১৯৪০সালের ২৩শে মার্চের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে,ভারতীয় উপমহাদেশে একাধিক রাষ্ট্রগঠনের পথ তৈরি হয়।সেই ধারাবাহিকতায় ৪৭সালের ১৪ও১৫ আগস্ট পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।নতুন পাকিস্তান রাষ্ট্রটি শুরু থেকে পূর্বপাকিস্তানের বাঙ্গালী জাতির প্রতি অন্যয় করেতে চেয়েছে।এ কারনে প্রতিষ্ঠার পরের বছর ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম সমস্যা তৈরিহয় ভাষা নিয়ে।পাকিস্তানে৫৬% মানুষের ভাষা বাংলা হলেও পশ্চিম পাকিস্তান জোড় করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চায়।১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়।এরপর ৫৪ সালের নির্বাচন, ছাত্র আন্দোলন,৬৬র ছয় দফা,৬৯ গণঅভ্যুত্থান,৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে।
আজ সেই২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবের দিন একই সাথে গভির বেদনার দিন। ১৯৭১সালে ২৫শে মার্চ রাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে । সেইথেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। চলে নয় মাস। এই নয় মাস খুব অল্পসময় নয়। নয় মাসে আমরা হারিয়েছি অনেক জ্ঞানি-গুনি,সাধারন,মানুষ সহ অপামর বাঙ্গালীকে। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানিদের নিত্যদিনের কাজকর্মছিল খুন, ডাকাতি, গুম,হত্যা,ধর্ষণ।
আজ সেই২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবের দিন একই সাথে গভির বেদনার দিন। ১৯৭১সালে ২৫শে মার্চ রাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে । সেইথেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। চলে নয় মাস। এই নয় মাস খুব অল্পসময় নয়। নয় মাসে আমরা হারিয়েছি অনেক জ্ঞানি-গুনি,সাধারন,মানুষ সহ অপামর বাঙ্গালীকে। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানিদের নিত্যদিনের কাজকর্মছিল খুন, ডাকাতি, গুম,হত্যা,ধর্ষণ।
আজ বাংলাদেশ একটি স্বধীন রাষ্ট্র।তবুও বাংলাদেশ আজ পরাধীন পূর্বপাকিস্তানের মতোই চলছে!!স্বাধীনতা খাতায় কলেমে ভোগ করছি।আজও কেউ নিরাপদ নয়। বিশেষ করে বাংলার মেয়ে'রা আজ কোনভাবেই নিরাপদ নয়।স্বাধীন বাংলাদেশের মেয়েরা আজ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহীনির হাতে নিগ্রহ হয়!কয়েক বছর আগে যেমন হতে হয়েছিল দিনাজপূরের মেয়ে, "ইয়াসমিন"কে।সেদিন যদি সেই পশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো তাহলে আজ "তনু"র মতো মেয়েকে এভাবে জীবন দিতে হতনা।
বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে পাকিস্তান থাকলেই হয়তো ভালো হতো!স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েও স্বাধীনতার ৫০বছর পরেও বাংলার জনগন স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে না।৪৭ থেকে ৭১সাল পর্যন্ত পাকিস্তানিরা যেভাবে বাঙ্গালীদের উপর নির্যাতন করেছিলো,তার চাইতেও বাঙ্গালীরা বেশী নির্যাতিত হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে।এর চাইতে পাকিস্তানেই ভালো ছিলো না?তখন অতন্ত এটা বলে নিজেদের সান্তনা দেয়া যেতো যে,পশ্চিমারা তো পূর্বদের উপর নির্যাতন করবেই,নিজেদের উন্নয়ন সবাই চায়।সেটাই করছে পশ্চিম পাকিস্তান,নিজেদের স্বার্থে নির্যাতন চালাচ্ছে।স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও যে বাঙ্গালীরা আগের চাইতে বেশী নির্যাতিত হচ্ছে!নিজেদের কাছে নিজেই তো নির্যাতিত হচ্ছে এ কি বলে সান্তনা নেয়া যাবে?সেদিন এক বড় ভাই ঠাট্টা করে বল্লো-"বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে অবাধে পাকিস্তানি গানগুলো শুনতে ও সরাসরি দেখতে পেতাম"তার কাথে হয়তো পাকিস্তানি গান শুনাই স্বাধীনতা!বাংলাদশ স্বাধীন না হলে হয়তো অনেকের এমন আক্ষেপ থাকতো না।
স্বাধীনতার এতবছর পরও বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হতেপারেনি। আজও এদেশিও দোষররা আবাধে চলাফিরা করছে। আজও এদের বিচার পূর্নতা পায়নি। যদিও বিচারের প্রক্রিয়া চলমান, তবুও অদৃশ্য কারনে অনেকবার বিচার কার্য ব্যহত হয়েছে। এরপরও বিচার যে চলোমান,এখন এটাই আমাদের সান্তনা।
আমরা চাই এদেশে সকল আপরাধের বিচার যেন খুব দ্রুত শেষ করা হয়। বিচার প্রার্থীদের আর যেন বছরের পর বছর অপক্ষাকরতে না হয়।-২৫ শে মার্চ ২০১৬
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছে বাংলাদেশ।সময় এসেছে হিসেব করার, এই ৫০ বছরে কতোটা স্বাধীন হতে পেরেছি?খাতা-কলমে খাটি স্বাধীনতাই পেয়েছি।কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে স্বাধীনতার ছিটাফোঁটাও পাইনি।অদৃশ্য শক্তি আমাদের হাত-পা বেধে রেখেছে।স্বাধীনতার নমুনা যদি দেখতে চান তাহলে এই স্বাধীনতার মাসে সাভারের স্মৃতিসৌধে যান,সেখানে একদল কুলাঙ্গার রংতুলি হাতেনিয়ে কিভাবে সাধারন মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে।আপনি চান আর নাই চান আপনাকে জোড় করে গালে কপালে বাংলাদেশের পতাকা,স্মৃতিসৌধ আকিয়ে দিবে।এই কুলাঙ্গারদের হাতে আপনি এক প্রকার বন্দি।এদের কাছে আপনার স্বাধীনতা বলতে কিছুই নাই।স্বাধীনতার মাসে সাভারের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে,রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অবৈধ ব্যানার,ফেস্টুন,পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে।সে সব ব্যানার,ফেস্টুনে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পাতি নেতাদের ছবি সহ স্বাধীনতার শুভেচ্ছা বার্তা শোভা পাচ্ছে।দু'এক দিন পর সে সব ব্যানার,ফেস্টুন ঐ সব সড়কে যাতায়াতকারী পথচারীদের গলার কাটা এমন কি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হবে।
আমরা এমন এক স্বাধীন দেশে বাসকরছি যেখানে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলে আর বিরোধীকারির অভাব থাকে না।চাকরি হারাতে হয়,না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়।দুই হাজার টাকার জিনিস বিশ হাজার টাকা চাওয়ার স্বাধীনতা অর্জন করেছি।বিদেশী পন্য বলে দেশী পন্য বেশী দামে বিক্রির স্বাধীনতা ভোগ করছি।আমরা বাসের কন্ডাকটরের হাতে বন্দি স্বাধীনতা ভোগ করছি।আমরা কথা না বলার স্বাধীনতা পেয়েছি!,যেখানে আপনি কথা না বলে কয়েক হাজার পদক পেতে পারেন।তবে কোন বিষয়ে কথা বল্লেই আপনার নামে কয়েক কোটি মামলা হবে।আমি এমন এক স্বাধীনদেশে বাসকরি যেখানে ৮০০ টাকা ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখালে ২৫০০০টাকার টেস্ট হাতে ধরিয়ে দেয়,আর বিনা ভিজিটের ডাক্তার ২০ টাকার ঔষুদ দিলে রোগী ভালো হয়ে যায়।মক্কা না গিয়ে যেখানে সাড়ে সাত হাজার টাকায় হজ্ব করা যায়,আমি সেই স্বাধীনদেশের গর্বিত নাগরিক।একদিনে এক কোটি মানুষের স্বাধীনতা হরন করার স্বাধীনতা অর্জন করার নাম স্বাধীনতা দিবস।স্বাধীনতা তারে আমি চোখে দেখি নি।তাই তো
কবি আবু সালেহ্ বলেছেন-
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!
যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!
বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!
বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে পাকিস্তান থাকলেই হয়তো ভালো হতো!স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েও স্বাধীনতার ৫০বছর পরেও বাংলার জনগন স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে না।৪৭ থেকে ৭১সাল পর্যন্ত পাকিস্তানিরা যেভাবে বাঙ্গালীদের উপর নির্যাতন করেছিলো,তার চাইতেও বাঙ্গালীরা বেশী নির্যাতিত হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে।এর চাইতে পাকিস্তানেই ভালো ছিলো না?তখন অতন্ত এটা বলে নিজেদের সান্তনা দেয়া যেতো যে,পশ্চিমারা তো পূর্বদের উপর নির্যাতন করবেই,নিজেদের উন্নয়ন সবাই চায়।সেটাই করছে পশ্চিম পাকিস্তান,নিজেদের স্বার্থে নির্যাতন চালাচ্ছে।স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও যে বাঙ্গালীরা আগের চাইতে বেশী নির্যাতিত হচ্ছে!নিজেদের কাছে নিজেই তো নির্যাতিত হচ্ছে এ কি বলে সান্তনা নেয়া যাবে?সেদিন এক বড় ভাই ঠাট্টা করে বল্লো-"বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে অবাধে পাকিস্তানি গানগুলো শুনতে ও সরাসরি দেখতে পেতাম"তার কাথে হয়তো পাকিস্তানি গান শুনাই স্বাধীনতা!বাংলাদশ স্বাধীন না হলে হয়তো অনেকের এমন আক্ষেপ থাকতো না।
স্বাধীনতার এতবছর পরও বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হতেপারেনি। আজও এদেশিও দোষররা আবাধে চলাফিরা করছে। আজও এদের বিচার পূর্নতা পায়নি। যদিও বিচারের প্রক্রিয়া চলমান, তবুও অদৃশ্য কারনে অনেকবার বিচার কার্য ব্যহত হয়েছে। এরপরও বিচার যে চলোমান,এখন এটাই আমাদের সান্তনা।
আমরা চাই এদেশে সকল আপরাধের বিচার যেন খুব দ্রুত শেষ করা হয়। বিচার প্রার্থীদের আর যেন বছরের পর বছর অপক্ষাকরতে না হয়।-২৫ শে মার্চ ২০১৬
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছে বাংলাদেশ।সময় এসেছে হিসেব করার, এই ৫০ বছরে কতোটা স্বাধীন হতে পেরেছি?খাতা-কলমে খাটি স্বাধীনতাই পেয়েছি।কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে স্বাধীনতার ছিটাফোঁটাও পাইনি।অদৃশ্য শক্তি আমাদের হাত-পা বেধে রেখেছে।স্বাধীনতার নমুনা যদি দেখতে চান তাহলে এই স্বাধীনতার মাসে সাভারের স্মৃতিসৌধে যান,সেখানে একদল কুলাঙ্গার রংতুলি হাতেনিয়ে কিভাবে সাধারন মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে।আপনি চান আর নাই চান আপনাকে জোড় করে গালে কপালে বাংলাদেশের পতাকা,স্মৃতিসৌধ আকিয়ে দিবে।এই কুলাঙ্গারদের হাতে আপনি এক প্রকার বন্দি।এদের কাছে আপনার স্বাধীনতা বলতে কিছুই নাই।স্বাধীনতার মাসে সাভারের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে,রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অবৈধ ব্যানার,ফেস্টুন,পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে।সে সব ব্যানার,ফেস্টুনে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পাতি নেতাদের ছবি সহ স্বাধীনতার শুভেচ্ছা বার্তা শোভা পাচ্ছে।দু'এক দিন পর সে সব ব্যানার,ফেস্টুন ঐ সব সড়কে যাতায়াতকারী পথচারীদের গলার কাটা এমন কি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হবে।
আমরা এমন এক স্বাধীন দেশে বাসকরছি যেখানে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলে আর বিরোধীকারির অভাব থাকে না।চাকরি হারাতে হয়,না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়।দুই হাজার টাকার জিনিস বিশ হাজার টাকা চাওয়ার স্বাধীনতা অর্জন করেছি।বিদেশী পন্য বলে দেশী পন্য বেশী দামে বিক্রির স্বাধীনতা ভোগ করছি।আমরা বাসের কন্ডাকটরের হাতে বন্দি স্বাধীনতা ভোগ করছি।আমরা কথা না বলার স্বাধীনতা পেয়েছি!,যেখানে আপনি কথা না বলে কয়েক হাজার পদক পেতে পারেন।তবে কোন বিষয়ে কথা বল্লেই আপনার নামে কয়েক কোটি মামলা হবে।আমি এমন এক স্বাধীনদেশে বাসকরি যেখানে ৮০০ টাকা ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখালে ২৫০০০টাকার টেস্ট হাতে ধরিয়ে দেয়,আর বিনা ভিজিটের ডাক্তার ২০ টাকার ঔষুদ দিলে রোগী ভালো হয়ে যায়।মক্কা না গিয়ে যেখানে সাড়ে সাত হাজার টাকায় হজ্ব করা যায়,আমি সেই স্বাধীনদেশের গর্বিত নাগরিক।একদিনে এক কোটি মানুষের স্বাধীনতা হরন করার স্বাধীনতা অর্জন করার নাম স্বাধীনতা দিবস।স্বাধীনতা তারে আমি চোখে দেখি নি।তাই তো
কবি আবু সালেহ্ বলেছেন-
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!
যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!
বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!