হ্যালো..........বন্ধু

প্রথম 



রাত ২ টা ৩০ মিনিট! রাতুলের চোখে ঘুম নেই। মোবাইলে গান শুনছে আর কি যেন করছে। চারদিক নিঃশব্দ নিরব গভির রাত। সবাই গভির ঘুমে আচ্ছন্ন। শুধু রাতুলের চোখে ঘুম নেই। এই গভির রাতে হঠাৎ তার বন্ধুর ফোন! কাদো কাদো গলায় রাহাত বলছে হ্যালো বন্ধু আমি খুব অসুস্থ! একটু আসতে পারবি?  কেন কি হইছে তোর?  কিছু ভালো লাগছে না। বুকটা খুব ব্যাথা করছে, মনে হয় আর বাচবো না!! একটু আসবি, তোর সাথে কথা বল্লে মনে হয় একটু ভালো লাগবে। রাতুল একটু ধান্দায় পরে যায়। ঠিকই যদি রাহাদ আজকে রাতে মারা যায় তাহলে নিজেকে কাল শান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলবে। আর রাতুল মোবাইলে কি সব করে, তার জন্য রাহাদ সহো অনান্য বন্ধুরাবন্ধুরা তাকে একটু এড়িয়ে চলে। আবার মনটাও ঘরের মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না! সব সময় শুধু রাহাতের সাথে কাটানো সময় গুলো খুব মনে পরছে। রাতুল রাহাতের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বেড় হয়, মেইন রাস্তায় উঠতেই রাতুলের বুকটা ধরপর করেউঠে। চারদিক কাল কুচকুচে অন্ধকার, তার উপর রাস্তা জন মানব শূন্য। ভয়ে রাতুল আবার বাড়ী ফিরে আসে! ভয়ের চোটে রাতুলের ভিতর শুকিয়ে গেছে। পানি পানের জন্য আবার বাড়ী ফিরে আসে। পানি পান করছে করছে আর কি সব আজেবাজে চিন্তা করছে!  রাতুলের মনেহয় না জানি রাহাত আবার আমাকে খুন করে না বসে!! না তা হতে পারে না, রাহাত আমাকে খুন করতে পারে না। রাহাত খুন করতে পারেনা ঠিকি কিন্তু কারও দ্বারা তো পারে! এসব উল্টাপাল্টা চিন্তা হচ্ছে রাতুলের। কিন্তু যাই হোকনা কেন রাহাতের কাছে যেতেই হবে। এরই মধ্যে ধিরে ধিরে সাহস শক্তি সঞ্চায়িত হতে থাকে। রাতুল আবার বেড়িয়ে পরে, এবারও ভয় হয় কিন্তু আগ পাছ কিছু না ভেবেই নিজের জান হাতের মধ্যে মিয়ে  এগিয়ে চলে। চারদিক ঘন কাল অন্ধকার, রাস্তায় রাতুল ছাড়া কোন জীব জন্তু নাই। তার বাড়ী থেকে রাহাতের বাড়ীর খুব একটা বেশী দূরত্ব নয়। মোটামুটি এক কিলোমিটার হতে পারে। রাতুল ভয় নিয়ে এগিয়েই যাচ্ছে, যতই এগুচ্ছে ভয় শংঙ্খা ততোই বাড়ছে।
                                                                                                                                         ® (চলবে)
২য়  খন্ড প্রকাশিত হয়েছে  এখানে ক্লিক করে পড়ুন

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন