মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষেধ ও কিছু কথা।

গত কয়েকদিন আগে সড়ক ও সেতু মন্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন,মহাসড়কে সকল
প্রকার তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষেধ।বাংলাদেশের সকল বিষয়ের মত এই ইস্যু নিয়েও বাংলা আজ উত্তাল।জেনে না বুঝে আমরা আজ মন্রী তথা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার।এই ইস্যুতে
লেখার আগ্রহবোধ করিনি!কিন্তু
টেলিভিশন,পত্রিকা,ফেসবুক,ব্লগ ও
বিভিন্ন মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক
অলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তারপর ও লেখার আগ্রহবোধ করিনি! ফেসবুকে এক ভাইয়ের প্রতিবাদে লিখতে বাদ্ধ হচ্ছি।


তিন চাকার চালক মালিক
ভাইয়েরা মনেহয় না বুঝে অথবা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আজ আন্দলন করছে!আরে ভাই সবকিছু আগে ভালভাবে বুঝেন তারপর আন্দলনে নামেন।


ছোট্র একটা পরিসংখ্যান দেই,সারা দেশে ২১ হাজার কিলোমিটার সড়ক পথ আছে,তার মধ্যে মাত্র ৩
হাজার ৫৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক!এই ৩৫৭০ কিলোমিটারে আপনাদের তিন
চাকা না চালালেই কি নয়।তাছাড়া মন্রী সাহেব তো হুদায় নিষেধ করেন নি,নিষেধ করার আবশ্যই তো কিছু কারন আছেনাকি?


সাধারনত মহাসড়ক গুলোতে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করার কথা।সেখানে তিন চাকার চানবাহন চলাচলের কোন যৌক্তিকতা খুজেপাই না!সেখানে যানবাহন গুলো চলে দ্রুতগতীতে।খুব আল্পসময়ের মধ্য
আমাদের গন্তব্যে পৌছেদেয়ার জন্য
এই ব্যবস্থা।সেখানে তিন চাকার যান চলাচল করলে,যানজটের সৃষ্টি হবে। দ্রুতগতীর যানবাহনগুলোর গতী কমাতে হয়।এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌছান হয় না।


তাছাড়া তিন চাকার
যানবাহনগুলো কখন কোন দিকদিয়ে মূল রাস্তার প্রবেশ করে তা বলা কষ্টসাধ্য।এতে দূরর্ঘটনার আশংকা থেকেই যায়।একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন তিন চাকার যানবাহন গুলো যাত্রার সময় তাদের একটি চাকাও মাটিতে নামাতে চায় না!রাস্তার মধ্য
গাড়ী দাড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা
করান,এর ফলে অনেক দূরর্ঘটনা
ঘটেছে।


সড়ক ও সেতু মন্রী বলেছেন দূরর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি দাবী করেছেন এর ফলে গতকয়েক দিন দূরর্ঘটনার পরিমান কমেছে।


এক অটোচালক ভাই বলেছেন,আমাদের চোর ডাকাত হতে বাদ্ধকরবেন না।এই কথায় বোঝা যায়,অটোনা চললে তাদের উপার্জনের আর কোন পথ নাই।কল্পনা করা যায় মাত্র ৩৫৭০ কিলোমিটার অটো না চললে অটো বা তিন চাকার যানবাহন চালকরা এ কথা বলতে পারে,তাহলে ২১ হাজার কিলোমিটারে বন্ধহলে কি হবে।


আচ্ছা ঐ ৩৫৭০ কিলোমিটারে এতোই ইনকাম হয়!একটু পিছনে ফিরে তাকাই,যখন দেশে অটো আসলো এর ফলে রিক্সা ভ্যানের উপার্জন কমে যেতে লাগলো।এখন দেখা যায় ভ্যান চালকরা শুধু মালপত্র আনানেয়া করে।কই তারা ভ্যান চালকরা তো কোন আন্দলন করেন নাই।তারা তো না খেয়ে নেই এমন কি কেউ চোর ডাকাত হয়েছে বলে শুনিনি।


তাছাড়া অটো চলাচলের ফলে বাসে তেমন যাত্রী দেখা যায় না।এ কারনে বাস মালিক শ্রমিক লোকসানের মূখে পরেছে।অনেক শ্রমিক অন্য পেশা বেছে নিতে বাদ্ধ হয়েছে কেউবা বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে!তাদের দেখবে কে?


কিছু কিছু অটো চালকের ব্যবহার বলার মতনয়।রাত ৮ টার পয় আবার ভারা দ্বিগুন হয়ে যায়!বিদূত্ না থাকলে অটো চলে না।সে দিন রিক্সা ভ্যান ডাকলেও আর আসে না।যতো বিপদেই হোকনা কেন তারা যেতে চায় না।ভাড়ার পরিমান বেশী দিতে চাইলেও রাজি হয় না।একটু অনুভব করতে চেষ্টা করেন তখন আমাদের বা আপনার আবস্থা কেমন হবে।এছাড়া বিদূত্ ব্যায় তো আছেই,যা এখানে বলাটাও অমূলক!


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতু মন্রী বলেন,আগে তো জীবন তার পর জীবিকা।ঠিকই তো জীবন না থাকলে জীবিকা দিয়ে কি হবে?আগে জীবন বাচাঁতে হবে তার পর জীবিকার চিন্তা করতে হবে।তাছাড়া তিনি তো ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন,স্থানীয় ও জেলা শহরের রাস্তাগুলোতে তিন চাকার যান চলাচল করতে কোন বাধা নেই।তাই তিন চাকার চালক মালিক ভাইদের বলতে চাই,ভাইরা আপনারা একটু বুঝতে চেষ্টা করেন,মানুষের কথা শুনে আন্দলোনে যাবেন না।দেশের সার্থে আপনাদের ক্ষুদ্র সার্থকে বড় করে দেখবেন না।


শেষে সড়ক ও সেতু মন্রী তথা সরকারকে বলতে চাই,হুট করে এটা বন্ধ করা কোন ক্রমেই সম্বব নয়!মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হলে সবার আগে সবাইকে সচেতন করতে হলে প্রচারনা চালাতে হবে।তিন চাকার যানবাহনের চালক মালিকদের বোঝাতে হবে এতে তাদের ক্ষতিহবে না বরং দেশের মানুষ নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবে।সরকার ও মালিক চালকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে।
★এই লেখাটি ২০১৫ সালের আগস্টের ৬ তারিখ লেখা, যখন এ নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরুহয়।

2 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم