একটি ফেসবুক পোক....

অনিকেতের তখন অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। সে কারনেই দিন-রাত পড়াশুনা আর পরাশুনা। এর কিছুদিন আগে অনি (অনিকেত) ফেসবুকে অ্যাকাউন্ড খুলেছে। ইতোমধ্যে পরিচিত অপরিচিত মিলে অনেক ফেন্ডহয়েছে। পরীক্ষার কারনে তখন আর ফেসবুকে বেশী আসা হয় না। একদিন সকাল প্রায় ১১ টার কিছু পর অনি ফেসবুকে ঢুকলো। অসলে সেটা ছিল পড়ার ফাকে একটু বিশ্রাম! ফেসবুকে ঢুকেই অনিকেত চোঁখ বিলিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ঠিক সেই সময় স্নিদ্ধা নামের একটি আইডি থেকে ফেন্ডরিকুয়েষ্ট আসল। প্রফাইল চেক করে সাথে সাথেই এ্যাক্সেপ করলো অনি। এ্যাক্সেপ করার সাথে সাথেই, সেই আইডি থেকে এসএমএস! সেদিন ছিল ১৫ অক্টোবর ২০১৫। ফেন্ডরিকুয়েষ্ট এ্যাক্সেপ করার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে পরিচয় জানতে চাইলো। এক এক করে দুজনের  পরিচয় জানা হলো। মেয়েটি তখন ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ে। নিজেথেকেই তার রেজাল্ট বলে দিল আর মেডিকেলে পড়তে চায় সে কথাও জানা হলো। অনি তাকে পরামর্শ দিল মনদিয়ে লেখাপড়া করতে, আর ফেসবুকে বেশি আসতে মনা করলো। এভাবে দুজনের ফেসবুক সম্পর্ক আরও গভির হলো। আগেই জানা হয়েছে অনি যে বিষয়ে অনার্স করছে স্নিদ্ধার রুমমেটও একই বিষয়ে অনার্স করছে। দু'জনেই প্রতিদিন রুটিন করে একে অপরের খোজ-খবর নিতে লাহলো। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে পড়াশুনা এমন কি পরিবারের সদেস্যদেরও খোজ খবর নিতে লাগলো। এর ফাঁকে স্নিদ্ধার কলেজ থেকে পিকনিকের ব্যাবস্থা করা হলে, অনির কাছে স্নিদ্ধা পিকনিকে যাওয়ার অনুমতি চায়! অনি বাধা না দিয়ে পিকনিকে যেতে বল্লে স্নিদ্ধা পিকনিকে যায়। পিকনিকে যাওয়ার পর কয়েক দিন স্নিদ্ধার সাথে অনির কথা হয় না, তখন পর্যন্ত কারই ফোন নাম্বার বিনিময় হয় নি। এদিকে অনি স্নিদ্ধার সাথে কথা বলতে ছটফট করে। উপায় না পেয়ে একের পর এক এসএমএস করতে থাকে। কিন্তু কোন রিপ্লাই আসে না! আরও কয়েকদিন পর অনি অনলাইনে থাকা অবস্থায় স্নিদ্ধার রিপ্লাই এলো স্যরি। এতো দিন রিপ্লাই না দেয়ার কারন জানতে চেয়ে দু'জনের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। এর পর স্নিদ্ধা জানায় সে দিন পিকনিকের বাস দূর্ঘটনায় তাদের কলেজের দু'জন বড় ভাই মারা যান সেও গুরুতর আহত হয়েছে এখন সে মেডিকেলের বেডে সুয়ে আছে আর অনির সাথে টেক্স করছে। সেটা শুনে অনি দূঃখ বোধ করলো আর স্নিদ্ধাকে শান্তনা দিল আর ক্ষমা চেয়ে নিল। তখন অনি স্নিদ্ধার আরও বেশি খবর নিতে লাগলো। আরাও তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েগেল। সেদিন কি মনে করে অনি স্নিদ্ধার প্রফাইল দেখছে আর স্নিদ্ধার কথা
ভাবছে। কিভাবে যে হঠাৎ পোক লেখায় চাপ পরে সেটা অনি টেরই পায়না। তাছাড়া পোক আসলে কি সেটা অনি জানতো না! পরে বন্ধুদের কাছে জানতে পারল পোক ভাল জিনিস না। এই পোক করার পর স্নিদ্ধা আর অনির সাথে টেক্স করে না। কয়েক দিন পর অনি পোক করার জন্য ক্ষমা চায় আর এও বলে পোক মানে কি তা সে জানতো না। তার পর থেকে স্নিদ্ধা অনিকে ব্লক করেদেয়। আজও অনি তাকে খোজে কিন্তু পায়না। আগের আইডির নাম পরিবর্তন করেছে আবার সেই আইডি ডিএ্যাক্টিভ করে দিয়েছে। কিন্তু অনির সেই লাষ্ট এসএমএস টা এখনো পরে আছে সেই ডিএ্যাক্টিভ আইডিতে।
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم