সর্বপ্রথম পহেলা বৈশাখ চালু করেন সম্রাট আকবর। তখন থেকেই পহেলা বৈশাখ বাংলার সকল সম্প্রদায়কে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে।
কিন্তু আইয়ুব খান ১৯৬৭ সালে পহেলা বৈশাখ পালনকে হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব বলে আখ্যা দেন। এর পিছনে কিছু কারন ছিল। আইয়ুব সরকার দেখতে থাকে এই উৎসব ক্রমে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে পরিনত হচ্ছে, এর প্রভাবে বাঙ্গালীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। আর যেহেতু সমগ্র পাকিস্তানে ইসলাম ধর্মের মানুষ বেশী ছিল তাই কৌশলে পহেলা বৈশাখ পালন কে হিন্দু সংস্কৃতি বলে, তা থেকে মুসলমানদের দূরে রাখরা চেষ্টা করেছেন। তিনি চিন্তা করেছিলেন এর ফলে হিন্দু-মুসলিম বিরোধ সৃষ্টি হবে আর সে ফায়দা লুটবে। মূলত আইয়ুব খানের এরুপ ঘোষণা ছিল বাঙ্গালী জাতির শত বছরের সাংস্কৃতির মূলে কুঠারঘাত।

এরও আগে ১৯৪৯ সালে বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়। এর কারন হিসেবে দেখান হয় যে, বাংলা বর্ণমালার কতিপয় সংস্কৃত বর্ণ আছে যেগুলো হিন্দুরা ব্যবহার করে। তাই বাংলাকে সংস্কৃত মুক্ত তথা পবিত্র করার লক্ষ্যে এ ভাষার বর্ণমালার সংস্কারের প্রয়োজন। ভাষা সংস্কার কমিটি বাংলা বর্ণমালা থেকে ঈ,ঊ,ঐ,ঙ,ঞ,ম,ষ,ঢ়,ক্ষ,ৎ,ঃ বর্ণ বাদ দিয়ে অ্যা বর্ণ যুক্ত করার পরামর্শ দেয়। সচেতন বাঙ্গালীরা আইয়ুব সরকারের ফাদে পা দেয় নি। বাঙ্গালীরা এটা করতে দেয় নি। কিন্তু তা পরও যে আইয়ুর খান ষড়যন্ত্র থেকে পিছুহটেনি। ষড়যন্ত্র লেগেই ছিল। এই পদক্ষেপ ব্যর্থ হলে আইয়ুব খান
১৯৫৯ সালে রোমান হরফে বাংলা ও উর্দূ লেখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং একটি কমিটি গঠন করেন। তা ব্যর্থ হয়, ১৯৬৮ সালে আবার রোমান হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ গৃহীত হয়। আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের অপরাধে সরকার ১৯৬৬ সালে ইত্তেফাক সহ প্রগতিশীল বিভিন্ন প্রকাশনা নিষিদ্ধ ষোষণা করে। ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন পুস্তুক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং এগুলোর প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বাংলায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলার পিছনে রবীন্দ্রনাথের উৎসাহ অনুপ্রেরণা হিসবে কাজ করে বিধায় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগণ প্রথমে ১৯৬২ সালে পরবর্তিতে ১৯৬৭ সালে আবার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পরও বাঙ্গালীদের দমিয়ে রাখা যার নি। বাঙ্গালীরা নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে কি হিন্দু কি মুসলমান, সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে একসাথে সামনে এগিয়ে গেছে।

>
>
>
উপরক্ত কথা গুলো এজন্যই বলা হল যে
, এই দেখুন আর কয়েক দিন পর বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব "পহেলা বৈশাখ"। আর এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধবাদিরা এখনো সোচ্চার।,এখনো তারা বলে চলছে এটা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি, বিজাতীয় সংস্কৃতি, ইসলামে এটাকে না জায়েজ বলা হয়েছে, ইত্যাদি বলে বাংলার মানুষকে আবার ও সাম্প্রদায়ীক মনেভাব গড়েতুলার পায়তারা করছে।>
>
উপরক্ত কথা গুলো এজন্যই বলা হল যে
এ সব কিসের লক্ষণ? এদের সাথে আইয়ুব সরকারের কি কোন মিল খুজে পান? মূল কথা হচ্ছে এরা এখনো বাংলাকে মেনেনিতে পারে না, এরা অন্তরে এখনে পাকিস্তান ধারন করেন। এদেশকে এরা এখন বাংলাস্তান বানাতে চায়।
আশা করি আমারদের বাঙ্গালীরা আগের চেয়ে অসচেতন নয় বরং আগের চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী সচেতন। তারা কখনই আমাদের শত বছরের সংস্কৃতি ধ্বংস হতেদিবে না। এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে, ১৯৬৭ সালে আইয়ুব সরকার যা করতে পারেনি আজ ২০১৬ তে এসে কি ভাবে পারবে?
আপডেট ১৩,০৪,২০২৫
বৈশাখ উপলক্ষে সারা দেশে যে শোভাযাত্রা হয়ে আসছিল,বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তার নাম ও বার বার পরিবর্তন হয়ে আসছিল।১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে চারুকলা।শুরুতে এ শোভাযাত্রার নাম ছিল 'আনন্দ শোভাযাত্রা'।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বন জানিয়ে বৈশাখ শোভাযাত্রার রাখা হয় 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'।যা জাতিসংঘের শিক্ষা,সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বন জানিয়ে বৈশাখ শোভাযাত্রার রাখা হয় 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'।যা জাতিসংঘের শিক্ষা,সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
আবার ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার বিদায়ের পর,বৈশাখী শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' নামে নামকরন করা হয়েছে।
যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ করে এর যৌক্তিক কারন উল্লেখ করে ব্যাখা চেয়েছে।আগে থেকে বৈশাখের সকল আয়োজনের দায়িত্ব চারুকলার ছাত্রছাত্রীদের ছিল,তবে চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করছে এবার তাদের বাদ দয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রার আয়োজন করছে।
Valo
উত্তরমুছুনTx
উত্তরমুছুনস্বাগতম
মুছুনUf
উত্তরমুছুনU
মুছুনএটাই কি ইতিহাস?
উত্তরমুছুনyth
উত্তরমুছুন