১. হেবা দলিল: অসুস্থ, অক্ষম ব্যক্তিকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করা হলে বা হেবা তৈরির নিয়ম না মানলে দলিলটি বাতিল হবে।
৫. ক্ষমতার অপব্যবহারে অর্জিত দলিল: রাজনৈতিক প্রভাব, হুমকি বা জোরপূর্বক দখলের মাধ্যমে তৈরি দলিল বাতিল করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরে পেতে পারবেন।
৬. অতিরিক্ত জমি বিক্রির দলিল: কোনও ওয়ারিস যদি তার অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রি করেন, অতিরিক্ত অংশের দলিল অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রকৃত মালিক আদালতের মাধ্যমে নিজের অংশ ফিরে পেতে পারবেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের কাছে এই ছয় শ্রেণির দলিল রয়েছে, তারা যেন দ্রুত আইনি পরামর্শ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জমির মালিকানায় স্বচ্ছতা, প্রতারণা প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা ও ডিজিটালকরণের একটি বড় ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমি প্রশাসনের দীর্ঘদিনের জটিলতা ও অনিয়ম কাটিয়ে ওঠার এই প্রয়াস নাগরিকদের আস্থা ফেরাবে এবং ভূমি নিয়ে মামলার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।