জ্ঞান অর্জন,শিক্ষা বা পড়াশুনাকরার মূল উদ্দেশ্য কখনেই টাকা রোজগার করানয়।এটা আমরা কমবেশী সবাই জানি।কিন্তু মনি কয়জন?আর সেটা যদিহয় বাংলাদেশ তাহলে তো সেখানে নীতিকথার কোন বালাই নাই।এখানে নীতিকথা সবাই শোনে কিন্তু মানে কজনে?এ দেশে রন্ধে রন্ধে অনিয়মে ভড়া!
তবুও যখন কেউ,শিক্ষার বিনিময়ে দু,বেলা ভাতের আহাজারি করে,তখন আর বুঝতে বাকিথাকে না যে, সত্যি এই মানুষটার দেয়ালে পিঠ ঠেকেগেছে!এমন একজন মানুষ যখন,এভাবে আহাজারি করে তখন বুঝতেহবে,মানুষটা তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টাকরেছেন কিন্তু,আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আলমগীরকে দু,বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে পারে নি।তাই তিনি নিজের শেষ অস্ত্র শিক্ষাকে ভাতের বিনিময়ে বিক্রিকরতে চাইছেন!
তবুও যখন কেউ,শিক্ষার বিনিময়ে দু,বেলা ভাতের আহাজারি করে,তখন আর বুঝতে বাকিথাকে না যে, সত্যি এই মানুষটার দেয়ালে পিঠ ঠেকেগেছে!এমন একজন মানুষ যখন,এভাবে আহাজারি করে তখন বুঝতেহবে,মানুষটা তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টাকরেছেন কিন্তু,আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আলমগীরকে দু,বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে পারে নি।তাই তিনি নিজের শেষ অস্ত্র শিক্ষাকে ভাতের বিনিময়ে বিক্রিকরতে চাইছেন!
একজন স্নাতকোত্তর করা মানুষ যখন স্নাতকোত্তর শেষ করার পরেও বাবার কাছে টাকা চায়,তখন তার ভিতরটা কেউ দেখেনা।তবুও নিরুপায় হয়ে অনেকে নিলর্জের মতো বাবার কছে টাকা নেয়।আর সেই মানুষটার সংসার যদি,"নুন আন্নে পান্তা ফুরায়" অবস্থা হয় তাহলে স্নাতকোত্তর করা মানুষটার মরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
কিন্তি আলমগীর এখনো মরে যায়নি,বেচে থাকার প্রাণপন চেষ্টাকরছে।
জয়পুরহাটের এক গরীব ঘরে তার জন্ম।লেখা-পড়া করার দূঃসাহস দেখিয়েছেন।অনেক কষ্টকরে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন।কিন্তু চাকরী-বাকরী না পেয়ে আজ অসহায়ত্ব বরন করেছেন।গরীব বাবার কাছথেকে টাকাপয়সা চাওয়ারমতো দূঃসাহসও তার নেই।
স্নাতকোত্তর শেষ করার পর টিউশনি করিয়েই কোমনতে দিন যাচ্ছিলো,তাতে করোনার হানা সবকিছুরমতো আলমগীরের টিউশনিও বন্ধহয়ে যায়।খেয়ে না খেয়ে দিন জাপন করতে হয় তাকে।
মেসের বিল দিতে না পারায় একসময় মেসও ছেড়েদিতে হয়!এরপর এক বন্ধুর বাড়ীতে ঠাইহয় আলমগীরের।তবে খাওয়ার চিন্তাথেকেই যায়।অনেক খোজাখুজির পর ১৫০০ টাকা বেতনের একটা টিউশনি যোগার হয়।এই ১৫০০ টাকায় নিজের হাতখরচ,তিনবেলা খাওয়া ও বিভিন্ন চাকরীর পরীক্ষা দিতে ঢাকায় যাতায়াতখরচ কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তাই বাদ্ধহয়ে আলমগীর আত্মহত্যা না করে,দূ,বেলে ভাত খাওয়ার শর্তে টিউশন খুজতে দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার টানিয়ে দেন।
আলমগীরের এমন ঘটনার পর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রকৃত সত্য ফুটেউঠেছে।আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যে বর্তমানে তো নয়েই ভবিষ্যৎতে কোন কাজে আসবে না,সেটাই মনে করিয়ে দেয়।
আলমগীরের মতো এমন অবস্থা আর যেন কারো না হয়।আমাদের সমাজে এমন কেউকি নেই,যিনি আলমগীরের এমন করুন অবস্থা থেকে তাকে দূ,বেলে ভাতের ব্যবস্থা করেদিতে পারে?