ইতোমধ্যে রাতুল, তার ও রাহাতের বাড়ীর মাঝামাঝি বাজারে এসে পৌচ্ছেছে। বাজারে তখন কোন মানুষজন নাই। শুধু তিনজন নাইট গার্ড আছে। নাইট গার্ডরা রাতুলকে ডেকে এতরাতে বাজারে আসার কারন জানতে চাইলো। নাইট গার্ডরা ছিল রাতুলের পূর্ব পরিচিত। সে কারনেই রাতুল, রাহাতের অসুস্থের কথা বল্লো। নাইট গার্ডরা তাকে যেতেদিল। রাতুল বাজার পারহচ্ছে, রাহাত ও কিছুটা এগিয়ে আসার কারনে, কিছুদূর যেতেই দু'জনের দেখাহয়ে গেল। তখনো রাহাত ফোনে তার মেয়ে বন্ধুর সাথে কথাবলছে। তা দেখে রাতুল খুব বিরক্তি বোধকরছে। সেটা মনেহয় রাহাত
|
ছবিঃ প্রতীকী |
ও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে। সে যাইহোক দু'জনে একটু একটু করে এগিয়ে যায়। যেহেতু এত রাতে রাস্তায় কোন মানুষজন নাই সেই সাথে কোন গাড়ী-ঘোরাও চলছেনা, আজ রাতে তাই দু'জনে রাস্তার রাজা। তাদের ফিলিংস টা অন্যরকম হয়ে যায়। এভাবে চলতে চলতে রাহাত রাতুলকে একটু ঝোপের কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছে! কিন্তু রাতুল।সেখানে।যেতে চাচ্ছে না। কৌশলে।সেখান থেকে সরে আসছে। রাহাত যতই রাতুলকে ঝোপের কাছে নিয়ে যেতে চায় রাতুল ততোই দূরত্ব বজায়রেখে চলে। এবার রাতাহ কিছুটা আন্দাজ করতে পরে বলে, কি রে রাতুল ভয় পাচ্ছিস নাকি? যদিও রাতুলের ভয় হচ্ছে, তাপরও সে বলে আরে না। কিন্তু আসতে খুব ভয় হচ্ছিল রে! আবার যতই রাতুলকে ঝোপের কাছে নিয়ে যেতে চায়, ততোই সেখানে যেতে চায় না। আর অনেক রাত হয়েছে তাই বারবার বাড়ী ফেরার তাগদা দেয়। ভোর তখন প্রায় চার টা। রাতুলের অবস্তা দেখে,তাকে তার বাড়ীতে থাকার প্রস্তাব দেয়। রাতুল সম্মানের খাতিরে সে প্রস্তাবে রাজি হয় না। ভয়ের কারনে আবার থাকতে চাচ্ছে। রাতুল ও রাহাত তাদের বাড়ীর কাছাকাছি।এসেগেছে। এমন সময় রাতুলের আবার ভয় হতে থাকলো! রাহাত যদি আবার তার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে কিছু করে। আগেতো কখনেই তাকে কেন কোন বন্ধুকেই তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায় নি! সম্ভবত বাড়ীতে তার বোন আছে তাই কাউকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায় না। তাছাড়া রাতুলের এখন একটা সরকারি চাকরি হয়েছে। এসব ভেবে রাহাতের কাছথেকে রাতুল ফিরে আসে, সেটা দেখে রাহাত বল্লো, আরে যাইস না। সকাল সকাল উঠে দু'জনেই একসাথে যাব। ব্যাপারটি বুঝতে না দিয়ে রাতুল বলে, আরে এখনো ঘুমাই হয় নি তার উপর আবার সকালে উঠা! আমি পারবো না, বাড়ী যাচ্ছি। কাল একরারেই দুপুরে ঘুম থেকে উঠবো। এই বলে রাতুল একাই চলে আসছে, তা দেখে রাহাতও কিছুটা পথ এগিয়ে দিল।
|
ছবিঃ প্রতীকী |
আবার সেই ভয় আর শংঙ্খা নিয়ে রাতুল বাড়ী ফিরে আসলো। নিজের জীবন নিয়ে ফিরে আসায় রাতুল নিজেকে ধন্য মনে করছে। সেই চিন্তা করতে করতে ফজরের আযান পরেগেল। দেড়ীতে হলেও সাথে সাথেই রাতুল ঘুমিয়ে পরলো। পরের দিন রাতুল দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল! উঠেই আবার গত রাতের কথা মনে পরতেই আবারও খোদার কাছে শুকরিয়া আদায় করে, রান্না করে আবার বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে গেল। বাজারে রাহতের সাথে দেখা হলে, নিজেকে গতরাতের ঘটনার জন্য অপরাধী মনে হয়। কিন্তু স্বাবাভিক থাকার চেষ্টা করে।
★(চলবে)
প্রথম খন্ড এখানে
তোকে বলেছে
ردحذف