ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল স্মৃতির কালরাত ২৫ সে মার্চ। নির্মম এক হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরস্ত্র বাঙ্গালীর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় রক্ত পিপাসু হিংস্র পাকিস্থানি হানাদার বাহীনি। অপারেশন সার্চ লাইট নামে এ রাতে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে, পুরো ঢাকা শহরকে। দেশের বিভিন্ন স্থানের নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষদের ওপর চালায় গণহত্যা ও বর্বর নির্যাতন।
এতোগেল পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসেও একটি কাল রাত আছে!
সেটা আমি মনেকরি স্বাধীণতার ৪৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ২৫ মার্চের ঠিক দুদিন আগে ২৩ মার্চ রাতে। যার চিট্রনাট্য হয়েছিল ভারত বনাম বাংলাদেশ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে, যার চরনভূমি ছিল ব্যাঙ্গলুরু'র চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে।
সেটা আমি মনেকরি স্বাধীণতার ৪৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ২৫ মার্চের ঠিক দুদিন আগে ২৩ মার্চ রাতে। যার চিট্রনাট্য হয়েছিল ভারত বনাম বাংলাদেশ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে, যার চরনভূমি ছিল ব্যাঙ্গলুরু'র চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে।
সেদিনের কিছু খন্ড ইতিহাসঃ
আনন্দ বেদনার কাব্য। ২৪০ বলের ড্রামা। ২৩৭ বলেই বাংলাদেশের আধিপত্য। শেষ তিন বলেই ভেঙ্গে চুরমার ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। তিনটি অবিশপ্ত বল! বাংলাদেশ ক্রিকেটের ট্রাজেডির রাত। মুশফিক - মাহামুদুল্লাহ- শুভাগত যেন সে ট্রাজেডির নায়ক। হয়তো নায়ক না হয়ে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করলে ও মনেহয় শান্তি পাওয়া যায় না। শতো চেষ্টায়ও যারা নিয়তি পরিবর্তন করতে পারে না। হাল-জামানায় বাংলাদেশ কখনও এমন নির্ঘুম রাত কাটায়নি। কত বালিশ যে ভিজেছে চোখের জলে তার কোন ইয়ত্তা নেই। নিজের বেলায়ও তার কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। রাতটি শুরু হয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে। আশায় বুক বেধে টিভি পর্দায় কোটি কোটি জনতা । মাঠে টাইগারদের অদম্য নৈপুন্য। সৌম্য সরকারের অসাধারন ক্যাচ কোন দিনও ভোলার নয়। বাংলাদেশের ফিল্ডার- বোলারদের কাছে ভারতীয়দের অত্নসমার্পন। নিশ্চুপ বেঙ্গলুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। ক্রিকেট বোদ্ধা বিশ্লেষকরা এটাকে ম্যাচ অব টুর্নামেন্ট আখ্যা দিলেন। তবে টাইগার ভক্তদের মনের ক্ষতটা থেকে যাবে বহুদিন। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপারটেন পর্বে সেদিন ভারতের কাছে ১ রানের হার দেখে বাংলাদেশ। টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে এ নিয়ে পাচ সাক্ষাতেই হার দেখলো টাইগাররা। ৬ বারের বিশ্বকাপে ১ রানের হারজিত দেখাগেল।মাত্রই চতুর্থবার।
ভারত - বাংলাদেশ - ব্যঙ্গলুরু - ২০১৬
ভারত-দক্ষিন অফ্রিকা -কলম্ব -২০১২
নিউজিল্যান্ড -পাকিস্থান -বারবাডোজ -২০১০
দক্ষিন অফ্রিকা - নিউজিল্যান্ড - ২০০৯
ভারত - বাংলাদেশ - ব্যঙ্গলুরু - ২০১৬
ভারত-দক্ষিন অফ্রিকা -কলম্ব -২০১২
নিউজিল্যান্ড -পাকিস্থান -বারবাডোজ -২০১০
দক্ষিন অফ্রিকা - নিউজিল্যান্ড - ২০০৯
আর টি টুয়েন্টি ইতিহাসে ১ রানের হারজিতের এটা নবম নজির। ভারত এমন জয় দেখলো দু বার। এর আগে ২০১২ সালের বিশ্ব টি টুয়েন্টি আসরে কলম্বোয় দক্ষি অফ্রিকার বিপক্ষে ১ রানের জয় কুড়ায় ভারত। সে দিন ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ ৩ বলে ২ রানের দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তিন বলে তিন উইকেট খোয়ায় টাইগাররা। টি টুয়েন্টি ইতিহাসে রান তারা করা দলের এমন নজির এটিই প্রথম। ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহামুদুল্লা রিয়াদ। আর শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমান হন রান আউট। পরে এ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠে। বাংলাদেশ সহ ক্রিকেট বিশ্বের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। এতে সাধারন ভক্ত, খেলোয়ার , ক্রিকেট বিশ্লেষক, ভারতের প্রধাণমন্ত্রী সহ বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াররা এনিয়ে মতামত বক্ত করেন।