বৃষ্টিভেজা রাতে আনমনে হেঁটে চলেছে রাইসা। তার চোখে-মুখে বিষণ্ণতার ছায়া। তিন বছর আগের এক ঝোড়ো হাওয়ার রাতে রাহাতের সাথে তার প্রথম দেখা। সেই রাতের স্মৃতি আজও তার মনে উজ্জ্বল। রাহাতের গভীর চোখের চাহনি, মন মাতানো হাসি, সব মিলিয়ে রাইসার হৃদয়কে আলোড়িত করেছিল। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব, যা এক সময় প্রেমে রূপ নেয়।
তাদের প্রেম ছিল যেন এক রূপকথার মতো। হাতে হাত রেখে স্বপ্ন দেখা, একসাথে পথ চলা, একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে তাদের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হলো না। রাহাতের জীবনে নেমে আসে এক কঠিন বাস্তবতা। পারিবারিক কারণে তাকে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। যাওয়ার আগে রাহাত রাইসাকে কথা দেয়, সে ফিরে আসবে। কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকে, রাহাতের ফেরার আশা ততই ক্ষীণ হতে থাকে।
রাইসা আজও রাহাতের অপেক্ষায় দিন গুনছে। প্রতিটা বৃষ্টির ফোঁটায় সে রাহাতের স্পর্শ অনুভব করে, প্রতিটি পূর্ণিমার রাতে তার কণ্ঠস্বর শোনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাহাত আর ফিরে আসে না। হয়তো সে নতুন কোনো জীবনে থিতু হয়েছে, কিংবা হয়তো কোনো এক অজানা কারণে হারিয়ে গেছে। রাইসার মনে এখন শুধু একরাশ শূন্যতা, এক বুক চাপা কষ্ট। তবুও সে বিশ্বাস করে, একদিন হয়তো তাদের আবার দেখা হবে।
এই গল্পটি আমাদের শেখায়, প্রেম কখনো কখনো আমাদের জীবনে গভীর ক্ষত রেখে যায়। কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই হারিয়ে যায় না, তা সবসময় মনের গভীরে বেঁচে থাকে।