তোমরা যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাও না

আবার ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহস দেখে গাঁ সিউরে উঠলো । বাদ্ধ হলাম লিখতে । সরাসরি কথায় চলে আসি । তোমরা যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাও না , তাদের কাছে আমার প্রশ্ন , ধরুন আপনাদের অপন মা বা বোন কে যদি কেউ ধর্ষণ করে ! সেটা যে কারনেই হোক , তখন আপনি কি করবেন ? জবাব দিবেন কিন্তু । আমার তো মনে হয় , আপনি তো কোন কালেই তাকে ছেড়ে কথা বলবেন না । ধরুন আপনার বাবা ধর্ষণ কারিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বা আইনের মাধ্যমে তাকে সাজা দিয়েছেন , তার পর ও কি আপনি তাকে ভূলে যাবেন ? আমার তো মনে হয় , আপনি কেন , আপনার পরবর্তি চৌদ্দো গোষ্ঠি ও তাকে ছেড়ে কথা বলবে না । কখনই তাকে ভালো চোখে দেখবেন না । যে কোন কৌশলে সব সময় তাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন , তাই না ? আর আপনি যদি তা না করেন তাহলে আমরা কি বুঝবো ? এই প্রশ্নটির উত্তর আমার সব পাঠকেরা দিবেন ,
পাঠক দয়া করে উত্তর  দিন এয়িড়ে যাবেন না । যুদ্ধাপরাধীরা শুধু যে আমাদের মা বা বোন দের ধর্ষণ করেছেন তা নয় তারা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন , মনেকরি তা এখানে উল্লেখ করার আর কোন দর কার নাই । সবাই তা জানেন । আচ্ছা , আপনি যদি আপনার মা বা বোনের ধর্ষণকারি বা তার সহকারি কে কোন কালেই ক্ষমা না করেন তাহলে আমি বা আমরা কোন দঃখে ক্ষমা করবো , বলেন ? হ্যাঁ যারা ১৯৭১ সালে বিরঙ্গনা হয়েছেন , তারা অপনার কেউ না হতে পারে , হ্যাঁ তারা তারাই আমার অপন মা নয়তো আমার মায়ের পেটের বোন ! এবার বলেন তাতে আপনার কোন সমস্যা ? আমরা আমাদের মা বোনের ধর্ষণকারির বিচার চাইবো , চাইতেই পারি , তাতে আপনর মাথা ব্যাথা কেন ? বলুন বলুন ? বলতে পারলেন না তো ।
 এবার আমি বলি শুনেন , আপনারা বলেন , আজকে যাদের যুদ্ধাপরাধীর দায়ে বিচার হচ্ছে তারা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী নয় তাই তো । শোনেন নাক চোঁখ কান খোলারেখে শুনেন , আপনার হয়তো বয়স কম হতে পারে তাই আপনার নাম যুদ্ধাপরাধির তালিকায় না থাকাই স্বাভাবিক । কিন্তু আপনার বাবা বা দাদার নাম তো যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নাই , আছে না কি ? না থাকলে একটু গভির ভাবে চিন্তা করে দেখুন তো , কেন আপনার বাব দাদার নাম নাই ? আপনি হয়তো সরল উত্তর দিয়ে বলবেন , আপনার বাবা দাদা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন ভাবেই বিরোধিতা করেন নাই তাই । কি ঠিক তো ? এবার বলেন , যাদের নাম এই তালিকায় আছে তারা কি যুদ্ধাপরাধী নয় ? আপনার উত্তর যদি না হয় , তাহলে বলি , আপনার বাব দাদা তাহলে যুদ্ধাপরাধী ছিলেন ! কি ক্ষেপে গেলেন , দয়া করে ক্ষেপেউঠবেন না , আমি তা বলছি না । মাথা ঠান্ডা করে শুনেন , যাদের নাম তালিকায় আছে তারা অবশ্যই অবশ্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা থুক্কু ক্ষমা করবেন যুদ্ধাপরাধি ! একটা কথা আছে শোনেন নি , যাহা রটে তার কিছু না কিছু বটে । তা ই বলতে চাই যাদের নাম তালিকায় আছে , তারা সকলেই অপরাধি , কোন না কোন ভাবে এরা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল । মানছি এদের বাইড়েও অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে , তাদের ও এক এক করে বিচার হবে । এটা শুধু সময়ের ব্যাপার । আপনি কি কোন দিন কোনভাবে আপনার বাব দাদার নামে এরকম অভিযোগ শুনেছেন? না শুনে থাকলে আপনার বাব দাদা যুদ্ধাপরাধী নয় । এবার বলি আপনারা চুপ যান । আমরা আমাদের মা বোনের ধর্ষণ কারির বিচার করি । তাছাড়া যাদের বিচার হচ্ছে , তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে সাক্ষি প্রমাণ আছে । আইন অনুযায়ি তাদের শাস্তি হচ্ছে । পারলে আপনার পক্ষ থেকে ,সে যে যুদ্ধাপরাধি নয় তা সাক্ষি প্রমাণ করে দেখান । তা না করে হুদাই চিল্লা চিল্লি করে কোন লাভ হবে না । লাভ হবেনা যুদ্ধাপরাধি চৌথা আসমানে উঠে যাওয়ার মিথ্যা খরব প্রচার করেও !
লেখাটি বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত হয় ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম "চাকা.কম" এ প্রকাশিত হয়েছিল।
১ম মন্তব্যঃ দুরু মিয়া আজাইরা পেচাল আমার মত না খেতে পাওয়া রিক্সাওয়ালা, দিনমজুর, গার্মেন্টস কর্মী, কৃষক কোন কাজে আসে না.....এই একটা ইস্যু রে নিয়া আপনারা ফেরেশতা সাজতে গিয়া ইবলিশ হইয়া গেছেন..যুদ্ধ অপরাধীদের সাজার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ না কইরা..চালের দাম কমান, কৃষক রা যারা ধানের দাম পাইনা..তাদের দামের ব্যবস্থা করেন...আমার মা বোন যারা স্বাধীন দেশে ধর্ষন, লাঞ্চিত হইছে তাদের সুরক্ষা দেন..আসেন খালি মিয়া যুদ্ধ অপরাধীদের নিয়া.....আর কই একটা বছর যাইতে দেন না..তরুন রা যুদ্ধ অপরাধী, আওয়ামীলীগ এই সব শুনলে থুথু দিব।
২য় মন্তব্যঃ আসলে তারা হল যারজ সন্তান.
১ম মন্তব্যের উত্তরঃ জামিল ভাই , এভাবে বলতে পারলেন ? তবে আপনার আক্ষেপ টা বুঝতে পেরেছি ! সত্যি কি জানেন , আমি ও পান বিক্রি করে খাই , কষ্ট করে দিন যায় এই আরকি । আমি জানি , কষ্টার্জিত আয়ের খাদ্য তৃপ্তিদায়ক হয় , এটাও যেমন সত্য তেমনি সত্য দেশের ভালো মন্দের বিষয়ে কার সাথে ঝগড়া বিবাদে যরাইনা । কিন্তু অন্যায় অবিচার দেখলে ঠিক থাকতে পারি না । একটি কথা স্বরন রাখবেন , যে জাতি তার অভীত ইতিহাস ভূলে যায় , তার ধ্বংস অনিবার্য । মনে রাখবেন এই যোদ্ধাদের জন্য এই দেশে এভাবে এই ব্লগে এই ভাষায় আমার সাথে ভাবের আদান প্রদান করতে পারছেন । এদের খাটো করে দেখার কোন মানেই হয় না । এর মানে এই নয় যে তারা অন্যায় করে ও পার পেয়ে যাবে ।
৩য় মন্তব্য,১ম মন্তব্যকারির উদ্দশ্যেঃ
যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার সাথে সাথে মানুষের শিক্ষা, চাকরীর ব্যবস্হা কেন হবে না? দুইটাই চলতে পারে পাশাপাশি। আপনাদের আসল উদ্দেশ্য হল কথা ঘুড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার টা যাতে না হয়।
১ম মন্তব্যকারি,লেখকের উদ্দেশ্যেঃ
আমি যখন হাইস্কুল ই ছিলাম, আমাদের স্কুলে প্রতি বছর একজন মুক্তিযোদ্ধা আসতেন...ভিক্ষা নেওয়ার জন্য..উনার হাতে মুখে গুলি লেগেছিল, কথা বলতে পারতেন না..একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফেকট নিয়ে আসতেন. ক্লাস এর ক্যাপ্টেন সবার কাছ থেকে টাকা তুলে উনাকে দিত। তখন অপমানে, লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে যেত উনার অবস্থা দেখে... ৩০ লাখ মা বোন এর বিনিময়ে যারা দেশকে মাঠে থেকে স্বাধীন করল..তাদের জন্য আমরা কি করছি।..সাত জন বীরশ্রেষ্ঠর নাম মনে আছে আপনার...একবার ও সরকার, বিরোধী দল কেউ তাদের খবর নিয়েছে..দেখেছে তারা কেমন আছে, তাদের পরিরবার কেমন আছেন...সরকার উচিত ছিল না তাদের থাকার জন্য বাসা, একটা ভাল চাকুরী, একটা ভাল মানের জীবন উপহার দেওয়া, এটা কি আমাদের দায়িত্ব না। যুদ্ধে যারা অপরাধ করেছে তাদের প্রকাশ্য শাস্তি হওয়া উচিত...আর জামাত ইসলাম হচ্চে সে দল..তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত..কেন কেউ করছে না, বলতে পারেন। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর কেন এই ইস্যুকে জিয়ে রাখা হচ্ছে।
স্বাধীনতা অনেক বড় ব্যাপার তার চেয়ে বড় ব্যাপার সেটাকে রক্ষা করা...আপনি বলতে পারবেন কোন সরকার সেটা রক্ষা করছে। মানুষের আসল পরিচয় যখন সে গরীব থাকে তখন পাওয়া যায় না, তার আসল পরিচয় পাওয়া যায় যখন সে ক্ষমতায় থাকে। ক্ষমতায় থাকলে মানুষ আর মানুষ থাকে না.... নিজের দৃষ্টিভঙ্গি কে সাধারন মানুষের চোখে বিচার করেন, বিচার করেন সেই পক্ষঘাত মুক্তিযোদ্ধার চোখ দিয়া... পরিশেষে দীর্ঘনিশ্বাস নিয়া একটা কথা বলবো...৩০ লাখ মা-বোন, ভাই, বাবা, ছেলের বিনিময়ে স্বাধীনতা তো আসলো কিন্তু সেটা রক্ষা বোধহয় কেউ করতে পারলো ন।..ধন্যবাদ
লেখক ১ম মন্তব্যকারির উদ্দেশ্যেঃ
ভাই , আপনার কথায় বাস্তবতার ছাপ আছে । এটা আমাদের ব্যর্থতা । আসলে আমরা কেউ দেশকে কিছুই দিতে পারি নি । আর রাজনৈতিক দলের কথা বলছে ? এরা তো সবাই ভন্ড প্রতারক । সুন্দর বাস্তবধারনার মন্তব্য করার জন্য অসংখ ধন্যবাদ ।




3 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم