পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জন্মগ্রহণ করা কানাডার নাগরিক মাজদাক দিলমান বালোচ সম্প্রতি ভারত এসেছেন। বেলুচিস্তানের ‘স্বাধীনতা’ আন্দোলনের জন্য জনমত তৈরি করতে তার ভারত আগমন। ভারতের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার কানাডার পাসপোর্টে জন্মস্থান কোয়েটা দেখে তাকে ‘পাকিস্তানি’ বলে সম্বোধন করেন।
এরপরই মাজদাক বলে উঠেন, ‘আমাকে কুকুর বলুন। আপত্তি নেই। কিন্তু পাকিস্তানি বলবেন না। আমাকে বালোচ বলতে পারেন। কারণ আমি বেলুচিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছি। তবু আমাকে পাকিস্তানি বলবেন না।’
শরণার্থী হিসেবে আপাতত ভারতে অবস্থান করা মাজদাকের এমন কথা বেলুচিস্তানের আরো হাজার
ভারতের স্বাধীনতা দিবসেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অবশ্য একই কথা বলেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বেলুচিস্তানের মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তারা আমাকে হৃদয় নিংড়ানো ধন্যবাদ দিয়েছে। আমাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। সেখানে আমি কখনো যাইনি, তারপরও সেখানকার মানুষের ধন্যবাদ পাওয়াটা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে আনন্দ দিয়েছে। এটা গোটা ভারতের জন্য আনন্দের ব্যাপার।’
ব্যবসায়ী বাবা এবং রাজনৈতিক মায়ের সন্তান মাজদাক দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার বেলুচিস্তানের জাতিগত সমস্যা দূর করতে গিয়ে বালোচদের বলছে পাকিস্তানি জাতিয়তা গ্রহণ করতে। যা বালোচরা কখনোই চায় না। সরকারি আর্মিরা বেলুচিস্তানে গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মাজদাক।
তিনি জানান, রিফিউজিদের জন্য জাতিসংঘের নিয়োজিত হাই কমিশনারের সহায়তায় তার পরিবার কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং সেখানে চলে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ভারত সরকার বেলুচিস্তানকে সহায়তা করুক। সম্প্রতি বেলুচিস্তান নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা যথার্থ।’
মাজদাক ‘অভিযোগ’ করেন, বেলুচিস্তানের শিশুদের স্কুলে পড়তে দেয়া হচ্ছে না। তার মতে, পাকিস্তান সরকার সেখানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের ব্রেইনওয়াশ করছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসীদের কারখানা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এ দিকে পাকিস্তান আর্মি বলছে, মাজদাক ভারতীয় গোয়েন্দা দল ‘র’-এর এজেন্ট। কিন্তু মাজদাক বলছেন, তিনি ভারতের কোনো গোষ্ঠির এজেন্ট নন। তিনি বেলুচিস্তানের অস্থিরতার জন্য পাকিস্তানের আর্মিকে দায়ী করেন।