গত কিছুদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক,সামাজিক অবস্থার যা তা দশা।একাশদ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে,নির্বাচনী জোট গঠন,জোট গঠন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি,ছোট দলের মধ্যে ভাঙ্গন।জোটবদ্ধদের সমাবেশ না করার অনুমতি।এসব ছিল বাংলার রাজনৈতিক ঘটনা।এর পরেই বাংলার রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থায় কিছুটা প্রভাব পরে।
ঘটনার শুরু গত ১৬ অক্টোরব,সেদিন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে,কথা বলার একপর্যায়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ঠা ও একটি ইংরেজী দৈনিকের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ব্যরিস্টার মইনুল ইসলাম,উপস্তিত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে"চরিত্রহীন"বলে।এতেই খেলা শুরু হয়েগেছে।
এই খেলা জমেগেছে।
ব্যরিস্টার মইনুলের এমন বেফাঁস মন্তব্যে,অনলাইন সহ সকল স্থানে নিন্দার ঝড়ওঠে।এরপরেই একশত মানুষ মইনুলকে প্রকাশ্য ও লিখিত ভাবে ক্ষমার আহ্বান জানায়।এদিকে ৫৫ বিশিষ্ট্য সাংবাদিক ব্যরিস্টার মইনুলকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়।মাসুদা-মইনুল ইস্যূতে পক্ষে বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে,ঠিক তখনি আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন,বাংলাদেশেরই আরএকজন বিশিষ্ট্য নারীবাদি লেখক তাসলিমা নাসরিন।যিনি মৌলবাদীর কারনে আজ অনেক বছর থেকে দেশছাড়া।নারীবাদি হওয়ায় অনুমিতই ছিল তাসলিমা নাসরিন মাসুদা ভাট্টির পক্ষনিবেন,কিন্তু না সবাইকে আবাক করেদিয়ে তিনি ব্যরিস্টার ময়নুলের মত আবারও মাসুদা ভাট্টিকে"ভীষন চরিত্রহীন" বলেছেন।এদিকে সাংবাদিকেদের একটি আংশ ৭ দিন ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের খবর বর্জনের ঘোষণা দেয়।এরই মধ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যরিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলে।এর অংশ হিসেবে ভোলা,জামালপুর,মায়মানসিংহ,রংপূরও কুড়িগ্রামে একটি ও কুমিল্লায় দুটি মামলা ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।ঘটনার শুরু গত ১৬ অক্টোরব,সেদিন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে,কথা বলার একপর্যায়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ঠা ও একটি ইংরেজী দৈনিকের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ব্যরিস্টার মইনুল ইসলাম,উপস্তিত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে"চরিত্রহীন"বলে।এতেই খেলা শুরু হয়েগেছে।
এই খেলা জমেগেছে।
শুধু যে মাসুদা ভাট্টির পক্ষেই কথা হচ্ছে তা কিন্তু নয়।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ঠা ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
সর্বশেষ গতকাল রাতে,জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসাথেকে ব্যরিস্টার মইনুলকে আটক কারাহয়।জামিনের আবেদন করলে,আজ ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম তা খারিজ করে দিয়ে,রংপুরে দায়ের করা মামলায় ব্যরিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশ এমন একটিদেশ,যেখানে সকলকিছু নিয়েই রাজনীতি হয়।অতীতে কখনই কোন বিষয়ে বাংলাদেশ এক হতে পারেনি,হোক সেটা জাতীয় স্বার্থ বা স্বার্থ বিরোধী।এর জ্যান্ত উদাহরন,রোহিঙ্গা সমস্যা,পিলখানা কান্ড,গ্রেনেড হামলা,যুদ্ধাপরাধীর বিচার,জঙ্গী নিধন কিংবা গুলশান হামলা।মাসুদা-মইনুল ইস্যূতেও রাজনীতিবীদরা থেমে নেই।সামনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কারনে অনেক রাজনীতিবীদরা এই ইস্যূতে বিবৃতি দিচ্ছেন।এ থেকে বাদযায়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ,জেএসডির আবদুর রব নাগরিক ঐক্যের মান্না ছাড়াও বিএনপি,জামাত ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা।জাতীয় ঐক্যের অনেকে মনেকরেন,জাতীয় ঐক্যেফ্রন্টে থাকার কারনে ব্যরিস্টার মইনুলকে এ মামলায় জামিন নাদিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।এদিকে ব্যরিস্টার মইনুলের জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার খবরের পরেই,প্রতিবাদ মিছিল করেছে,বিএনপি-জামাতপন্থি সুপ্রিমকোর্টের শতাধিক আইনজীবি।
আমি যেখানে বড় হয়ছি সেখানে,"চরিত্রহীন" বলতে তালিমা নাসরিনের,( চরিত্রহীন বলতে আমি কোনওদিন এর ওর সঙ্গে শুয়ে বেড়ানো বুঝি না। চরিত্রহীন বলতে বুঝি, অতি অসৎ, অতি লোভী, অতি কৃতঘ্ন, অতি নিষ্ঠুর, অতি স্বার্থান্ধ,অতি ছোট লোক)এসব নয়।এখানে চরিত্রহীন বলতে স্ত্রী লিঙ্গকে বুঝান হয়।সেখানে সাধারনত বেশ্যা,পতিতাদেরই "চরিত্রহীন"বলাহয়ে থাকে।সেখেনে কাউকে "চরিত্রহীন" বললে দুটি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়,অকথ্য ভাষায় ঝগড়া নয়তো নিরব প্রতিক্রিয়া।দুই শ্রেণীকেই আমি দেখেছি।যারা "চরিত্রহীন"শব্দশেনে অকথ্য ভাষায় কঠোর ঝগড়ায় লিপ্তহয়,তারা অবধারিত ভাবেই"চরিত্রহীন"কোন চরিত্রহীন মানুষও চায়না তার চরিত্র সম্পর্কে মানুষজন জানুক।কিন্তু সে জানে যে সে চরিত্রহীন।আর "চরিত্রহীন"ব্যক্তির "চরিত্রহীন" শব্দনিয়ে ঝগড়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো তাকে যেন কেউ আর কখনো "চরিত্রহীন"না বলে।কারন ঝগড়ার সময় উচ্চস্বরে সে যা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে,যা আশেপাশের দশগ্রাম পর্যন্তশুনা যায়,আর সেই দশ গ্রামের কেউ কখনো তাকে আরযাই বলুক"চরিত্রহীন"বলবেনা।আর যারা নিরব থাকে তাদের কথা এখানে বলা প্রয়জনবোধ করছিনা।
নিশ্চিন্তে ব্যবিস্টার মইনুল র্গহিতকাজ করেছেন।প্রকাশ্য কাউকে গালিদেয়া মানহানিতো অবশ্যই ফৌজদারী অপরাধও বটে।সেটা কেউ চরিত্রহীন হলেও আর না হলেও।অপরাধ অপরাধই।ব্যবিস্টার মইনুলের বেলায় তা আরও বেশী দৃষ্টিকুট,একে তিনি ব্যরিস্টার মানুষ,তার উপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা,এমনকি তিনি নিজেও একটি ইংরেজী দৈনিকে সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি।এমন একজন মানুষ দেশের সম্পদ।তিনি অনেকের কাছে আইডল হবেন।অথচ তিনি হলেন কুখ্যত।তার কাছে প্রকাশ্য এমন মন্তব্য কাম্যনয়।কথা বার্তায় তাকে আরও বেশী সচেতন ও বিচক্ষন হওয়া উচিত।
তা যাইহোক,ব্যরিস্টার মইনুল অপরাধ করেছেন।তাকে আবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে।তবে লক্ষ্যরাখতে হবে লঘু অপরাধে যেন কঠোর শাস্তি না হয়।মাসুদা ভাট্টিকে"চরিত্রহীন"বলায় ব্যরিস্টার মইনুলকে আটক করাহয়েছে।"চরিত্রহীন"বলে মাসুদা ভাট্টির চরিত্রে কালিমা এটে দিয়েছেন,তা মইনুল গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সেই কালিমা কি মুছে যাবে? মাসুদা ভাট্টি এখন কি চরিত্রবান?নাকি তাকে চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়া হবে?নাকি মাসুদা ভাট্টি নিজেই নিজের চরিত্রের সার্টিফিকেট হাজির করবেন? যেমনটি জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ ছেলের জন্মের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন?
অসাধারন
ردحذفদারুন
ردحذف