সাঈদীঃমানবতাবিরোধী অপরাধীর মৃত্যু

আওয়ামীলীগ পন্থী  হওয়ায়,১৫ ই আগস্ট নিয়ে গতকালের পোস্টটি তৈরি করার পরেই ফেসবুকে গিয়ে দেখি,মানবতাবিরোধী আপরাধে  অভিযুক্ত কারাবাসী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মৃত্যু বরণ করেছে।যিনি পৃথিবীর অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন।ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়ায় স্বাভাবিক  ভাবে অন্যদের মতো আমারও খারাপ লাগে।কিন্তু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও তার পরবর্তী সময়ে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে  নিয়ে প্রশ্ন  উঠায়,সে খারাপ লাগা আর কোন গুরুত্বই পায় না।যদিও সাঈদী যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র বিরোধী ছিলেন,কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদ হওয়ায় তাকে নিয়ে নেতিবাচক লেখার কোন চিন্তাই করিনি।কারন আমাকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক কোনকিছু না বলাই উত্তম।যদিও মানবতাবিরোধী আপরাধী সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে প্রকাশ্য আন্দোলন করেছি।কিন্তু আজ তার মৃত্যুতে তার বিরুদ্ধে আমার আর কোন অভিযোগ নাই।
আমি আওয়ামী লীগ পন্থী হওয়ায় যেমন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখতে পারি।ঠিক তেমনি তার অনুসারী জামাত-শিবির বিএনপিরা তাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতে ও বলতেই পারে।এতে আমার নাক গলানোর দরকার ছিলোনা।তাকে নিয়ে কোন কিছু লেখার চেয়ে না লেখায় উত্তম  মনে করেছি।কিন্তু তার অনুসারী ভন্ড ও মিথ্যাচারী  বিএনপি-জামাত শিবিরের কথার বিস্ফোরের জবাব দিতে গিয়ে হলেও তার বিরুদ্ধে৷ 
বিরুদ্ধাচারণ করতেই হচ্ছে।তার বিরুদ্ধে যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়,তার পরবর্তী এক ওয়াজ মাহফিলে সাঈদী নিজেই বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধাঅপরাধের অভিযোগ আনছে,তারা পিতার  পরিচয়হীন জারজ সন্তান।যা একজন  ইসলামিক স্কলারের মুখে আশা করা যায়। না।তার অনুসারীরা ছড়িয়ে এ বেড়াচ্ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাঈদী ছিল কিশোর বয়সী।সে সময় তার বয়স ছিলো ১৭ বছর, আবার কেউ কেউ সাত বছর হিসেবে উল্লেখ করেছিল।কিন্তু তাদের উল্লেখিত নথি থেকেই জানা যায় এই দেলোয়ার হোসেন সাঈদী অথবা দেল্লা রাজাকারের জন্ম হচ্ছে ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৪০!এমনকি তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মাসুদ সাংবাদিকদের জানায় তার বাবা গত ৫০ বছর ধরে ডায়াবেটিকস এ ভুগছে!মাসুদের বক্তব্য দেখুন।

২০১৩ সালের ঘটনা তো সবারই জানা,এই জামাত-শিবির অনুসারীরাই সাঈদীর চাঁদে যাওয়ার  গুজব রটিয়ে সারাদেশে কি অরাজকতারাই না সৃষ্টি করেছিল।যা এখনো অনেক জামাত-শিবিরাই বিশ্বাস করে না সেদিন সাঈদীকে চাঁদে দেখা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা ছিল।
যারা এমন ভাবে গুজব রটিয়ে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে।সাঈদীর মৃত্যুর পরেও এ গুজব রটনাকারিরা থেমে নেই।তারা গুজব ছড়াচ্ছে সাঈদীর মৃত্যুর পরপরই নাকি ভূমিকম্প হয়।এটা নাকি কোন কাকতালীয় বিষয় নয়,এটা সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত সংকেত।এসব আজগুবি কাহিনী বানিয়ে  সাধারণ ধর্ম প্রাণ  মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়।এমনকি আজ যদি পৃথিবীর কোন জায়গায় বৃষ্টি হয় তাহলে জামাত শিবিরের এই গুজব সৃষ্টিকারী দলটা হয়তো বলতেও পারে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে সাত আসমান সহ কাঁদছে।

দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বলতে চাই যে,অন্তত পক্ষে এই কয়েকদিন জামাত-শিবিরের এমন কোন গুজবে কান না দেওয়া,যাতে দেশের শান্তি-শৃংখলার চরম অবনতি না ঘটে।এরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পৃথিবীর এমন কোন কাজ নাই যা করতে পারে না।দেশবিরোধী এসব অপশক্তিগুলো যেন আর মাথা তুলতে না পারে এদিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন