যখন ভূত লেখক ছিলাম (প্রথম খন্ড)

অনেক ছোট বেলা থেকেই লেখালেখির খুব ঝোকছিল। আমার বংশের কেউই লেখালেখি করতো না, তবুও কেন যে লেখালেখির প্রতি এতঝোকক ছিল তা আজও খুজে পাইনা!! সেই ছোট্টবেলায় প্রচুর কবিতা লিখতাম। যার সবেই ছিল প্রতিবাদী!! সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিজস্ব ভাষায় প্রতিবাদী কবিতা। এখন মনে আছে সেই সময় বাংলাদেশে যৌতুকের মহামারী চলছিল। যৌতুকের নির্যাতনে নারী সমাজ ছিল নিরব ভুক্তভূগী, তারা কখনই এর প্রতিবাদ করতে পারেনি। যার ফলে কখনো তাদের জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে। এমনও হয়েছে, যৌতুক দিতে না পারায় অনেক মেয়ের বাবাকেই আত্বহত্যার মত করুন মৃত্যুকে বরণকরে নিতেহয়েছে। সেই সময় আমার কবিতার মূল বিষয় ছিল যৌতুকের প্রতিবাদ। এভাবে অনেক কবিতা লিখেছিলাম। বলেরাখা ভালো সেই সময় ইন্টারনেট কি জিনিস তা আমার ভাবনায় ছিলনা। যাই হোক এভাবে লেখা চালিয়ে গেছি। এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন মনেহলো, এভাবে প্রতিবাদি কবিতা লিখলেই কিহবে? কবিতা গুলো মানুষকে পড়তেদিতে হবে, তবেইনা মানুষ একটু সচেতন হতে পারবে। এইচিন্তা করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে কবিতা প্রকাশের ব্যার্থ চেষ্টা করেছি। কেউই আমার কবিতা প্রকাশ করতে চায় নি। তবুও লেখার গতি একটুও কমেনি বরং কয়েক গুন বেড়েছে!! আর লেখাগুলো বিভিন্ন যায়গা থেকে এক জায়গায় করে সংরক্ষন করছি এই ভেবে যে বড় হয়ে একদিন না একদিন ঠিকই আমার
কবিতা প্রকাশ করতে পারবো সেই আশায়। এভাবে নিরবে অপ্রকাশে চলতে থাকে আমার কবিতা লেখা। হঠাৎ একদিন কিহল? পুরাতন একটি পত্রিকার পাতায় আমার লেখা একটি কবিতা দেখতে পেলাম। সেটা দেখার পর এতোটাই উল্লাসিত ছিলাম যে, লেখকের নামটিই দেখতে ভূলেগেছি। যখন একটু শান্ত হলাম আর মনে মনে ভারছি দেখিতো আমার নামটি পেপারে দেখতে কেমন হয়েছে ওমনি মাথাটা চক্করদিয়ে উঠলো! একি দেখি লেখকের জায়গায় আমার নাম না হয়ে অন্যকারও নাম এসেছে!! তখনি রাগে ক্ষোপে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে আগে পিছে কিছু না ভেবে সমস্ত কবিতাগুলো ছিড়েফেলি। শুধু ছিড়ে ক্ষান্ত হয়নি ছেড়া কবিতাগুলো আবার আগুন দিয়ে পুড়েফেলি।
♦♥(চলবে)♥♦

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم