বঙ্গবাজারঃ আগুনে স্বপ্ন ছাই



চারদিকে কালো কুন্ডলী,মূহুর্তে লালচে আকার ধারন করে।বাতাসে নতুন কাপড়ের পোড়া গন্ধ।নিমেষেই ছড়িয়ে পরে গোটা ঢাকায়।চৈত্রের ক্ষরায় বুঝায় উপায় নাই কোথায় কি ঘটেছে।হাতের স্মার্ট ফোনের বদৌলতে জানা যায় অগ্নি কন্ডের ঘটনা।হাজার হাজার জোড়া চোখঁ তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গবাজারে।অনেকে নিজের চোখেঁর সামনে নিজের ধ্বংস দেখছেন,কিন্তু কিছু করতে পারছেন না।
 বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় কাপড়ের পাইকারী মার্কেট রাজধানীর বঙ্গবাজাররে।এখানে তুননামূলক কম দামে ভালো মানের কাপড়চোপড় পাওয়া যায়।নুন আন্তে যাদের পান্তা ফুরায় তারা তো যায়েই যারা কারি কারি টাকায় মালিক তারাও বঙ্গবাজারে কাপড় কিনতে যায়।সেই বঙ্গবাজারে আজ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন পুড়ছে।সেই সাথে প্রান্তিক মানুষের আনন্দ পুড়ছে।সামনে ঈদের জন্য প্রচুর পোষাকের সমারোহ ছিল বঙ্গবাজার।যা আজ বসেই পুড়ে আঙ্গার হয়েছে।এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে কোটি পতিও আজ পথের ফকির।গতকাল যারা কোটিপতি ছিল আজ সকাল থেকেই আজ ফকির।৪৩ টি ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৬ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।


বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রনে এলেও,এর প্রভাব যাদের উপরে পরেছে,সেই সব হতভাগার অবস্থার নিয়ন্ত্রন আসতে আরো কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আমার এলাকায় একটি বাজার তিন তিন বার আগুনে পুড়ে যায়।সেখানে দেখেছি দোকানের মালিক পক্ষ নিজের জীবনের মায়া ত্যাগকরে হলেও পুড়ে যাওয়ার মালামাল রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টা চালায়।এতে কিছু মালামাল রক্ষা করতে পারলেও সেগুলোর আর শেষ রক্ষা হয়নি।।সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক সেগুলো আবার চুরি করে নিয়ে গেছে।


বঙ্গবাজারের আগুনেও পুড়ে যাওয়া ঘটনায়ও তেমনটি দেখলাম।মাইকে বারবার বলার পরেও,পুড়ে যাওয়া বা আধ পোড়া কাপড়গুলো বাচানো গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।
অতীতের ঘটনাগুলোর মতো এ ঘটনা নিয়েও অনেকে অনেক অনেক মন্তব্য করছেন।রানা প্লাজা,তাজরিন,নিম তলী নিয়েও কয়েকদিন ভালোই কথা চালাচালি হয়েছে।বঙ্গ বাজারের আগুন নিয়েও কয়েকদিন কথার ফুলঝুড়ি চলবে।তার পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।আবার এরকম ঘটনা ঘটলে আবার কয়েকদিন চলবে।


ইতোমধ্যে বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ডের কারন নিয়ে অনেকে অনেক মতামত দিচ্ছেন ফেসবুকে একজন খিখেছেন..
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন