ছেলেটির খুব ইচ্ছে দেশ ছেড়ে বিদেশ যাবে। সেখানে থেকে নিজেরও পরিবারের সকলের ভ্যাগ্যের পরিবর্তন করবে। যদিও সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিল। কিন্তু ইচ্ছা যার শক্তি সে কি আর থেমে থাকতে পারে। ইচ্ছাতে অটল থাকার কারনে একদিন সেই সুযোগ এসে যায়। এলাকার এক ভাই ঢাকায় থাকে তার একটি সিকিউরিটি কোম্পানি আছে। সেই সুবাদে সে নাকি বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য অফার পেয়েছে, সেই ছেলেটিকে বল্লো। এবার মনে করি ছেলেটির নাম দেয়া উচিৎ, ছেলেটির নাম ছিল রেয়াজ। ঐ ভাইয়ের কথা শুনেই রেয়াজ রাজি হয়ে যায়। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে নিজেই তার সাথে পরামর্শ করে। পরিবারের কাউকে না জানিয়েই সে ঢাকায় যায় ট্রেনিং নেয়ার জন্য! সেখানে নাকি মাত্র তিন দিনের ট্রেনিং সবকিছু শিখিয়ে বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়! রেয়াজ সেখানে গিয়ে কাতার যাওয়ার জন্য তিন দিনের ট্রেনিং নেয়। ট্রেনিং নিয়ে আবার বাড়ী ফিরে আসে। তখন পর্যন্ত বাড়ীতে কেউ জানে না। এর পর সে ভাই বিভিন্ন কারন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় রেয়াজের কাছ থেকে টাকা নেয়। এভাবে রেয়াজ প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয়। যেটা রেয়াজের নিজস্ব টাকা ছিল। এভাবে রেয়াজের সব টাকা শেষ হয়ে যায়। এদিকে সেই ভাই আবার ভিসার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। তখন রেয়াজ তার পরিবারের সাথে আলাপকরে জমি-জমা যা ছিল তা বিক্রি করে চার লক্ষ ৫০ হাজার দিয়ে দেয়! টাকা দেয়ার পর প্রায় মাস খানেক সেই ভাইয়ের দেখা নাই!! সেটা দেখে রেয়াজ ও তার পরিবার ভয় পেয়ে যায়। এর আগেই তার পরিবার জানায় সেই ভাইটি ভাল নয়, সে টাকা মেরে খেতে পারে। কিন্তু রেয়াজের তার উপর অনেক বিশ্বাস! এ নিয়ে নিজেদের মাঝে ঝগড়া হতে থাকে। তবে হঠাৎ সেই ভাই একদিন বাড়ীতে এসে বল্লো তেমার ভিসা রেডি হচ্ছে তুমি তৌরি থাক। এর পর আবার এক মাস কেটে গেল। সবাই মিলে বসে সেই ভাইকে ধরলো, কবে ভিসা ঠিক হবে। ভাইটি তখন আজ কাল করে সময় ক্ষেপন করতে লাগলো। এভাবে চলার পর একদিন ঠিকই ভিসা চলে এলো! কিন্তু ফ্লাইটের খুব অল্প সময় হাতে আছে। যেদিন সে জানতে পারলো তার ভিসা রেডী তার দু'দিন বাদেই তার ফ্লাইট! তাই তরিঘড়ি করেই ঢাকায় রওনা দেয়। যওয়ার পর শোনে কি কারনে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এটা শুনে তার পরিবারে শোকের ছায়া পরেগেলো। তারা মনে করতে লাগলো, তারা মনেনে হয় প্রতারিত হয়েছে। আর এভাবে হয়রানি করছে। তা যাই হোক সাত দিনন বাদে ঠিকই কাততার চলে গেল। বিমানে উঠার আগে তারদেরকে কোম্পানি থেকে এক ঘন্টার ব্রিফ দেয়া হলোলো, রেয়াজরা ছিল ৩৫ জন, তারা সবাই একই কোম্পানির অধিনে কাতার যাচ্ছে। তাদের ব্রিফ দেয়া হলো সেখানে কেউ যদি বলে কাতারে আসতে কতো টাকা লেগেছে, তখন বলবে ২৫ হাজার টাকা!!! সবাই তখন বুঝতে পারলো তারা দালালের খপ্পোরে পরেছে। ব্রিফ শেষে অনেকে যেতে চাইলো না, কিন্তু
পরিবারের কথা চিন্তা করে সবাই চলে গেলো। তখন তারা সবাই আলোচনা করলো টাকা যখন দিয়েছি তখন গিয়েই দেখিতো কি হয়। তারা তখন তখন জানতো না কাতারে প্ররচুর গরম! সেখানে যাওয়ার পর সবাই তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। অনেকেরর অনেক সমস্যা দেখা দিলোলো। সেটা কেউ কেউ সহ্য করতে না পেরে বাড়ী ফিরে আসলো কিন্তু রেয়াজ থেকে গেল। সেও মাঝে মাঝে বাড়ী আসতে উঠে পরে লাগতো। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে, এক বার আসতে চায় তো সাত বার আসতে চায় না অবস্থা। সেটা যাই হোক সেখানে রেয়াজ যে কাজ পেয়েছিল তাতে খুবেই পররিশ্রম। কিন্তু সেই তুলোনায় বেতন খুব কম!! আর দেশশে থাকতে রেয়াজ কোন কাজেই করতো না।সেখানে সে পাথর ভাঙ্গার কাজ পেল! এভাবে কাজ করারার ফলে রেয়াজের শরীর খারাব হয়ে যায়। তবুও দাতে দাত চেপে কাতারে পরে রইলো।
★চলবে