আত্মহত্যা কখনেই সামাধানের পথহতে পারে না

জীবনে নানা ঘাতপ্রতিঘাত থাকবেই,জীবনটাই যে যুদ্ধের।পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যার জীবনে দূঃখ,কষ্টের মধ্যে নেই।জীবনের জন্য যুদ্ধ অপরিহার্য।জীবনে যুদ্ধ হবে নিজের সাথে নিজের,নিজের পরিবার,সংসার,সমাজ,রাষ্ট্রোর সাথে।আমাদের সাথে ঘটেযাওয়া ঘটনাগুলো নিয়েই আমাদের জীবন।যারা জীবনে চলার পথে এই ঘটনাগুলোকে সবসময় স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনা তারাই,নিজেদের সুন্দর এ জীবনটাকে বিপদেরদিকে নিয়ে যায়।অনেক সময় নিজের এ সুন্দর এ জীবনটা নিমেষেই শেষকরে দিতে পারে।কেউ কেউ নিজের জীবনটা শেষ করে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েফেলে।এর মধ্যে কেউ নিজের জীবনে শেষকরে দেয়।কেউ কেউ আবার খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসে আবার নতুন করে জীবন সাজিয়ে গুছিয়ে নেয়।কিন্তু আমরা চাইনা কেউ এভাবে নিজের জীবন নিজেই শেষকরে দেয়।কিন্তি আমাদের চাওয়াই শেষ নয়।তবুও এরকমটা হর হামশাই ঘটেথাকে যখন নিজের জীবনটা নিজেই শেষ করে দেয়।আর এমটা যদি সমাজের দায়িত্বশীল কোন মানুষ করে থাকে,তা হলেতো কোন কথাই নাই।যিনি একাধারে, সাংবাদিক,সাহিত্যিক,কবি,অনুবাদক।এ রকম একজন মানুষের এমন কাজ আসলেই আমাদের সবাইকে হতাশ করেদেয়।এমন একজন মানুষ যদি এমনকরে তাহলে সাধারন মানুষজন কি করবে?তারা কি করে নিজেদের জীবকে কিভাবে সাজাবে?

এমনি একজন মানুষ কবি,সাংবাদিক, সৌরভ, যিনি কি না রাজধানীর বাড্ডার লিংক রোড এলাকার একটি বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ‘ফাঁস দেওয়া’ সৌরভ মাহমুদ্ (২৪)কবিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে।শনিবার বিকালে সৌরভ মাহমুদ নুর নামের ওই কবি‘আত্মহত্যা’ করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।তিনি বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তার সহকর্মীরা। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।শনিবার বিকালে খবর পেয়ে সৌরভের সাবেক সহকর্মী কবি সৈকত আমিনসহ কয়েকজন তাকে বাসা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৬টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান।

সৌরভ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কাঁচিঝুড়ি গ্রামের শাহজাহান মাহমুদের ছেলে।মাত্র বছরে জীবন সাঙ্গ করে চলে যাওয়া এ কবি ছিলেন একজন অনুবাদকও। 'মাও সে তুঙ এর নির্বাচিত কবিতা' এবং 'চিৎকার বব মার্লের গান'- তার অনুবাদকৃত বই। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় সৌরভ মাহমুদ- সৈকত আমীন ও মেহেদী হাসান রাশেল এর যৌথ কবিতাগ্রন্থ 'গন্ধম'।

মৃত্যুর সময় এ তরুণ কবি মা, বড় দুই বোন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


একজন দায়িত্বশীল মানুষের কাছে এমনটা কেউ কোনদিন প্রতাশ্যা করেন না।এটা ঠিক যে,একজন মানুষ খুব সহজে আত্মহত্যার পথবেছে নেয় না।তারপরও যতোকঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জীবন অতিবাহিত হোকনা কেন তার সামাধান কখনেই  আত্নহত্যা হতে পারেনা।আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে হবে আপনার মৃত্যুতে আপনি হয়তো মনেকরছেন আপনি বেচে গেলেন!কিন্তু না আপনি জীবনথেকে পালিয়ে বাচতে পারবেন না।এমন কি আপনার এমন মৃত্যুর সাথে আপনার পরিবার,সমাজ,ছাড়াও আরো অনেকে বেচে থেকেও মারাগেছেন।

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন