বেকার সমস্যা যে কোন দেশ ও জাতির প্রধান সমস্যাগুলোর একটি। আর সেটা যদি হয় বাংলাদেশ তাহলে তো কথাই নেই। বিভিন্ন সূত্র মতে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দুই কোটিরও বেশি। সংখ্যা দিয়ে খুব কম মনেহলেও বাস্তবে এই সংখ্যাটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠি। পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি বেকার আছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেকাররা নির্যাতনের শিকার হয় বেশি! বেকার বলতে আমরা কি বুঝি? কাজ করতে ইচ্ছুক ও সক্ষম, যারা কাজ পায়না তাদের বেকার বলে। অর্থ্যাৎ কাজ করার ইচ্ছা ও শাররিক শক্তি আছে কিন্তু তারা কাজ পায় না, তারাই বেকার। একজন বেকার দিনের পর দিন কাজ না পেয়ে হতাশ হয় না বরং তার মনোবল আরও দৃঢহয়। কিন্তু সরকার বেকারদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যে ছেলেটা কাজের জন্য সারাদিন ছোটাছুটি করে ক্লান্ত হয়ে ফুটপাতের চায়ের দোকানে বসে ভাবছে একটা চায়ের অর্ডার দেয়া যাক, পকেটে হাতদিয়ে দেখে মাত্র দুই টাকা কিন্তু চা তো তিন টাকা! তবে এদিকে সরকার বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য শত শত টাক ব্যাংক ড্রাফ নামক অন্যায় চাপিয়ে দিচ্ছে। ভাবতে পারেন? একজন বেকার যার পকেটে চা খাওয়ার জন্য তিনটাকা নাই, তারা কিভাবে আবেদন করবে। তবুও তারা শত কষ্ট করে একের পর এক আবেদন করেই যায়। আমি এমনও অনেক দেখেছি যারা পড়াশুনা শেষ করেছেন কিন্তু এখনো চাকরি করে না এমনকি কোন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন পর্যন্ত করে না! এর কারন একটাই তাদের ব্যাংক ড্রাফ করার টাকা নাই! এখন আবার দেখছি বে-সরকারি চাকরির আবেদনেও ব্যাংক ড্রাফ করতে বলে! আমি নিজের ভাষায় বিভিন্ন সরকারি চাকরির আবেদনে ব্যাংক ড্রাফকে নির্মম নির্যাতন বলে মনে করি। সবাই হয়তো ভাবছেন আমি পাগল নাকি? হয়তো আপনারা ঠিকই ভাবছেন! একটা চারির জন্য হাজার হাজার আবেদন পরে। তাদের পরিক্ষা নিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়, সেটা কি সরকারের পক্ষে দেয়া সম্ভব? বিভিন্ন যায়গায় প্রশ্ন করে, উত্তর পেয়েছি আমাদের কাছ থেকে ব্যাংক ড্রাফ নামক নির্মম নির্যাতন করা হয় তা আসলে আমাদের পরীক্ষার ফি হিসেবে নেয়া হয়। ব্যাংক ড্রাফ করার সময়ও তাই পরীক্ষার ফি বাবদ লিখি। সেটাও অস্বিকার করছি না। কিন্তু পরীক্ষার ফি টা কাদের পিছনে খরচ হয়? সেটাও উত্তর সবারেই জানা আমিও জানি, তবুও বলছি,সে টাকা টা বিভিন্ন ভাবে আমাদের পিছনেই খরচ হয়। যেমন ধরেন, আমাদের পরীক্ষা নেয়া, পরীক্ষার হলে যে সব শিক্ষরা গার্ড থাকেন তাদের সম্মানী ভাতা, যারা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন তাদের ভাতা। হয়তো ভাবছেন সবেই যদি যদি জানি তবে লেখার কারন কি? না আপনার ধারনা এবার ভূল প্রমানিত হবে! আসুন তবে সেটা কিভাবে খুলে বলা যাক...
আমি ব্যাংক ড্রাফ বা পরীক্ষার ফি নেয়ার ব্যাপারে ঘোর বিরোধী নই। তবে এর পরিমানটা কমানোর পক্ষে, আর তা না হলে ঐ টাকাটার যেন সদব্যবহার হয় মানে পরীক্ষার খাতা বাদে যে টাকা অবশিষ্ঠ থাকে তা যেন সরকারের কোন উন্নয়ন কাজে যা জনগনের কল্যাণে ব্যায় করা হয়। একটা পরীক্ষার জন্য পাচশত টাকা ফি নেয়াটা অযোক্তিক নয় বেআইনি অন্যায় নিরর্যাতনও বটেই। আর যে পরীক্ষা কিনা দুইটা কাগজেই নেয়া হয়। একটা প্রশ্ন পত্র আর একটা উত্তর পত্র বা ওএমআর। তবে কেন কাদের স্বার্থে একটা পরীক্ষার জন্য এতো টাকা ফি নেয়াহয়? ঐ একই কারনে পিএসসি,জেএসসি,জেডিসি,এসএসসি,দাখিল,এইচএসসি, আলিম,ডিগ্রী,ফাজিল,অনার্স,কামিল পরীক্ষার ফি ও কমানো উচিত।
ঠিক বলেছেন
উত্তরমুছুনআরও কিছু লিখুন
উত্তরমুছুনযুক্তিগুলা অসাধারণ
উত্তরমুছুনমন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ,ভালো থাকবেন সবসময়।
মুছুনঅসাধারণ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ,আমার অনান্য লেখাগুলো দেখার আমন্ত্রণ রইলো
মুছুন