বিয়ে

বিয়ে শব্দটা আমার কাছে একটা অদ্ভুত শব্দ মনেহয়।এই অদ্ভুদ শব্দটার বদৌলতে কত অবৈধ কার্যকলাপ নিমেষেই বৈধতা পায়।বিয়ের কারনে অনেকে নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে নতুন একটি পরিবারে পরবাসী হয়ে সবাইকে আপন করে নতুন করে নতুন জীবন শুরু করতে চেষ্টা করে।অনেকে সেখানে সফলহয় অনেকে ব্যর্থহয়,অনেকে ব্যর্থহয়ে নিজেদের
পৃথিবীটা ওলোটপালোট হয়েগেছে,অনেকের নিজের মহামূল্যবান জীবন পর্যন্ত ধ্বংস হয়েগেছে।


বিয়ের আগে কোন মেয়ে বা কোন ছেলে দুজন পাশাপাশি হাটাহাটি করলেই সমাজে তার পরিবারের মাথাকাটার উপক্রম হয়েযায়।শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করলেতো কথায় নাই।সমাজে তাকে ঘৃণার চোখেঁ দেখে।তাদের একঘরে করে জীবনটা বিষিয়ে তোলে।তখন তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।নারীদের কথা বাদেই দিলাম শাররীক সম্পর্ক করতেগিয়ে ধরা খেয়ে নিজেদের সম্মান ও সমাজের ভয়ে নিজের মূল্যবান জীবন নিজের হাতেই হত্যা করেছে অনেক পুরুষ।সেখানে নারীদের কথা বলাই বাতুলতা।তাদের কাছে আত্নহত্যা করা ছাড়া দ্বিতীয় আর কোন পথ খোলাথাকে না।কারন এরকম নষ্টা মেয়েকে সমাজে কোন কালেই কোন ক্রমেই গ্রহণ করেনি।যদিও দু'একটি ঘটনায় এর ব্যতিক্রম দেখাদিয়েছে,তারপরও কোন ভালো ফ্যামিলির বউ হয়ে যাওয়া ঐ নারীর পক্ষে সম্ভব হয়নি।

অথচ বিয়ে নামক এই অদ্ভুত শব্দটার মাধ্যমে কোন মেয়ের পরিবারের সবাই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানিয়ে বিয়েদেয়!আর এই বিয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক বৈধহয়।মেয়ের পিতাই একরকম নিজের কাধেঁ ঢোল পিটেয়ে সবাইকে বলে বেড়ায়,তার মেয়ের আজ সতীচ্ছেদ ছিড়বে।এজন্য আত্মীয়-স্বজন সবাইকে দাওয়াত করে বলা হয় আজ থেকে তার ময়ে যখন তখন ঐ ছেলের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবে।শুধু এটুকুই নয় অনেক সময় নিজেদের মেয়ের সতীচ্ছেদ ফাটার জন্য জামাই নামে কোন এক ছেলেকে অর্থও দেয়াহয়ে থাকে।যাতে সতীচ্ছেদ হলেও আজীবন তার সাথে সঙ্গমে লিপ্তথাকে।যদিও সতীচ্ছেদ অনুষ্ঠান হয় দু'জন নারী-পুরুষের মধ্যে কোন এক রুদ্ধঘরে যার নাম দেয়া হয়"বাসর ঘর"।তারপরও সবাইকে জানানোর জন্য মেয়েপক্ষ বিয়ে নমক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।সেখানে সেই সমাজও উপস্থিত থাকে,যারা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের দোহাইদিয়ে অনেক নারী-পুরুষের জীবন নিয়ে খেলা করেছে।তারাই চিবায় চিবায় গোস্তখেয়ে মুখে পান ভরিয়ে মুচকি হেসেঁ হেসেঁ খিলাল করে।অনেকে সতীচ্ছেদ ঘটনার কথা মনেকরে মজালুটে,তবুও সমাজ তখন কোন প্রতিবাদ করেনা।

তারপরও জামাই নামক পুরুষটি যদি বিশেষ কাজে অক্ষম হয়,তাহলে সবার আগে নববধুর পিতা-মাতাই এগিয়ে আসে,সেখানে সম্মান ও সমাজের ভয়থাকেনা।তারাই মেয়েও জামাইকে বিভিন্ন কৌশল শিখিয়ে দেয়।কি কি কৌশল অবলম্বন করলে সঙ্গম তৃপ্তি ও অনন্দদায়ক হবে সেটাও শিখান হয়।অনেক সময় শাররীক অক্ষমতা কাটিয়ে উঠার জন্য পির ফকিরের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়।অথচ বিয়ের আগে কেউ কোন মেয়ের সাথে সঙ্গম করলে সেটা তৃপ্তি ও আনন্দদায়ক ভাবে করুক আর নাই করুক,মেয়ে পক্ষের সবাই তাকে মেরে ফেলার জন্য উঠেপরে লাগে।ঐ মেয়ের পরিবারের কোন পুরুষ যদি অন্য পরিবারের মেয়ের সাথে একই ভাবে যৌনাচার করে থাকে,তবুও তারা তখন তাদের নিজেদের মেয়ের পক্ষনিয়ে কথাবলে।

সমাজের চোখেঁ যৌনতা বিষয়ক যত অপরাধ আছে তা সবেই এ বিয়ে নামক অদ্ভুত  কর্মকান্ডের মাধ্যমে বৈধতা পায়।

3 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন