কি দোষছিল ছেলেটার? সে যে বিভিন্ন ইস্যূতে আন্দলন করেছিল তাই কি তার দোষ? বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতো তাইকি তার দোষ? যে ছেলাটা তথাকতিত নিয়মের ভূলগুলি নিয়ে লেখালেখি করতো তাইকি তার দোষ ছিল? নাকি সে যে মুক্তমন নিয়ে লেখালেখি করতো তার দোষ? সব কিছুর উত্তর হ্যা হবার দরকার নাই! যে কোন একটার উত্তর হ্যা হলেই, তাকে কি হত্যা করতে হবে? হত্যা করলেই কি তার সব চিন্তাগুলি নষ্টহয়ে যাবে? তছাড়া হত্য কি কোন কিছুর সামাধান হতে পারে?
এভাবে পরপর লেখক, প্রকাশক, ব্লগার হত্যর পরও যখন সরকার মহাশয় বা আইন রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে সন্তশজনক বিচার করতে ব্যর্থ, তখন খুনিরাতো এই বিষয়ে আরও উৎসাহিত হবেই। আর এরকম হত্যাকান্ড ঘটতেই থাকবে। আজ খুব মনেপরছে, ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বরের কথা। যেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় ভেবে বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য বাংলায় বুদ্ধিজীবিদের ধরে ধরে হত্যা করাহয়েছিল। জানিনা আবার সেই ৭১ এলো কি না।
কার কাছে জীবনের নিরাপত্তা চাহিবো! নিজের নিরাপত্তা নিজেই নিতে হবে! ধর্ম নিয়ে কেউ লিখুক আর নাই লিখুক, তার সাথে মতের মিলনা হলেই তাকে হত্যা করবো, কার কি যায় আসে! লাল কালি দিয়ে ডায়রী লেখাও নিষেধ। কারো সমালোচনা তো দূরে থাক প্রশংসাও করা যাবেনা। কোন ব্লগে লিখুক আর নাই লিখুক সে ব্লগার!১০/০৪/২০১৬
রাষ্ট্রোধর্মের প্রথমবলি নাজিম উদ্দিন সামাদ! এতোদিন যেহেতু রাষ্ট্রের কোন ধর্মছিলনা সেই ইস্যুতে ও খুন-খারাবি হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্রো ধর্মগ্রহণ করার পরও কেন এই হত্যাকান্ড ?১১/০৪/২০১৬
করোনা অবিজ্ঞতা
সারা বিশ্বের মতো বংলাদেশও আজ করোনায় আতঙ্কিত।সারা দেশ কার্যত অবরুদ্ধ।আজ কয়েকদিন বাসাথেকে কোথাও যাইনি।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা আজ দিশেহারা,খাদ্যের অভাবে তারা করুন অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন।অনেকে তাদের নিজেদের বিভিন্ন ব্যাবহারিক জিনিসপত্র বিক্রিকরে হলেও খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন।
এরই সুযোগ নিচ্ছে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী!এইসব ব্যবসায়ীরা এসময় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।গতকাল ময়লা ফেলতে বাসায় নিচে গিয়ে পরিচিত একজনের সাথে দেখা হয়েগেল।এই সময় তার সাথে দেখা হওয়াটা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার!কাছে ডেকে ভালোমন্দ খোজখবর নিচ্ছি।সাথে তার হাতে থাকা দামি মোবাইলটা নিয়ে দেখছি,আর কথা বলছি।এমন সময় কোথাথেকে দূ'জন লোক,আমাদের উদ্দেশ্য করে কি যেন বলছিলো।প্রথমে ব্যাপারটি বুলঝতে পারিনি তা তাছাড়া অপরিচিত হওয়ায় কথা বলতে আগ্রহবোধ করিনি।ওনারা দূরথেকে জানতে চাইলো মোবাইল বিক্রি করবো নাকি!!আমি আর সাথে থাকা বন্ধুটি কিছুই বলিনি ভাবলাম আমাদের নয় অন্য কাউকে বলছে।আমাদের কথার জবাব না পেয়ে,তারা আরো কাছে এসে জানতে চাইলো কোনকিছু বিক্রি করছেন কি না,আমরা কিছুটা অবাক হয়ে বলছি না।তাতে তাদের হয়তো বিশ্বাস হয়নি!আমার হাতেথাকা মোবাইলটা তারাও দেখতে লাগলো!
ব্যাপারটা তখনও বুঝতে পারিনি।আজ যখন বাসার উপরথেকে মোবাইল,ঘড়ি,ল্যাপটপ বিক্রির আলাপ-আলোচনা শুনলাম তখনি ব্যাপারটা ক্লিয়ার বুঝতে পারলাম।
১৫/০৪/২০


