দৃষ্টি ভঙ্গি

ইট-পাথরে গাথা যান্ত্রীক শহর ঢাকা।এখানকার মানুষ জনের চলাফিরাও যান্ত্রীক।এক কথায় রোবোট মানুষ!একই বাসায় পরিচিত কেউ থাকলেও কোনদিন কারও দেখাহয় না।পথে ঘাটে চললে কেউ করো দিকে তাকায় না।সবাই নিজ গতিতে নিজেদের গন্তব্যের পানে ছুটে চলে অবিরাম।কেউ বিপদে পরলে অনেক সময় কেউ ফিরেও তাকায় না।আবার অনেক সময় নির্বিকার দর্শক হয়ে বিপদগ্রস্তের বিপদ দেখতে থাকে।এই হলো চিরোচেনা ঢাকার রুপ।এসব দেখতে দেখতে নিজেও অভস্থ হয়েগেছি।নিজেও কাঠ-পাথরের মতো রোবোট মানুষ হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।আর ঢাকার মানুষ জনের প্রতি একটা নেতিবাচক ধারনা লালন করেছি।ঢাকার মানুষের মানবতা নেই,এরা স্বার্থপর,সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যাস্থ এরকম আরও কতো কি।


কিন্তু আজ যে ঘটনা টা আমার নিজের সাথে ঘটেগেল, তা নিজেও এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পরাছি না। ঢাকাবাসীর প্রতি পুরো দৃষ্টিভঙ্গি একপলকেই ৯০ডিগ্রী ঘুরেগেছে।
বাসাথেকে বেড় হয়ে নিজের গন্তব্যের জন্যে একটা সিএনজিতে যাচ্ছি,যাত্রী বেশী ছিলনা আমরা দুজন আরও দুজন।পিছনে আমি আরএক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক।সিএনজি পরিবর্তনের জন্য মাঝপথে আমরা দুজন নেমে যাই।নেমেই পরের সিএনজিতে উঠে পরি।কিছুদূর যেতেই পকেটে হাতদিয়ে দেখি সাধের প্রিয় মোবাইলটা নেই।সাথে সাথেই আপরজনকে জানাই,সেই সাথে দুজনেই নেমে পরি।সিএনজি থেকে নেমেই ফোনদেয় আমার সাথের জন,প্রথম ফোনটা কেউ রিসিভ করেনি।পরের ফোনেই রিসিভ হয়।ফোনটা রিসিভ করে আমার পাশের ভদ্রলোক।তিনিও কিছুদূর এগিয়ে সিএনজি থেকে নেমে পরেন।ফোন পেয়েই তিনি বলেন আমি অমুক যায়গায় দাড়িয়ে আছি।আমরা তারতারি সেখানে যেতে আরএকটি সিএনজিতে উঠি।মিনিট তিনেক পরেই রাস্তার পাশেই দেখতে পাই ভদ্রলোক ফোনটা নিয়ে দাড়িয়ে  আছেন। যাওয়ার সাথে সাথেই তিনি ফোনটি দিয়ে দিলেন!আমিও স্রেফ ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসার সময় ওনার ফোন নাম্বার নিয়ে নিলাম।নিজের কাছে এখনো তা কাল্পনীক মনেহচ্ছে।একজন ব্যাস্তমানুষ কেন ফোনটি ফিরিয়ে দিলো?কেনইবা ফোনটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ২০ মিনিট দাড়িয়ে থাকবে?
১০/০২/২০১৮ইং

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন