যৌনতায় তৃপ্তি অ-তৃপ্তি

কখনো কি শুনেছেন স্বামীকে যৌনতৃপ্তি দিতে না পারায় কোন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে?আমি এটা কখনো শুনিনি,তবে এটা অনেকবার শুনেছি যে স্ত্রীকে যৌনতৃপ্তি দিতে না পারায় স্ত্রী স্বামিকে ডিভোর্স দিয়েছে বা নিয়েছে।
অনেক উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ত্রীরা যৌনতৃপ্তি না পেয়েও নিজেদের পরিবারেরর সম্মান ও সমাজের ভয়ে দাতেদাত চেপে সংসার আকরে ধরে আছে,তবে তারা অন্যকার থেকে যৌনতৃপ্তি নিয়ে সংসারে টিকে আছে।


এর সব ক্ষেত্রেই সব সময় পুরুষদের দায়িকরা হয়।বলাহয়ে থাকে সে যৌনকাজে অক্ষম অথবা দূর্বল।

পৃথিবীতে হাজার হাজর পুরুষ যৌনকাজে অক্ষমতার অভিযোগে অভিযুক্ত।তবে আশ্চর্যজনকভাবে পৃথিবীতে কোন নারীর বিরুদ্ধে যৌনতা/যৌনকাজে অক্ষমতার অভিযোগ নেই।তাই পুরুষদের যৌন অক্ষমতার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।আসলেই কি পুরুষরা যৌনকাজে অক্ষম,নাকি তা নারী বা অন্যকারও সৃষ্টি?

এসব বিষয়াদি আলোচনা,চিন্তা এমনকি কিছু অনরেকর্ড গোপন জরিপ করে,একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি যে,যৌনতায় তৃপ্তি অ-তৃপ্তিবলে কিছুই নেই।সবেই নারীদের সৃষ্টি!

যৌনতা হলো নেশার মতো,নেশা যেমন খানিক সময়ের জন্য হলেও,ফকিরকে রাজা,বাদশা অনেক ধনদৌলতের মালিক বানিয়েদেয়,সিমিত সময়ের জন্য হলেও অনেকের দূঃখ ভূলে থাকতে সাহায্য করে।
আবার অনেকের কাছে নেশাখোড় মানুষ মানুষের কাছে গুরুত্বহীন,সমাজ,দেশ ধ্বংসের হাতিয়ার,সমাজের ময়লা অবর্জনা হিসেবে গন্যহয়।নেশা না করে তারা যেমন থাকতে পারেনা,অনেকে নেশা করতে না পেরে অসুস্থ হয়েপরে অনেক সময় নেশা না পেয়ে অনেকে মারও যায়।

যৌনতাও ঠিক তেমনি,যারা যৌনকাজে অভ্যস্ত,তারা যৌনতাকে সব কিছুই মনকরে।যৌনতা না করলে তাদের কিছুই ভালোলাগেনা,সব কিছুই পানসে মনেহয়।অপরদিকে যারা যৌনতায় অভ্যস্তনয় তারা যৌনতাকে সেভাবে গুরুত্বই দেয়না।যৌনতা না করে তারা হাজার হাজার বছর পারকরে দিতেপারে।

বিয়ে উপযুক্ত দুজন সম বয়সী পুরুষ,একজন বিবাহিত ও অন্যজন অবিবাহিত,তাদের যৌনতৃপ্তি নিয়ে কথা বলে জেনেছি,অবিবাহিত পুরুষের কাছে হস্তমৌথুন করে যে যৌনসূখ পাওয়াযায় সে তাতেই অনেক তৃপ্ত!অপরদিকে বিবাহিত পুরুষের কাছথেকে জানতে পেরেছি,নারীর সাথে যৌনতাকরে যে যৌনতৃপ্তি পাওয়া যায়,তা হস্তমৌথুন করে পাওয়া যায়না।যদিও সে জানায়,বিয়ের আগে সেও হস্তমৌথুন করে যৌন সূখ পেয়েছিল,তখন সে সেটাকেই যৌনতৃপ্তি মনেকরতো।

যৌনকাজে অক্ষমতার অভিযোগে স্বামীর কাছথেকে কয়েকজন স্ত্রী ডিভোর্স নিয়েছে,এমন কয়েক জন নারীর অতীত ইতিহাস সম্পর্কে আমি জানি,তার কয়েকজন আবার বিয়ের আগে ও পরে এক বা একাধিক বার এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌনকাজেলিপ্ত হয়েছিল।বিয়ের পর এরাই সবচেয়ে বেশী স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন অক্ষমতার বিষয়ে অভিযোগ করেছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি,একজন কুমার,কুমারির অর্থাৎ যারা কখন যৌনকাজে লিপ্তহয়নি তাদের কাছে যৌনকাজে তৃপ্তি,অ-তৃপ্তি বলে কিছুই নেই।এক সময় খুলনার সাতক্ষীরায় গিয়েছিলাম।সেখানে একটি দোকানে কলা দেখে তা খেতে মনচাইলো।দোকানদারের কাছে এক হালি কলা চাইলাম।দেখলাম সে আবাগ চোখেঁ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তার কাছে আবার একহালি কলা চাইলাম।তখন সে জানালো দাদা,হালি কি?তখন আমি কি আর বলবো বুঝে উঠতে পারছিনা।তবে বুঝেগেলাম সে হালি বুঝে না।তার কাছে জানতে চাইলাম কলা কি হিসেবে বিক্রি করেন?তখন সে জানাল কলা আমরা কেজি দরে বিক্রি করি!আমি এ পর্যন্ত জেনে এসেছি কলা,ডিম এসব হালি/হালা দরে বিক্রি করাহয়।অথচ এখানে কলা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।যাই হোক এক কেজি কলা নিলাম।অর্থাৎ সাতক্ষীরায় হালি সম্পর্কে ধারনা থাকলেও কলার হালি সম্পর্কে কারও কোন ধারনা নাই।আমি আমার অবজ্ঞাতা কথা বুঝে গেলাম,কোন নির্দিষ্ট এলাকায় কোন জিনিসকে এক নামে ডাকলেও অন্য এলাকায় সেটা অন্য নামে ডাকতেই পারে।একজায়গার বুলি অন্য জায়গায় গালি হতেই পারে।শুনেছি সিলেট কি চট্টগ্রাম এলাকায় "পুড়ি" খারাব শব্দ হিসেবে ব্যবহিত হয়,আর আমরা হোটেলে গেলেই "পুড়ি" অর্ডার করি।এখানে আর একটি কথা বলে রাখি সাতক্ষীরা সুন্দরবন এলাকায় বাইসাইকেল ভাড়া পাওয়াযায়!সেখানে বাইসাইকেলকে হেলিকাপ্টার নামে ডাকা হয়।


যৌনতাও একই বিষয়।যাদের যৌনতা বিষয়ে কোন ধারনাই নাই,তারা যেভাবেই যৌনতা করুকনা কেন,তাদের কাছে যৌনতা সে রকমেই মনেহবে।তারা মনে করতে থাকে যৌনতায় এরকমেই হয়।তবে যারা অবিজ্ঞ তাদের কাছে ভিন্ন মনে হতেই পারে।ধরেন কেউ একজন কোন দিন রসগোল্লা খায়নি,তার রসগোল্লা সম্পর্কে কোন ধরনাই নাই।সে একদিন রসগোল্লা খেয়ে দেখল রসগোল্লার স্বাদ তেতো।সে যদি আপনাকে বলে রসগোল্লা তিতা,তাহলে কি আপনি মানবেন?প্রায় যারা রসগোল্লা খায় তারাই জানে রসগোল্লার স্বাদ কি রকম।সেরকম বিয়ের আগেই যারা যৌনতার রসগোল্লা খেয়েছে একমাত্র তারাই জানে যৌনতার রসগোল্লা কি।অর্থাৎ বিয়ের আগেই যারা যৌনতা করেছে তারাই,যৌনতায় তৃপ্তি,অ-তৃপ্তি নিয়ে কথাবলে।

আমার দাদর সাথে যৌনতা বিষয়ে কথা উঠলে,তিনি আমাকে একটি আশ্চর্যজনক তথ্যদেয়।তিনি জানায়,তোর দাদির সাথে আমার বিয়ের প্রায় পঞ্চাশ বছর হতেচলছে,এই পঞ্চাশ বছরে তোর দাদাি একবারও আমাকে যৌনকাজ করার আমন্ত্রণ জানায়নি!প্রতিবারেই আমিই তাকে যৌনতার কথা বলেছি।এমনও অনেকদিন গেছে তোর দাদির সাথে একরকম জোড় করেই যৌনতা করতে হয়েছে!দাদার কাছে জানতে চাইলাম,এক দিনও না?দাদা বলেছে তোর কাছে মিথ্যা বলছি?দাদাকে আবারও প্রশ্নকরে বসলাম,দাদা তোমার যদি চাই,দাদির কি চায় না?দাদা জানালো সেটাতো আমিও জানতে চাই!

এখন কথা হলো পুরুষরাই কেন সবসময় যৌনতায় আগ্রহী থাকে?
কেনইবা সবসময় পুরুষরাই আগে যৌনতার কথা বলে/বলতে হবে?নারীদের কি যৌন আকাঙ্ক্ষা নাই?যতদূর জানি,পুরুষের চেয়ে নারীদের যৌন উত্তেজনা কয়েকগুন বেশী।এখানে কি তাহলে নারীদের সমান অধিকার নাই?


3 تعليقات

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

إرسال تعليق
أحدث أقدم