☞ ভারতবিরোধী আওয়ামিলীগ❗



গত বছরের ৩৬ শে জুলাই,আওয়ামিলীগ সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের অবসান হলেও,আমার কাছে বিগত ৭/৮ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে।প্রথম ৭/৮ বছর ভালো ভাবে চললেও পরের ৭/৮ বছরকে দুঃশাসন বলাই যায়।মুলতঃ সরকার পতন নয়,আওয়ামিলীগ সভানেত্রীর হাসিনার ভারতে পলায়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামিলীগের চুড়ান্ত ধ্বংস হয়।অর্থপাচারকারী,সীমাহীন দূর্নীতি,অন্যায়-অবিচার,দলীয়করণের কারনে আওয়ামিলীগের পতন হয়নি!আওয়ামিলীগ পতনের পিছনে তাদের মুখের কথা,বিভিন্ন দলীয় লোকদের আওয়ামিলীগে আন্তঃ ভুক্তি,বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ রাজনীতি বিদের অবমূল্যায়ন আওয়ামিলীগ পতনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারন।ঠিক এ কারনেই পর্যায়ক্রমে কোটা বিরোধী,বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলন ও এক দফা'র আন্দোলনে খোদ আওয়ামিলীগ সমর্থকের বিশাল অংশের অংশগ্রহণ দৃর্শমান হয়েছে।যাইহোক আজকের আলোচনার বিষয় আওয়ামিলীগ পতনের কারন নয়।বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভবিষ্যতে আওয়ামিলীগ কিভাবে ফিরে আসতে পারে সেটা বলার চেষ্টা থাকবে।
৫ ই আগষ্ট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরেই প্রকাশ্যে যায়া আওয়ামিলীগ করতো,পারলে তারাও আ'লীগ করা অস্বীকার করতে চায়।অনেকে জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,হয়েছে এলাকা ছাড়া।এমন একটা পরিবেশ তৈরীহয়েছে,যেখানে আওয়ামীলীগ করা লজ্জার,সম্মানের হয়ে দাড়িয়েছে। যাদের আত্নগোপনে থাকার সামর্থ্য নাই, তারা নিরুপায় হয়ে এলাকায় পরে আছে।তবে আর যাইহোক এভাবে হাসিনার পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।সেটা শুরু মাত্র আওয়ামিলীগের জন্য নয় বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দল ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সকলের বেলায় প্রযোজ্য।হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আওয়ামিলীগ ধ্বংস হয়ে যায়।তবুও আওয়ামিলীগ সমর্থক,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে আওয়ামিলীগ ও হাসিনা আবার ফিরবে।অনেকে মনে করছে ৭৫ পরবর্তি আওয়ামিলীগের যে দশা হয়েছিল,এবারও তাই হয়েছে।সে সময় আওয়ামিলীগ যেভাবে ফিরে এসেছে এবারও সেভাবে হবে।কিন্তু আমার কাছে তা মনেহচ্ছে না।এবারের আওয়ামিলীগ ফেরাটা কষ্টসাধ্য। আমার  কাছে আওয়ামিলীগের ফেরাটা ভিন্নধর্মী হবে।আওয়ামিলীগ ফিরলেও হাসিনার ফিরবে কি না নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে!৫ ই অগাস্টের পরে ধারনা করেছিলাম আওয়ামিলীগ হয়তো আর ১০০ বছরেও ফিরতে পারবে না।কিন্তু অন্তবর্তকালিন সরকারের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও আন্দলনকারী ছাত্রদের বিভাজনের ফলে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার জন্য আর হয়তো ৫৭ বছর পিছনে আছে।সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড ছাত্রদের অনৈক্যের ফলে সে সময় আরো এগিয়ে আসতে পারে।
৫ ই অগাস্ট হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয়নেয়।ভারত আওয়ামিলীগের বহু পুরানা পরীক্ষীত বন্ধু।কেউকেউ ভারতকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে মনে করেন।এ কারনেই বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে পারলেও, হাসিনা ভারতের উপর আস্থা রেখেছেন।ভারতে হাসিনা আশ্রিত আছেন বলে প্রচার করা হলেও,হাসিনা মনে হয় ভারতের হাতে বন্দী আছেন!হয়তো এ কারনেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে যেতে চাইলেও যেতে পারছেনা।সে যাইহোক হাসিনা বন্দী থাক না হয় আশ্রিত থাক।
স্বাধীনতার পর থেকেই কিছু মানুষ ভারত বিরোধী ছিল।তা এখানে উল্লেখ না করলেও হবে হয়তো।যারা দেশ সম্পর্কে ধারনা রাখেন তারা কারন গুলো ঠিকই জানেন।সেই ভারত বিরোধিতা ২৪ এর অভ্যুত্থানে আরও বহুগুনে বৃদ্ধি পায়।এদিকে ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিলে সে বিরোধিতা প্রকট আকার ধারন করে।এর ফলশ্রুতিতে কিছু চুক্তি বাতিল,স্থগিত এমন কি নতুন কোন চুক্তি সম্পাদন করা থকে দুই দেশেই থেমে আছে।এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে পরছে।
রাজনীতিতে ভারতবিরোধী লক্ষ্মণ ফুটে উঠেছে।যদিও পূর্বের আওয়ামিলীগের ন্যায় বিএনপিরও কিছুটা ভারত প্রিতি আছে। রাজনীতি আর ক্ষমতার মোহে সবেই সম্ভব।হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় পর থেকে আওয়ামিলীগতো বটেই অনান্য রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকগন বলে আসছে হাসিনা ও আওয়ামিলীগ আবার ফিরবে। তবে আওয়ামীলীগ কি ভাবে ফিরবে কেউ বলতে পারবে না।আওয়ামীলীগ ফিরলেও হাসিনা ফিরবে কি না সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়না। হাসিনা নিজেও ফিরতে চায় কিনা সেটাও দেখার বিষয়। গণ-অভ্যুত্থানের পর কয়েকবার আওয়ামিলীগ ফেরার চেস্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে।বাংলার রাজনীতি অনেক পরিবর্ত হয়েছে।স্বাধীনতার পর থেকে ভারত আমাদের সাথে যে আচরন করেছে,আর আওয়ামিলীগ ভারত কে যে সকল সুযোগ সুবিধার দিয়েছে, তা বর্তমানে বাংলার জনগন মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে ভারত বিরোধী কেন্দ্রিক হয়েছেগে।
আওয়ামিলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছে,দ্রুততারা রাজনীতিতিতে ফিরতে প্রবল প্রচেষ্টা করছে।কিন্তু কোন কৌশল বা ষড়যন্ত্র কাজে দিচ্ছে না।তারা হয়তো একসময় ভারতের সাথে ষড়যন্ত্র করে হাসিনাকে হত্যা করে ভারতের উপর দোষ চাপিয়ে দিতে চাইবে।ভারত যদি এই কৌশলে রাজি নাও হয়,তবুও কতিপয় আওয়ামিলীগ নেতা মিলে হাসিনাকে হত্যা করে ভারতের উপর দোষ চাপিয়ে দিতে পারে।এমনকি বাংলাদেশ চাইলেও হাসিনার লাশ বাংলাদেশে পাঠাতে দিবে না। এতে আওয়ামিলীগরা আবার ভারতকে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করে,নতুন করে বাংলার মানুষদের ভারতের উপর খেপিয়ে তুলে,মানুষের সমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় ফিরে যেতে চেষ্টা করবে।এভাবে ভারতবিরোধী হয়ে আওয়ামিলীগ আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবে এবং ক্ষমতা অর্জন করবে।
হয়তো অনেকে বলবে এই কথার কোন ভিত্তি নেই।শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামিলীগ কল্পনা করা যায় না। যেখানে শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামিলীগ নেতৃত্ব শূন্য সেখানে কিভাবে তারা হাসিনা ছাড়া উঠে দাঁড়াবে।একথা সত্যি যে হাসিনা ছাড়া আওয়ামিলীগ মূল্যহীন।হাসিনা না থাকলে আওয়ামিলীগ যেমন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যবে।তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে হাসিনা আর কতোদিনেই বা বাঁচবে।হয়তো আর ১০ বছর। এই দশ বছরে হাসিনা বা আওয়ামিলীগ কি ক্ষমতায় আসতে পারবে?হাসিনার তো একদিন মৃত্যু হবেই, এর পর আওয়ামীলীগের কি হবে?হাসিনার মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগের যা হবে তা তো অলিখিত নির্ধারণ করা আছে।বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দশ বছর পর যেটা হওয়ার ছিল তা দশ বছর আগে হলেই আওয়ামিলীগের জন্য মঙ্গলজনক। 
২০/০৪/২৫
✰ ২৩ জুন ২০৪১ এ ব্লগের জন্য চমক থাকছে।

1 মন্তব্যসমূহ

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন

 বিজ্ঞাপন 



https://rkmri.co/ST55TMpTEIM0/