সাথে থাকলে সঙ্গী দূরে গেলে জঙ্গী" উক্তিটি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সময় (২০১৩-২০১৭) বহুল আলোচিত উক্তি।সে সময় জামাতি ইসলামি বাংলাদেশের বহু নেতার নামে যুদ্ধাপরাধের মামলা হয়,এমন কি একই অপরাধের কারনে জামাতি ইসলামের কয়েকজন প্রথম সারির নেতার ফাঁসিও হয়।এরও আগে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার একসময় সরকার পতনের অন্দোলনে জামাতের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে অন্দোলন করেছে।সেই আওয়ামীলীগ সরকার যখন জামাত নেতাদের সাথে এমন ব্যবহার করছে, জামাত নেতাদের সরাসরি জঙ্গী বলছে।ঠিক সেই সময়,জামাত নেতাদের ব্যঙ্গাত্মক উক্তিছিল "সাথে থাকলে সঙ্গী দূরে গেলে জঙ্গী"
সে সময় বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনা হয়।বড়বড় মিডিয়ার শিরোনাম হয়।বিবিসি,আলজাজিরা সহ অনেক মিডিয়াই বিভিন্নভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার যেষ্টা করেছে।তারা যদ্ধাপরাধ বা মানবতাবাদী অপরাধকে গৌন করে,অপরাধীদের রাজনৈতিক ও ধর্মিয় পরিচয়কে মূখ্যভাবে প্রচার করতে থাকে। যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবাদী অপরাধের সময় তাদের শিরোনাম ছিল..মানবতাবাদী অপরাধে বাংলাদেশে ইসলামী চিন্তাবিদের ফাঁসি।
যদিও বিবিসি নির্ভরযোগ্য,নিরোপেক্ষ সাংবাদ মাধ্যম তানিয়ে সংশয় ছিলনা।এর প্রমাণ বহু অগেথেকেই পেয়েছি।তারা খুব সুন্দর ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের খবরাখবর পরিবেশন করত।তার পরও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তাদের পরিবেশনা পক্ষপাতদুষ্ট মনেহয়েছিল।সেসময় যারা যুদ্ধাপরাধরে বিচারের বিপক্ষে ছিলেন সাধারনত তারা বিবিসিকে বাহবা দিচ্ছিলেন আর যারা পক্ষেছিলেন তারা বিবিসির সমালোচনা করবে এটাই সাভ্বাবিক বিষয়।
কয়েকদিন আগে,বিবিসি দাড়ী নিয়ে একটি গবেষণাধর্মি রিপোর্ট প্রকাশ করে,যে ......... এনিয়ে দাড়ীরাখা মানুষজন বিশেষ করে মুসলমানদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টহয়।
দাড়ী রিপোর্টের পরপরেই একসময়ের ক্রিকেট বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব-আল হাসান মুখ ভর্তিদাড়ীর ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন।সেটা নিয়েও কম মাতামাতি হয়নি,সাকিবের এই মুখ ভর্তি দাড়ী বিবিসির রিপোর্টের নিরব প্রতিবাদ বলে আখ্যাপায়।
এরও আগেও সাকিব দাড়ীরেখে মুসলমানদের মন জয়করেছিলেন।সে সময় মুসলমানরা সাকিবের অনেক প্রসংশা করলেও,যখন সে দাড়ীকেটে ফেলা তখনও সমালোচনার ঝড়বয়েযায়।
এর পর সাকিব যখন হজ্বকরা কালিন সময়ের ছবি প্রকাশ করে তখনও সাকিবের প্রসংশার অভাব হয়।২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে লাল রং না থাকায় সাকিব তার মেয়েকে লাল রংয়ের জামাপরিয়ে ছবি আপলোড দেয়াও সাকিবের প্রসংশায় ভাসে গোটাদেশ।
আর যখন একটু স্কিনফিট পোশাকে স্ত্রীর ছবি প্রকাশ পায় তখনও সাকিবকে তুলাধুনা হতেহয়।শুধু এটাই নয় ভালো খেললে "বাংলাদেশের জান সাকিব-আল-হাসান" আর খারাব খেললেতো কথাই নাই।কত কত সমালোচনা যে তাকে সহ্যকরতেহয়।
আর যখন একটু স্কিনফিট পোশাকে স্ত্রীর ছবি প্রকাশ পায় তখনও সাকিবকে তুলাধুনা হতেহয়।শুধু এটাই নয় ভালো খেললে "বাংলাদেশের জান সাকিব-আল-হাসান" আর খারাব খেললেতো কথাই নাই।কত কত সমালোচনা যে তাকে সহ্যকরতেহয়।
বাংলদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক ও নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদেস্য মাশরাফী-বিন-মত্তুর্জা যখন সংসদ নির্বাচনে অংশনেয় তখন তাকে কত সমালোচনার মুখোমুখি হতেহয়েছিল তা কে না জানে?অথচ নড়াইল হাসপাতালের ভিডিও চিত্রনিয়ে অনেকে তার প্রসংশা করেছেন।সংসদ নির্বাচনে অংশনেয়ার কারনে যারা তাকে বয়কট করেছিল,এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত কামনা করেছিল,তারাই আজ মাশরাফীর জন্য নফলনামাজ আদায়করে!
কি বলতে চান?
ردحذف