ধর্ষণের বৈধতা

কয়েক বছর আগে থেকে দেখে আসছি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নারিদের সর্বস্য লুটিয়ে নিচ্ছে কিছু মানুষ। এরকম অহড়হ খবর দেখেছি। খবরে সম্ভবত এটাও দেখেছি, দেশের জন্য যে নারি নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে অথবা তার কিছুই করে নি, সেই নারিও মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে গিয়ে ধর্ষণ হয়েছেন। এটাকে আমি ধর্ষণ বলিনা! সেটাকে আমি কি বলবো তা এখনো ঠিক করতে পারিনি।
খরবে এটাও দেখেছি, নারিরা যে আশায় তার ইজ্জত দিল, সেটা পুরোন না হওয়ায় সে ধর্ষণের মামলা করে। আর এর উপর ভিত্তি করেই খবর প্রকাশিত হয়। তার মনে এটাই  দাড়ায় যদি সেই নারির আশা পুরোণ হতো তাহলে সে এই মামলা করতো না! সেটাতো খবর দেখেই বুঝাযায়।
নারিরা এতো বোকা হবেন কেন?  এমনও দেখেছি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন বিয়ে না করায় ধর্ষণের মামলা করেছে। আর যদি বিয়ে করতো তাহলে সেটাকে ধর্ষণ না বলে সঙ্গম বলা হতো। ঐ ধর্ষক ছেলেতো তোমাকে বলতেই পরে কোন ভাল মেয়ে বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা। সুতরাং তুমি ভাল মেয়ে নও তেমাকে বিয়ে করা যাবে না। আর কিভাবে একটি ছেলের এরকম কথা বিশ্বাস করতে পারেন? সে যদি আপনাকে বিয়েই করে তাহলে, বিয়ের আগে সেক্স কেন?  কেন সেটা বিয়ের পর নয়, এটুকুই আপনার মাথায় ঢোকেনা? এরকম ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। আর এটাও দেখাগেছে ঐ নারির কাজ হাসিল হওয়ার পর, সে আর ধর্ষণের মামলা করেনি।
এর জন্য ঠিক কাকে দায়ি করা যায়?  আমাদের পুরুষ সমাজের, মিডিয়ার নাকি এর জন্য নারিরা নিজেই দায়ি। আমি কিন্তু এরকম ধর্ষণের জন্য নারিদেরকেই দায়ি করি। কারন তারা লোভে পরে ধর্ষিত হয়। নিজের হিন স্বার্থ চিরতার্থ করার জন্য সবচেয়ে মূল্যবান ও গর্বের নিজের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করে না।
নারিরা যদি নিজের সম্ভ্রমের বিনিময়ে  তাদের হিন স্বার্থ হাসিল করে, তাহলে সে আর ধর্ষণের স্বিকার হয়না। তখন সে সতি নারিতে পরিনত হয়। কিন্তু স্বার্থ হাসিল না হলে সে হয় একজন ধর্ষিতা নারি! আর সেই পুরুষটা হয় নরপিশাচ!
এথেকে বুঝা যায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নারিদের সম্ভ্রম হাতিয়ে নেয়া বৈধ! যদি যেই প্রলোভন দেখিয়ে সম্ভ্রম নেয়া হয়েছে সে টা পুরন হয়। আর এই বৈধতা নারীরা নিজেই দিয়েছে!

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন