Monetize your website traffic with yX Media

৮ ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস

৩৬৫ দিনের মধ্যে আলাদা করে নারীদের জন্যই শুধু একটা দিন।৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস।বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। সেই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।
প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস।সারা বিশ্বব্যাপী নারীদের একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিনটি উদ্‌যাপন করে থাকেন।বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্‌যাপনের লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়।কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্‌যাপনের মুখ্য বিষয় হয়,আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা বেশি গুরুত্ব পায়।

যদিও আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম প্রাণী হচ্ছে স্ত্রী লিঙ্গ!তবে তাদের প্রতি সম্মান কোন আংশে কম নয়।সবার জীবনে নারীদের ভূমিকা অপরিহার্য।এতে কেউ কেউ সর্বোচ্চ উঁচুতে পৌছুতে পারে,আবার অনেকে সর্বহারা হয়ে পরে।সবার গল্পটা এক হয় না এক এক জনের গল্প এক এক রকমের।সে গল্পগুলো না হয় আর একদিন বলা যাবে। 

এই দিবসটি উদ্‌যাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পুরনো ইতিহাস।১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা,কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন।১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন।১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন।এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন।সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে।অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।


বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।তন্মধ্যে আফগানিস্তান আর্মেনিয়া আজারবাইজান  বেলারুশ  বুরকিনা ফাসো,কম্বোডিয়া ,কিউবা জর্জিয়া  গিনি-বিসাউ,ইরিত্রিয়া,কাজাখিস্তান,তাজিকিস্তান ,লাওস,মলদোভা ,তুর্কমেনিস্তান মঙ্গোলিয়া,  , রশিয়া,তাজিকিস্তান ,উগান্ডা,ইউক্রেন,উজবেকিস্থান ,ভিয়েতনাম এবং জাম্বিয়া

এছাড়া, চীন মেসিডোনিয়া , মাদাগাস্কার  নেপালে শুধুমাত্র নারীরাই ৮ ই মার্চ সরকারি ছুটির দিনভোগ করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন
Monetize your website traffic with yX Media