ভিন্ন চোখেঁঃ- রিফাত হত্যাকান্ড


রিফাত শরিফ হত্যাকান্ডের পর মনে হইলো,দেশ ও জাতির বিবেক আরও একবার জাগ্রত হয়েছে।বিশ্বজিৎকেও একইভাবে প্রকাশ্যদিবালোকে অসংখ্য মানুষের সামনে হত্যকরা হয়েছিলো।সেই বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডে যারা জরিতছিল তারাই আজ রিফাত হত্যারপর হাউকাউ শুরুকরে দিয়েছে।
সিলেটের শিশু রাজন,গরুচুরির অপবাদে বিজিবির হাতে নিহত কৃষক। র্যাবের গুলিতে পঙ্গু লিমন,পুলিশের গুলিতে চোখঁ হারানো সিদ্দিক, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা।ব্লগার অনন্ত বিজয়,ওয়াশিকুর বাবু,রাজিব হায়দার (থাবাবাবা),অভিজিৎ রায়ের কথা নাহয় বাদেই দিলাম,এরা তো মানুষ ছিলেন না!এরকম হাজার হাজার উদাহরন আছে।


এতো কিছুর পরেও বাংলার মানুষের বিবেক কখনোই জাগ্রত হবে না!১৭৫৭ থেকে আজঅবধি যে জাতি মাথাতুলে প্রতিবাদ করতে শিখেনি,তারা আর যাইহোক নির্যাতনের হাতথেকে রেহাই পাবেনা


একটা মানুষ কতোটা আঘাত পেলে কাউকে খুনকরতে পারে?ঠিক ততোটাই আঘাত পেয়েছিল এই খুনি নয়ন।কেউ আজ  তার আঘাতের ঘতোটা দেখবেনা, দেখবে খুনের ছবিটা।



একটা মানুষ কাউকে কতোটা ভালোবাসলে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মৃত্যুমূখে ঝাপিয়ে পরে?ঠিকততোটাই ভালোবেসেছিল মিন্নি।
একটা মানুষ কাউকে কতোটা ভালোবাসলে তার জন্য কাউকে খুন করতে পারে,এমনকি সেই প্রিয় মানুষটির চোখেঁর সামনে।যদিও সেই প্রিয় মানুষটি সেই খুনের রাজস্বাক্ষী হতেপারে জেনেও তাকে হত্যা করার সুবর্ণ সুযোগ ছেড়েদেয়,শুধু ভালোবাসার কারনে।এটাইতো ভালোবাসা।


একটা মানুষ কতোটা ভয়পেলে কাউকে খুন হতে দেখেও নিশ্চুপ দাড়িয়ে থাকে।যদিও সে জানে সে প্রতিবাদ করলে খুনিরা পালানোর পথ পাবেনা।তবুও সে দাড়িয়ে থাকে।ঠিক ততোটাই ভয় পেয়েছিল রিফাত খুনের সময় সেখানে দাড়িয়ে থাকা লোকজন।


কতোটা ক্ষমতা,শক্তি,থাকলে প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের চোখেঁ সামনে  কাউকে হত্যাকরা যায়?ঠিক ততোটাই ক্ষমতা,শক্তি নয়নের ছিল।যেমনটি ক্ষমতা,শক্তি ছিল রাজন,বিশ্বজিৎ,তনু,নূসরাতের হত্যাকারীদের।


আইনের শাসন কতোটা প্রতিষ্ঠিত হলে কাউকে প্রকাশ্যে খুনকরেও পারপাওয়া যায়?ওায়াশিকুর রহমান বাবু,রাজিব হায়দার,অভিজিৎ হত্যায় যতোটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।ঠিক ততোটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল রিফাত হত্যার সময়।


আইনশৃঙ্খলার কতোটা অবনতি হলে কেউ কাউকে প্রকাশ্য খুনকরতে পারে?ততোটাই অবনতি হয়েছে দেশের  আইনশৃঙ্খলার।


কতোটা নিরুপায় হলে হাইকোর্ট একজনের অপরাধের জন্য,দেশের সকল মানুষকে অপরাধী বানায়? ঠিক ততোটাই নিরুপায় হাইকোর্ট।

প্রযুক্তিতে কতোটা উন্নতিকরলে কোন অপরাধী ধরাছোয়ার বাহিরে থাকতে পারেনা?রিফাত হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় প্রযুক্তির উন্নতিটা চোখেঁপরার মতো।


দেশের আইনশৃঙ্খলায় প্রযুক্তি কতোটা সাহায্যকরেছে?রিফাত হত্যার স্থানে সিসিটিভি থাকলেও শৃঙ্খলাবাহীনি সেখানে পৌছাতে পারেনি।

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন