতো না।আউটডোর গেম না হলেও ইনডোর গেমগুলো যেমন,কেরাম,লুডু,কার্ড প্রভূতি  খেলা গুলো শুরু করি।সেখানেও চোরট্টামি হত আর শুধুমাত্র আমার চোখেই সেগুলো ধরা পড়তো।সেখানেও ঝগড়া আমার পিছু ছাড়েনি।

এমন একটা সময় ছিল,যখন ধান কাটার পর গ্রামে গ্রামে উৎসব বিরাজ করত।সে সময়টিতে যাত্রাপালার নামে সারারাত ধরে মাসব্যাপী অশ্লীল দৃশ্যের মহড়া চলত। ঠিক এমনই এক সময়,যখন সবেমাত্র আমি কলেজ পাশ করেছি,এমনি সময় আমার গ্রামে যাত্রা পালা আনার গুঞ্জন শুনি।আবার অপরদিকে,কয়েকদিন পর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।তাই কয়েকজন বন্ধু মিলে যাত্রাপালা বন্ধ করার পরিকল্পনা করলাম।প্রথমে আমরা এলাকার এক রাজনৈতিক নেতার কাছে গেলাম।আমাদের কথা শুনে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি যাত্রাটা বন্ধ করবেন।আমরাও তার কথায় আশ্বস্ত  ও অনেক খুশি হলাম।এবার গেলাম থানাতে যাতে করে থানা থেকে যাত্রার অনুমতি দেয়া না হয়।থানা থেকে আমাদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলে। আমরাও কোন কিছু না বুঝে  অতি উৎসাহী হয়ে তাই করলাম।আমরা কয়েকজন মিলে নিজেরদের নাম ঠিকানা সহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম।থানা থেকেও আমাদের আশ্বস্ত করলো।কিন্তু দু এক দিন পর ঘটলো উল্টো ঘটনা!এক রাতে এলাকার সে রাজনৈতিক নেতা যাত্রা কমিটির লোকজন ও থানার কয়েকজনকে নিয়ে মিটিং করছে।মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো যাত্রাটা বাতিলই হচ্ছে।কিন্তু না আমার সে ধারণাটা ভুল ছিল।পরের দিনেই যাত্রার জন্য থানা থেকে অনুমতি দেওয়া হয়।তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা,যে সেদিন রাতে কি আলোচনা হয়েছিল।অপরদিকে আমরা যারা যাত্রা অনুমতি না দেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলাম,তাদের সবার নামেই বাড়িতে নালিশ দেয়।এমন কি কেউ কেউ আমাদের শাসিয়ে  যায়।সেই দিন থেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের উপর বিশ্বাস ও আস্থা উঠে গেছে।

হয়তো আপনার হাজার হাজার বন্ধুবান্ধব আছে।যা সবারই থাকে।তাদের জন্য হয়তো আপনি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছেন।আপনিও হয়তো মনে মনে ভেবে রেখেছেন,আপনার বন্ধুরা ও আপনার জন্য জীবন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না।পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ,যেখানে যাবেন,যখন যেভাবে হোক সেসব বন্ধুদের হতো পাশে পেয়ে যাবেন।সব বন্ধু সার্কেলেই কমবেশি এমন ধারণা বজায় থাকে।আবার সব সার্কেলের বন্ধুদের নিয়ে  তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে যা কোনদিন কোন বন্ধু কাউকে জানাইনি।প্রতিটি মানুষ এই তার বন্ধুদের কাছ থেকে,অনেক কষ্ট পেয়েছেন,কিন্তু কেউ কোনদিন সে কথা কাউকে বলতে পারেননি।আপনি যে ভাবছেন আপনার বন্ধু আপনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছে।আপনি কি জানেন আপনার বন্ধু আপনার জন্য জীবন দেওয়া তো দূরের কথা,তার শরীরের একটা অবাঞ্ছিত লোম পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত নয়!প্রমাণ চা, সারাবছর কোন বন্ধুর না কোন বন্ধুর কোন না কোন বিশেষ দিন থাকে,যেদিনে পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব একসাথে হয়ে অনেক আনন্দ করে।তেমনি একদিন আপনি আপনার দেশ ছেড়ে অন্য দেশে অথবা নিজের  শহর থেকে অন্য শহরে থেকে দেখুন।

অফিসে আমার পৃর্বে যিনি ছিলেন।কোন ভাবেই তার পদন্নোতি হচ্ছিলনা দেখে তিনি কোম্পানি পরিবর্তন করতে চাইলেন।অন্য এক কোম্পানিতে চাকরিটা প্রায় হয়েই গিয়েছিলো।সাক্ষাৎকারের শেষে পৃর্বের কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চাইলে,তিনি এ কোম্পানির কথা বলেন।সাক্ষাৎকার বোর্ডের একজন সদস্য পৃর্বে আমার কোম্পানিতে কাজ করতো বিধায় এখানে অনেকের সাথে জানাশোনা থাকার কথা,এ কারনেই সে ভাইয়ের সম্পর্কে জানার জন্য তার ম্যানেজারের সাথে কথা বলে,ম্যানেজার তার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে চাকরিটা না দিতে উৎসাহী করে। 
আমি কয়েক বছর ধরে এখানে কাজ করছি আমারও উন্নতি হচ্ছে না,একই দিনে এ কোম্পানিতে জয়েন্ট করেছিলাম এমন একজনের সাথে গতকাল দেখা হলে, সে আমার সম্পর্কে জানতে চাইলে তখন আগের অবস্থানের কথাই জানালাম।সে এটার শোনার জন্য হয়তো মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা। সে কাজ পারতো না বলে যে বসে তাকে ছাটাই করেছিলো,তার সাথে নাকি প্রায় দেখা হয় তিনি নাকি তাকে বলেছে আজ এখানে থাকলে সে অনেক বড় হতে পারতো।তার নাকি অনেক ট্যালেন্ট আছে।
বাইজিদ বোস্তামীর কাহিনী কমবেশি সবাই জানেন। যার অসুস্থ মা পানি পান করতে চেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন, আর এদিকে বায়েজিদ বোস্তামি পানি নিয়ে এসে দেখে তার মা ঘুমিয়ে পড়েছেন,বাইজিদ বোস্তামী ভাবে যে আবার যদি তার মা জেগে ওঠে পানি চায় ও যদি পানি নিতে না পারে, তাহলে মায়ের অনেক কষ্ট হবে। এই ভেবে বাইজিদ বোস্তামি সারারাত মায়ের মাথার কাছে পাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কখন তার মা জেগে উঠবে এই অপেক্ষায়  থাকে। কিন্তু মা আর রাতে জেগে ওঠেনি। সকালে মা জেগে উঠে দেখে যে বায়জিদ বোস্তামি তখনো পারেনি মায়ের মাথার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। এটা দেখে তার মা তার জন্য অনেক দোয়া করে। 

একজন কে দেখেছি যে কিনা তার মায়ের মন জয়েন করার জন্য এমন কোন কাজ নাই যা করেনি। একটা ঘটনা বলি, তার ছেলের মায়ের মন জয় করার চেষ্টা মা বুঝতে পারে, এ যেন মাও থাকে অনেক পরিশ্রম করায়,তবুও মায়ের মন জয় করতে সে বারবার  ব্যর্থ।এমনই একদিন মা তার ছেলেকে পঞ্চাশ টাকা ধরে দিয়ে বাজারে পাঠিয়েছে এক কেজি আলু নিতে। আলুর কেজি ত্রিশ টাকা হলেও সে তার মাকে বলে যে আলুর কেজি আজকে বিষ টাকা নিয়েছে, আগে থেকে তার কাছে থাকা দশ টাকা মিলিয়ে মাকে ত্রিশ টাকা ফিরিয়ে দেয়। মা এতে খুশি না হয়ে তাকে আরও একশত টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে আরো পাচ কেজি আলু নিয়ে আয়!এটা হল এযুগের কাহিনী। একবার ভেবে দেখুন তো আর যদি বাইজিদ বোস্তামীর মত কোন ছেলে তার মায়ের জন্য পাড়ি নিয়ে সারারাত জেগে থাকতো,তাহলে তার মাথা কি বলতো।আমার মা হলে  বলতো, তুই একটা গাধা হয়তো আমাকে মেরে মেরে বালিশ বানিয়ে তারপর ছেড়ে দিত, আমার মায়ের কাছে আমি আজীবন বোকাই থাকতাম। মা বলতো আরে পাগলের ঘরের পাগল আমি ঘুমিয়ে পড়েছি তাতে কি পানিটা পাশে রেখে তুইও তো ঘুমাতে পারতি।    
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন