চেনা নাই জানা নাই, কোন অপরিচিত রাস্তার মূনুষ যদি একটু পানি খেতে চায়, সম্ভব হলে তাকে ভাত খাওয়াই! নেহাতেই সেটাও যদি সম্ভব না হয় তার পরেও একটা বিস্কুট হাতে দিয়ে পানি খেতে দেই। তবুও খালি পানি খেতে দেই না। একারনেই আমরা বিশ্বের কাছে অতিথী পরায়ন জাতি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এতো কিছুর পরও আমরা য়ে হিংস্র জাতি তার হিসেব কম নয়! একদিকে আমরা যেমন অতিথী পরায়ন অপরদিকে ঠিকই আমরা হিংস্র জাতি! তবে অতিথী পরায়ন হিসেবে আমরা বেশী পরিচিত, এজন্যই হিংস্র হিসেবে সেভাবে পরিচিত হতে পারিনি এটা আমাদের অক্ষমতা! সৈদি কূটনৈতিক, ইতালি নাগরিক সিজার তাবেলো, জাপানি নাগরিক কনিয়ো হোশি এবং সর্বষেশ গুলশান হামলায় আমাদের আতিথীয়তার সবচেয়ে বড় নজির দেখা গেছে। এর পরেও অন্যরা কেন যে আমাদের অতিথী পরায়ন বলে তা কিছুতেই বোধগম্য নয়। আর আমরা সেই তাকমা পেয়েই "নিজের গর্বে গর্ভবতি হই "। এতো গেলো বিদেশিদের উপর আমাদের আতিথীয়তার উদাহরন। দেশের ভিতর দেশের জননের সাথে এমনকি এলাকার লোকজনের সাথে এরকম লুন্ঠিত অতিথী পরায়নের নজির দেখা যায়। যেটাকে "লুন্ঠিত মানবতা "হিসেবে উপস্থাপন করা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না.............
নাসিমার দাদি শ্বাশুড়ীর শরীরের অবস্থা খুব ভাল নয়। কয়েক বার ডাক্টারের কাছে নেয়া হয়েছে। সর্বষেশ বলা হলো তার কিডনিতে পাথর ধরা পরেছে! একারনে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলো। সাথে নাসিমা ছাড়াও তার ফুপু শ্বাশড়ীও গেল। ডাক্টার দেখা ষেশ হলে তারা বাড়ীর পথে যাত্রা করে, কিন্তু তার আগেই নাসিমার প্রসাবের চাপ দেয়। লজ্জার কারনে সেটা কাউকে বলে না নাসিমা সেই চাপ নিয়েই বাসে উঠে নাসিমা। কিন্তু প্রকৃতির চাপকি সহ্য করা যায়? বাস স্টপ থেকে নেমে নাসিমাদের বাড়ী ৭-৮ কিলোমিটার হবে এটুকুই আর আসতে পরেনা নাসিমা। তাই বাস স্টপের কাছে একটা বাসায় ঢুকলো কাজ সারার জন্য। যখনেই তার সমস্যার কথা বল্লো তখনি বাড়ীর লোকজন বল্লো আমাদের যায়গানাই! পরে জানতে পারলাম শহরের মানুষরা এমনেই হয়? কেই প্রসাব পায়খানে করতে চাইলে তারা বলে যায়গানেই! সেটা শুনে নাসিমা বল্লো আপনারা কোথায় করেন? আপনারা যেখানে করেন সেখানে হলেই আমার হবে। এটা বলার পর ঐ মহিলা ফেপে গেলেন। সেটা দেখে সম্ভবত ঐ মহিলার শাশুড়ী হবে, বল্লো আমাদের বাথরুমতো একটাই সেখানে পুরুষ মানুষ গোসল করছে। ও ঠিক আছে সেটাই বলেন কিন্তু ও রকম করে বলছেন কেন? নাসিমার কাছথেকে শুনেছি মহিলাটি খুব বিরক্তবোধ করে মেজাজ দেখিয়ে কথা বলেছিল। সেই কথা শুনার পর মহিলাটি আরও রেগে গিয়ে বল্লো "যা বাথরুমে পুরুষ মানুষ গোসল করছে সেখানে গিয়ে মুতে আয় "! এবার নাসিমা প্রতি উত্তরে বলছে ছি কি বেয়াদব মহিলারে নোংরা কথা বলেন কেন আর তাদের বাড়ী থেকে বেরিয়ে বসছে। কিন্তু পিছন থেকে বাড়ীর লোকজনও হাতে লাঠি নিয়ে বেড়িয়ে আসছে, নাসিমাকে মারবে বলে! সেটা দেখে নাসিমা তারাতারি মেইন রোডে উঠলো। পরিচিত এক দোকানদার দেখে বল্লো কি হয়েছে নাসিমা? উপায় না দেখে তাকে সব কিছু খুলে বল্লো নাসিমা। ঐ দোকানদার তখন নাসিমা কে সেভ করার জন্য দোকানে ঢুকতে বল্লো। নাসিমাও তাই করলো। এর পরেও তারা লাঠি হাতে রাস্তায় দারিয়ে থাকলো কখন নাসিমা বের হবে আর বের হবারর সাথে সাথেই তাকে মারবে। এটা দেখে নাসিমা আরও হতোভম্ব হয়ে পরছে, আর লজ্জায় কেদে ফেলছে। সেটা নাসিমার পূর্ব পরিচিত মেয়ে দেখতে পেলো। এর আগেই ঐ দোকানদার নাসিমাকে বল্লো ওরা ভাল মানুষ নয় ওরা ওরকমেই। কি হয়েছে জানতে চাইলে তাকেও সব খুলে বলে নাসিমা। সেই পূর্ব পরিচিত মেয়েটি বলে আসেন এখানে আমার এক ছাত্রের বাসা আছে সেখানে যাই। বলে নাসিমাকে হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে তার ছাত্রের বাসা যাচ্ছে সেই রাস্তার পাশেই ঐ মহিলার বাসা যেখানে নাসিমা প্রথম গিয়েছিল। তারা তখনো লাঠি হাতে সেখানে দাড়িয়ে আছে! নাসিমারা সেখান দিয়ে যেতে চাইলে তারা আবারও বাধা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সেখান দিয়ে যেতেই দেয় না। এই কান্ড কারখানা দোকানদাররা নির্বিকার দেখছে আর মজা লুটছে! তবে একটা হোটেলওয়ালা তার হোটেল দিয়ে একটি বাড়ীতে যেতে বলে। ততক্ষনে গোটা শহরে এই কহিনি সবার মূখে মূখে পৌচ্ছে গেছে। সেই লুকান পথদিয়ে একরকম চোরের মতো নাসিমা ও তার পরিচিত মেয়ে তার ছাত্রের বাসায় নিয়ে গেল। এই হচ্ছে আমাদের আতিথীয়তার নজির। টাকা চাইলো না পয়সা চাইলো না, এমনকি খেতেও নয়। জানি না এসব চাইলে কি হতো? যেখানে শুধু প্রসাব করতে চেয়েছে তাতেই এই অবস্থা। এরকম ছোট খাটো ঘটনা অহরহই ঘটছে কিন্তু তার কোনটাই প্রকাশ পাচ্ছে না। আর একারনেই আমরা যে হিংস্র জাতি তা কেউ একটুও জানতে পারছে না। তারা একটুও ভাবলোনা মানুষ তো মানুষের জন্য শুধু একটু সহানুভতি, তারা এটাও ভাবলোনা তাদেরও তো এমন সমস্যা হতে পারে, তখন তারা কি করবে? যেটা বুঝলাম তাদের মাঝে একটুও মামবতা নৈই। তাই ভাবছি তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী মামলা করা যায় কি না। কিন্তু না এ সব বিষয় মানুষ জানতে পরলে হাসি ঠাট্টার পাত্রে পরিনত হতে হবে। তবে আমি নিশ্চিত তাদের এমন সমস্যা হবেই হবে। আর যে নাসিমাকে এভাবে অপমান করলো তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী অপমানিত হতে হবে! হয়তো সেই মহিলাকে ঐ একই কারনে ধর্ষেনের শিকার হতে হবে!
যান্ত্রীক জীবন
উত্তরমুছুনঠিক তাই,ধন্যবাদ আপুনি
মুছুন