আচ্ছা গাঞ্জা খাওয়া সময় কি বিসমিল্লাহ বলতেই হবে?না বললে কি গুনাহ হবে? ক্যাদেরাকে চেয়ার বললে কি ইংরেজ? পানিকে জল বললে কি হিন্দু? আল্লাহকে কি গড বললে সে খ্রিস্টান হয়ে যায়?
স্কুলে ধর্ম পরীক্ষায় একসময় আল্লাহর পরিবর্তে সব জায়গায় সৃষ্টিকর্তা লিখেছিলাম, কোথাও কোথাও হয়তোবা ইশ্বর উল্লেখ করেছিলাম। পরবর্তীতে খাতা নিয়ে গোটা ইস্কুলে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছিল।এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল কি নাকি গুরুতর অন্যায় করে ফেলেছি তবে আর যাই হোক আল্লাহর পরিবর্তে সমার্থক শব্দ ব্যবহারের ফলে অনেকেই অন্য দৃষ্টিতে দেখলেও,নাম্বার কিন্তু ভালই পেয়েছিলাম।তবে সে সময় যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার আলোকে তখন থেকে আর কখনোই আল্লাহর পরিবর্তে সমার্থক শব্দ ব্যবহার করিনি। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে।
পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম যে ইসলাম তা নিয়ে কোন তর্ক চলেনা। তবে কিছু বিপথগামী ধর্ম ব্যবসায়ীদের কারণে ইসলাম ধর্ম আজ কয়েক খন্ডে বিভক্ত। একা খণ্ড এক এক ফ্যাকরা নিয়ে পড়ে আছে। এদের কারণেই মূলত ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে বেশি বিতর্কের মুখে পড়েছে। অনেকে আবার ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিপদগামী করেছে।
আজ একজন ফেসবুকে গড লিখেছেন, সে পোষ্টের কমেন্টে আমার আর একজন ধর্মের ফুরিস্তি নিয়ে বসেছেন। গড নাকি যীশুকে বলা হয় আর যীশুকে গড বললে সে খ্রিষ্টান হয়ে যায়! অনেক কিছু বলার ইচ্ছা থাকলেও কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে সেখানে কমেন্ট করতে পারেনি।
তবে যাই হোক এসব ধর্ম অপব্যাখ্যা কারীদের এখনই রুখে দিতে হবে। তা না হলে এরা আরো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। তা না হলে এমন একদিন আসবে যখন এদের মতবাদকেই ধর্ম হিসেবে মেনে নিতে হবে।
কোন এক ওয়াজে কোন এক হুজুর এক পীরের সম্পর্কে বলেছিলেন। সে পীর নাকি প্রসাবের পর পারিনি তো না। সেই পীরের যুক্তি ছিল, কারবালার ময়দানে হাসান হোসেনের মৃত্যুর সময় পানি পানি করে মৃত্যুবরণ করেছে। অথচ পানি পাননি,পীর বলেছিল যে পানি পানি করে হাসান হোসেনের মৃত্যু হয়েছে সেই পানি কি করে নুনুবাচ্চায় লাগাবে, এতে হাসান হোসেনের অবমাননা হবে!তাই সে সহ তার মুরিদরা পানি ব্যবহার করে না!