ভূমি মালিকানা সনদ পাবার নিয়ম

দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আসছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য আর লাগবে না প্রচলিত দলিল। তার পরিবর্তে চালু হতে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি নতুন ব্যবস্থা—ভূমি মালিকানা সনদ (Certificate of Land Ownership – CLO)

ভূমি মালিকানা সনদ কী?

ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জমির জন্য সংশ্লিষ্ট মালিককে একটি করে ভূমি মালিকানা সনদ দেওয়া হবে। এই স্মার্ট সনদে থাকবে:

◑ একটি ইউনিক নম্বর

◑ একটি কিউআর (QR) কোড

◑ জমির মালিকানার পূর্ণাঙ্গ তথ্য

এই সনদই ভবিষ্যতে জমির মালিকানার চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

স্মার্ট ভূমি কার্ডের সুবিধা

আইনজীবী তৌফিক এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে একজন জমির মালিক নিচের সব কাজ সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন:

  • একটি ইউনিক নম্বর

  • একটি কিউআর (QR) কোড

  • জমির মালিকানার পূর্ণাঙ্গ তথ্য

এই সনদই ভবিষ্যতে জমির মালিকানার চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

স্মার্ট ভূমি কার্ডের সুবিধা

আইনজীবী তৌফিক এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে একজন জমির মালিক নিচের সব কাজ সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন:

◑ দলিল যাচাই

◑ নামজারি (মিউটেশন)

◑ খাজনা প্রদান

◑ জমির যাবতীয় কার্যক্রম

এই ডিজিটাল সনদ থাকলে আলাদা করে কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।

কেন এই উদ্যোগ?

ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতে, নতুন এই ডিজিটাল সনদ চালু হলে জমির মালিকানা সম্পর্কিত জটিলতা কমবে, জাল দলিল ও প্রতারণা প্রতিরোধ করা যাবে, এবং পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসবে। এটি সাধারণ মানুষকে দালালচক্রের কবল থেকেও রক্ষা করবে।

ভূমি মালিকানা সনদ পেতে যা করতে হবে

যারা ভূমি মালিকানা সনদ (CLO) পেতে চান, তাদেরকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

  1. প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

  2. সেখানে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।

  3. জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে।

  4. কর পরিশোধ সম্পন্ন হলে অনলাইনেই সনদ (CLO) ডাউনলোড করা যাবে।

সতর্কতা: কর না দিলে বাতিল হতে পারে সনদ

সরকারি নীতিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো মালিক পরপর তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দেন, তাহলে তার ভূমি মালিকানা সনদ বাতিল হয়ে যেতে পারে। এতে করে সংশ্লিষ্ট জমি খাস খতিয়ানে চলে যাবে।

এই সতর্কতার ফলে মালিকদের জন্য সময়মতো কর প্রদান নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।

নতুন এই ভূমি মালিকানা সনদ ব্যবস্থা বাংলাদেশে ডিজিটাল  ব্যবস্থাপনায় একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে। এটি কেবল মালিকানা নিশ্চিত করবে না, বরং জমি নিয়ে প্রতারণা, মামলা এবং জালিয়াতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আরও বেশি স্বচ্ছ, সহজ এবং নিরাপদ ভূমি সেবা পাবে।

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

 বিজ্ঞাপন 



https://rkmri.co/ST55TMpTEIM0/